DIY ||| এসো নিজে করি ||| বাচ্চাদের পায়জামা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছি।সব সময় একই রকম পোস্ট করলে কেমন যেন লাগে তাই চেষ্টা কাজের মধ্যে একটু ভিন্নতা আনার জন্য। আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন আমার আপনাদের দোয়ায় ছোট্ট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বাসায় রয়ে যায় নানান রকমের কাপড়। অপচয় কারীকে কেউ পছন্দ করেনা আমাদের সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করে না। তাইতো অকেজো নতুন কাপড় গুলো ফেলে না দিয়ে আমি চেষ্টা করি কিছু না কিছু তৈরি করতে।এই কাপড়টি দিয়ে আমি এর আগে আপনাদের মাঝে একটি হিজাব শেয়ার করেছিলাম।তারপরও অনেক গুলো কাপড় রয়ে গেছে। তাই চিন্তা করলাম একদম পিওর শুতি কাপড় এটা দিয়ে একটি "বাচ্চাদের পায়জামা" তৈরি করা যাক। যেই ভাবনা সেই কাজ আমি বসে পড়লাম আমার বাবুর একটি প্যান্ট তৈরি করতে। তারপরে ভাবলাম আমি আমার বাংলা ব্লগের মাঝে এটা শেয়ার করে দেই।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি "বাচ্চাদের পায়জামা" কিভাবে তৈরি করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।কাপড়।
২। রাবার।
৩।সেফটি পিন ।
৪।কাপড় মাপার ফিতা।
৫।কেচি।
৬।চক।
৭।সুতা।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে কাপড়টি লম্বা করে নিয়ে ২৫ ইঞ্চি কেটে নিয়েছি।
এবার কাপড়ের এক সাইডে হাই নিয়েছি ৯ ইঞ্চি এঁকে কেটে নিয়েছি।
এবার প্যান্টি উপরে মানে কোমরে দুই ইঞ্চি রেখে সেলাই করে নিয়েছি রাবার লাগানোর জন্য।
এরপর দুই সাইডে সেলাই করে নিয়েছি।
পায়ের নিচের অংশে দুই ইঞ্চি রেখে সেলাই করে নিয়েছি।
প্যান্টের হাই ডাবল সেলাই করে নিয়েছি।
এবার কোমরে লাগানোর জন্য সেফটিপিন দিয়ে রাবার লাগিয়ে নিয়েছি।
সেফটি পিন দিয়ে লাগানোর পর রাবারটি শক্ত করে গিট দিয়ে নিয়েছি যেন খুলে না যায়। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "বাচ্চাদের পায়জামা"।এবার এই "বাচ্চাদের পায়জামা" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ডাই পোস্ট "বাচ্চাদের পায়জামা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপনি তো সেলাই কাজ খুব ভালো পারেন, খুব সুন্দর ভাবে একটা ছোট বাচ্চাদের পায়জামা তৈরি করেছেন এবং পুরো প্রসেসটি আপনি ধাপে ধাপে দেখিয়েছেন খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বাচ্চাদের পরার জন্য এমন সুতি কাপড় গুলোই বেস্ট! আপনার কাজের পরে অতিরিক্ত কাপড়গুলো ফেলে না দিয়ে বেসব ভালোভাবেই অন্যান্য কাজে লাগাচ্ছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। আসলেই অপচয়কারীকে কেউ পছন্দ করে না। আর ভালো জিনিস অপচয় করাটা আমাদের কারোর উচিত ও না।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
ভিন্ন ভিন্ন কিছু দেখতে পেলে আসলেই ভালো লাগে। আজকে বাচ্চাদের পায়জামা তৈরি করতে হয় কিভাবে সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সেই সাথে আপনি আপনার কাজের দক্ষতা ও শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সব সময় চেষ্টা করি ভাই কিছু ব্যতিক্রম করার জন্য।
যে কাপড়গুলো কাজের নয়, সেই কাপড় গুলো ফেলে না দিয়ে আপনি তার যথাযথ ব্যবহার করেন বিষয়টা জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু। আমাদের কোন জিনিসই অপচয় করা উচিত না। অপচয়কারীকে সৃষ্টিকর্তাও পছন্দ করেন না। যাইহোক, আপনি যে সুন্দর পায়জামা টি তৈরি করেছেন আপনার বাবুর জন্য সেটা দেখতে দারুন লাগছে । এটি তৈরীর পদ্ধতিও শিখে নিলাম একপ্রকার আপনার কাছ থেকে। যদিও এটি বাড়িতে করতে পারবো না তবে ধাপগুলো জানা থাকলো।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার নতুন ব্যবসার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা জানাই। সামনের দিকে এগিয়ে যান। অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো অপচয় না করে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র আপনি তৈরি করছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আজকের এই বাচ্চাদের পায়জামাটা খুবই সুন্দরভাবে আপনি তৈরি করেছেন এবং দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লাগছে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।