ছোট গল্প ||| ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০২।

in আমার বাংলা ব্লগ5 months ago

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের সুস্থতা কামনা করি।মহান সৃষ্টিকর্তার জন্য আমাদের সবাইকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন।

IMG_20240226_214434.jpg
Source
আজকে আমি আবারও আমার ছোট গল্প নিয়ে হাজির হলাম আমার গল্পের নাম "ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০২"।আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণায় গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।তাই আজকে মনে অনেক আনন্দ নিয়েই "ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০২" আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই পর্বে কি লিখেছি দেখে নেওয়া যাক।

একসময় তার চাচাও চলে আসলো। বড় মেয়েটির নাম ছিল সীতা, মেজ মেয়েটির নাম হীরা, আর ছোট মেয়েটির নাম রিতা। বড় মেয়েটি অলরেডি চলে গেল তার চাচার সঙ্গে। সেখানে এসে ও জব করছে এবং নিজের লেখাপড়াটাও চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সময় সীতা নিজে অনেক কষ্ট করে তার বাবার জন্য একটু একটু করে টাকা জমিয়ে তার বাবাকে বেশ বড় অ্যামাউন্ট এর কিছু টাকা পাঠিয়ে দিল। আর বাবাকে বললো বাবা অনেক কষ্ট করেছ এখন আর কষ্ট করো না ।

তোমার কষ্টের দিন শেষ। আমি যে টাকা পয়সা পাঠাবো সেই টাকা পয়সা দিয়ে আমার ভাই বোনদের সঠিক পথে পরিচালিত করিও।আর তাদেরকে তুমি মানুষ কর লেখাপড়াটা আমার ভাইবোনদের বাদ দিও না।তোমার মনের আশা তুমি পূরণ কর কারণ তোমার খুব ইচ্ছা ছিল আমাদের সবাইকে মানুষের মত মানুষ করবে এবং সবাইকে লেখাপড়া শিখাবে।

সীতার বাবা সেই অনুযায়ী কাজ করা শুরু করলো আর প্রতিটি কাজ তার সেই চাচাতো ভাই ও মেয়ের পরামর্শ অনুযায়ী করে। আস্তে আস্তে আইয়ুব তার কিছু দেনা পাওনা পরিশোধ করলো। তারপর সে তার ঘরবাড়ি ঠিক করার কাজ শুরু করে দিল। আয়ুব চাচার ঘরবাড়ি দেখে আর বোঝার উপায় নেই আইয়ুব চাচা কি পজিশনে একসময় ছিল।

বিশাল বড় বাড়ি সে অলরেডি করে ফেলেছে। বাকি দুই মেয়েকেও ভালোভাবে লেখাপড়া চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।কিছু বছর যাওয়ার পর সীতা আমেরিকায় সেখানে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর।তার চাচার কাছে সব খুলে বলে এবং তার চাচা তাকে বলে মা বারবার দেশে যাওয়ার চেয়ে এখানেই থেকে কিছু পয়সা উপার্জন করে দেরিতে দেশে যাও। আর তুমি যাকে পছন্দ করেছ সে যদি তোমাকে বিশ্বাস করে তাহলে তোমরা বিয়েটা এখানেই সেরে নিতে পারো।

আমি তোমার বাবার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করে নিব। কথা মত চাচা সীতার পছন্দ করা ছেলেটির খোঁজখবর নিয়ে নিজের বাসাতে বিয়ের ব্যবস্থা করল। আমেরিকাতেই তাদের বিয়ে হয়েছিল। একটি সময় সীতা তার বাবাকে বলে বাবা হীরা অনার্স কমপ্লিট করেছে। হীরা কে আমি আমার কাছে নিয়ে আসতে চাই তুমি কি বলো বাবা। আইয়ুব চাচা রীতিমতো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেল এবং সে তার ওয়াইফ দিলারা কে বলল দেখো আল্লাহ মনে হয় আমাদের কষ্টের দিন পার করিয়েছেন।

একটি সময় কত না খেয়ে দিনযাপন করেছি অথচ দেখো এখন এত সুখ এত খাবার আর এখন খেতে ইচ্ছে করে না। দিলারা কে আইয়ুব চাচা বলছে আরেকটি সুখবর আছে তোমার বড় মেয়ে হীরাকেও আমেরিকা নিতে চাচ্ছে।হীরার সমস্ত কাগজপত্র এদিকে রেডি করে রাখতে বলেছে তোমার মেয়ে দেশে আসছে জামাই সহ খুব শীঘ্রই।একটি সময় সীতা তার পরিবারসহ দেশে আসলো।অনেক বছর পর দেশে এসে যেন সে শান্তি পাচ্ছে না কিছুতেই। কারণ আবার তাকে আমেরিকায় চলে যেতে হবে এই ভেবে।

বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর সীতা হিরাকে নিয়ে আমেরিকায় চলে গেল। আর হীরাকে সীতা নিজের বাসায় রেখে দিল।হীরা অনার্স কমপ্লিট করে বেশ ভালো একটি চাকরি আমেরিকায় জুটিয়ে নিয়েছে। রীতিমতো সেও বেশ টাকার মালিকও হয়েছে। সীতা হীরাকে বলল টাকা পয়সা জমাও বেশি অপচয় করোনা।কারণ বাইরে গেলেই হীরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করতো বাসার জন্য। আর সীতার ছেলের জন্য সব সময় এটা সেটা কিনে নিয়ে আসতো।একটি সময় আইয়ুব চাচা ফোন করলো যে হীরার জন্য একটি ছেলে দেখেছি ছেলেও মেয়ের ছবি দেখেছে এবং পছন্দও করেছে। মা তোমরা বাড়িতে এলে বিয়ের কাজটি কমপ্লিট করব।

3V3rr4S3jU49uJ7YGXMfCAW8jdBAMcLpwKuDWQd3Wy8m3RekHFxfRPKJioki9L8rkjapja4Mb7D94eECZLrGjWymqaiFuhAafHyafmaKCx...Z4KvPeHqd9WSyKYLr5cUgCWeoXKYC3uzU9AG7XZCibPhjqYMguNySRGiZ2aW4KTPVTUwZ5Bo3KXN55z6Nx7BC37jdk1bfRWUEMC329RvYSZTX11rQcnAHN9idk.png

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- ছোট গল্প "ভালোবাসার নীল গোলাপ পর্ব-০২"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WCnFCoaf77HnnjtGbxvtcZCVRGcMv32JELn7yGd7yduEbShNRxvckSFu5qxWm...4DBE7bSVB6BMULGX4TiDD37LfoKG4LDay4BF3jrUv6vvtoQgQ4ehXkDbqeAwyZ67B7q88vWNYwYe5K84y94JWzcu4Af3kiuQQ3akwFfHeiCdAEkfAf6qBTacXg.png

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WQ9FoKXR6nY3eBXCyiFUDJvfgKpLEANiBKgd7Bwzjx9dLbdyUgWA6hMA3ras9...mvabhXst56JJLqJrLgEkFMJYL2J1JjkehZ8JdUmrkYeqnLKEkC7h5MKoXUDJeoguKyAx72Ktc9j7XvAJLo3LCEogU2ZQ8wTyLQ76aXSY1SdKekLiuM5iKZAWwp.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPbqYxJcZK9JtriFPdqZV3xXxtdk9yPisUeRGZ8ozrvr2rnUXs5cagAakwsFpC...WFaaJHmXrxi5zwucUeo3mURWYKXw8Yzqstr8dvh3M1JDWxyrhGVnz8hWdG4EzTnPiDJSxmAXjGFzUJooULrkd8xDqMXzapJE9ubMNuVesQbzQucb8ksjRR8kdT.gif

Sort:  
 5 months ago 

এভাবেই যেন প্রত্যেকটা বাবা-মার কষ্ট দূর হয়ে যায়। আপনার আজকের শেয়ার করা "ভালোবাসা নীল গোলাপ" গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো আপু। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 5 months ago 

আমার গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে বিষয়টি আমাকে অনেক অনেক উৎসাহিত করলো।

 5 months ago 

আমার কাছে ভালোবাসার নীল গোলাপ গল্পটার প্রথম পর্ব অনেক ভালো লেগেছিল এবং দ্বিতীয় পর্ব পড়েও খুব ভালো লেগেছে। সীতার সেখানে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল, আর ভালোই পজিশনে আছে শুনে ভালো লাগলো। এবং কি পরবর্তীতে এসে হীরাকেও বিদেশে নিয়ে গিয়েছে দেখে ভালো লেগেছে অনেক বেশি। এখন হীরার বাবা হীরার জন্য পাত্র ঠিক করেছে। আশা করছি তারা আবার দেশে ফিরে আসলে বিয়ে হবে ভালোভাবে। এই গল্পটা অনেক সুন্দর হচ্ছে। পরবর্তী পর্বটাতে কি হবে এটাই দেখতে হবে এখন। পরবর্তী পর্বটা আশা করছি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।

 5 months ago 

আমার গল্পের প্রতিটি পর্ব আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে আপু।

 5 months ago 

ভালোবাসার নীল গোলাপ ফুলটা যত পড়ছিলাম ততই খুব ভালো লাগতেছে। আমেরিকাতেই সীতার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এবং বিয়ের পর সীতা বাড়িতে এসে নিজের বোন হীরাকে তার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে দেখে ভালো লেগেছে। হীরাও পড়ালেখা শেষ করেছে এবং পাশাপাশি চাকরি করতেছে দেখে ভালো লাগলো। এখন হীরার বিয়ে হবে নাকি হবে না এটাই দেখতে হবে, আর তারা কি দেশে আসবে। অবশ্য যেহেতু তার বাবা পছন্দ করেছে, হয়তো আসতে পারে এবং বিয়ে করতে পারে।

 5 months ago 

আমার গল্পটি পড়তে আপনার ভালো লাগছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63186.04
ETH 3392.68
USDT 1.00
SBD 2.50