রেসিপি পোস্ট ||| কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের এবং বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
আমি আপনাদের মাঝে আজ রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার রেসিপি নাম ছোট "কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি"। আমি মূলত সব ধরনের মাছ খাই না তবে এই মাছটা আমার অনেক ভালো লাগে। যতটুকু পরিমাণ মাছ ততটুক পরিমান পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করলে অনেক মজা হয়। ছোট মাছ আসলে আমাদের সবারই খাওয়া উচিত। আমাদের দেশে নানান ধরনের ছোট মাছ পাওয়া যায়।মলা মাছ,ঢেলা, কাচকি,পুঁটি ইত্যাদি নানান রকমের মাছ। ছোট মাছে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। ছোট মাছের কাঁটা ফেলা হয় না বিধায় তাতে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে । হাড় ও দাঁত গঠনে প্রচুর ক্যালসিয়ামের দরকার যা আমরা ছোট মাছ থেকে পেতে পাড়ি। ছোট মাছে যে চর্বি আছে তা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দৃষ্টিশক্তির জন্য ছোট মাছ খুবই দরকার। আয়রন, প্রোটিন, ফসফরাস, ভিটামিন এ ইত্যাদি অনেক ধরনের ভিটামিন থাকে ছোট মাছে। রক্তচাপেও ছোট মাছ অনেক উপকারী। ছোট মাছের উপকারিতা ও গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের শরীর সুস্থ থাকার জন্য ছোট মাছ খাওয়া দরকার। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি" আমি কিভাবে করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।কাচকি মাছ।
২।পেঁয়াজ।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।ধনেপাতা।
৫।হলুদের গুঁড়ো।
৬।ধনিয়া গুড়ো।
৭।জিরা গুঁড়ো।
৮।রসুন।
৯।লবণ।
১০।তৈল
প্রথমে ছোট মাছের ময়লা পরিষ্কার করে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার লবণ পানি দিয়ে আবারো মাছগুলো কিছুক্ষণ পরিস্কার করে নিয়েছি।
লবণ পানি দিয়ে পরিষ্কার করার পর মাছগুলো আবারো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
ধনিয়া পাতা পরিষ্কার করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার সকল উপকরণ একত্রে নিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি লবণ ও তৈল দিয়ে ।
মসলার উপকরণ এর ভিতরে কাচকি মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি আর হালকা করে নেড়েছি।
রান্নার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি যখন মাছের পানি শুকিয়ে গিয়েছে তখন আমার "কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি" রেসিপি হয়ে গিয়েছে।এবার এই "কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
কাচকি মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপিটি দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে।মনে হচ্ছে গরম ভাতের সাথে খুব মজা লাগবে খেতে। রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কাচকি মাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপু এটা ঠিক বলেছেন ছোট মাছের গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না।এই ছোট মাছ আমাদের সকলের খাওয়া উচিত।আর এই মাছ বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে দোপেঁয়াজি করলে খেতে ভীষণ মজার হয়।আর সাথে যদি ধনিয়া পাতা কুচি করে দেয়া হয় তবে এর স্বাদ দিগুন বৃদ্ধি পায়। আপনি খুব মজা করেই রান্না করলেন।রেসিপিটি খুব লোভনীয় লাগছে। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজার এবং টেস্টি ছিল।
কাচকি মাছের দোপেঁয়াজি রান্নার দারুন একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। ধনিয়া পাতা দিয়ে এই ধরনের মাছের রেসিপি তৈরি করলে সেটা খেতে খুবই ভালো লাগে।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
এই জাতীয় ছোট মাছগুলো পেঁয়াজ দিয়ে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে, হালকা ভাজি আকারে তৈরি করলে পারে এতটাই স্বাদ ও সুস্বাদু হয়ে থাকে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।যাই হোক রান্নার কৌশলটা কিন্তু বেশ মনোমুগ্ধকর ছিল, ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপি।
সুন্দর করে মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি আজকে খুবই চমৎকার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগে। অঞ্চল ভেদে হয়তো বা মাছের নাম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আপনি যেভাবে রান্না করেছেন আমরা ঠিক এভাবেই রান্না করে থাকি। এ মাসে আমরা ছোট মাছ বলে থাকি। তবে দোপেয়াজি দিয়ে রান্না করলে ভীষণ ভালো লাগে এত সুন্দর করে রান্না করে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
সব সময় আপনার সহযোগিতামূলক মন্তব্য গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগে আমার।
আপু এত রাতে কাচকি মাছের এমন মজাদার রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে। আমি কাচকি মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। যদি এভাবে কাচকি মাছের দোপেঁয়াজা তৈরি করা হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চলে আসেন আপু দাওয়াত রইলো।
ছোট মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে এই ছোট কাচকি মাছের মধ্যে কাটা না থাকায় খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই কাচকি মাছ বেশ কয়েকদিন খাওয়া হয়না। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দের এটা শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
কাঁকচি মাছ আমার খুব প্রিয়।
খেতে যেমন সুস্বাদু তেমন পুষ্টি গুনে ভরপুর।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই লোভ হচ্ছে।
পৃথিবীর প্রস্তুত প্রণালী ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন।
খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি ছিল।
যেকোনো ছোট মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কাচকি মাছের রেসিপি করেছেন। তবে এটি আপনি ঠিক বলেছেন ছোট মাছের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আছে। তবে ছোট মাছ আমাদের সবার কম বেশি খাওয়া দরকার। সত্যি বলতে আপনার এই রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লাগে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
তাজা কাঁচকি মাছের লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু।আমাদের এলাকায় তাজা কাঁচকি খুব কম পাওয়া যায়।শুটকি কাঁচকি পাওয়া যায় সচরাচর। খেয়েছিলাম হাতে গোনা কয়েকবার তাজা কাঁচকি। আপনার রেসিপিটি সত্যি খুব লোভনীয় হয়েছে। ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ভালো লাগছে দেখে।
দিদি তবে কাচকির শুটকি খেতেও ভালো লাগে।