রেসিপি ||| জামের ইয়াম্মি জুস।
হ্যালো,
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।বর্তমান সময়ে গরমে সবাই অসস্থি বোধ করছে। এই গরমের তীব্রতায় মানুষ ভালো নেই বললেই চলে। ঘরে ঘরে অসুস্থতার বন্যা বয়ে যাচ্ছে।এই প্রচন্ড গরমের জন্য বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ রয়েছে তারপরেও আমরা কিছুতেই বাসায় থেকে স্বস্তি বা আরাম ফিল করতে পারছিনা। কারন কিভাবে আরামে থাকবো গরমে থাকছেনা কারেন্ট। লোডশেডিং আমাদের দেশে বিরাট এক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বিশ্বে কারেন্ট ছাড়া আমরা কোন কিছু কল্পনাই করতে পারি না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি কাজে কারেন্টের ব্যবহার জড়িয়ে রয়েছে। আর কারেন্ট না থাকায় সেই কাজগুলো টাইম মতো কেউ করতে পারছে না। আসলে সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারলে অন্য সময়ে গিয়ে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমার সমস্যা গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আর কথা না বাড়িয়ে আমি আজ আপনাদের মাঝে "জামের ইয়াম্মি জুস" নিয়ে হাজির হয়েছি। "জামের ইয়াম্মি জুস" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি চলুন দেখে নেয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। জাম।
২। কাঁচা মরিচ।
৩। বিট লবণ।
৪। চিনি।
৫। লবন।
প্রথমে জামগুলো একটি বড় বাটিতে করে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি।
এবার পানিতে ভিজিয়ে নেওয়া জামগুলো পরিষ্কার করে আরেকটি বাটিতে উঠিয়ে নিয়েছি।
পরিষ্কার করা জাম গুলোর ভেতর থেকে বিচি ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এবার একটি ব্লেন্ডারের পাত্রে জাম গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ব্লেন্ডারে জাম গুলোর ভিতর কাঁচামরিচ, চিনি , বিট লবণ,লবণ ও সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "জামের ইয়াম্মি জুস" রেসিপি।এবার এই "জামের ইয়াম্মি জুস" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "জামের ইয়াম্মি জুস"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
দেখেই অনেক মজাদার মনে হচ্ছে আপু। গরমের দিনে এমন একটা শরবত হলে আর কি লাগে!! জামের এই টক মিষ্টি জুস আমি প্রায়ই বানিয়ে খাই। ভীষণ দারুন হয় খেতে । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত মজার একটি জুসের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন আপু, সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারলে অন্য সময়ে গিয়ে সেটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আর সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারলেও, খুব একটা ভালো লাগে না। এই গরমের সময় এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা জামের জুস খেতে পারলে অনেক ভালো হতো। আপনি মনে হচ্ছে বেশ মজা করে এবং তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলেন। এরকম গরমের সময় ঠান্ডা জুস খেলে ভীষণ ভালো লাগবে। আমার তো এখন জামের জুস খেতে অনেক ইচ্ছা করতেছে আপু। উপস্থাপনা ও খুব সুন্দর ছিল বলতে হয়।
আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
কিছুক্ষণ আগে এই জাম মাখিয়ে খেলাম দারুন মজা ।বছরের ফল খেতে দারুন লাগে যেমনটা আপনি জামের ইয়াম্মি জুস তৈরি করেছেন ওয়াও অনেক ভালো খাবার।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
পাকা জাম ফলের এ ধরনের ইয়াম্মি জুস কখনো খাইনি আমি। তবে পাকা জাম ফল ইয়াম্মি জুস তৈরীর প্রক্রিয়াটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে, যার ফলের ইয়াম্মি জুস তৈরি করার ক্ষেত্রে চতুর্থ এবং পঞ্চম ধাপটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। দারুন একটি জুস তৈরীর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
জাম আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভাবেই উপকারী। নানান ভাবে আমাদের হেল্প করে থাকে। আর এই তীব্র গরমের মধ্যে জাম এর শরবত শরীরে অনেক তৃপ্তি যোগাবে। মনে হচ্ছে খুবই স্বাদের হয়েছে। বাসায় একবার টেস্ট করতে হবে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বর্তমানে আমি একটি জিনিস লক্ষ্য করে দেখেছি আপু গ্রাম অঞ্চলে জাম গাছের সংখ্যা খুবই কম। জাম খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। এবং যা জাম অধিক শক্তিশালী ফল। আপনি খুব সুন্দর করে জামের জুস তৈরি করেছেন। জাম আমার পছন্দের ফল জুস দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর একটি জুস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা জিনিস আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। এর আগে আমি কোনদিন এই ধরনের জামের জুস দেখিনি। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি প্রথমবারের মত এমন একটা জুস দেখতে পেলাম।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ইউনিক একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন। এই গরমের সময় শরবত আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে জামের শরবত এভাবে তৈরি করে খাওয়া হয়নি। ইউনিকে একটি রেসিপি শিখে নিলাম। এভাবে একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে। সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদিন রেসিপিটি তৈরি করে খেলে দেখেন আমার বিশ্বাস আপনার ভালো লাগবে।
জামের ইয়াম্মি জুস রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে।
রেসিপিটি খেতে অনেক মজার ছিল। আসলেই এই রেসিপিটি একবার খেলে আবার খেতে চাবে।
গরমে স্কুল বন্ধ হলেও ঘরে থেকে স্বস্তি মিলছে না। তার কারন লোডশেডিং। এই অবস্থায় সুস্থ থাকা খুব জরুরী। এ সময়ে আমাদের দেশীয় ফলগুলো খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মঙ্গলজনক।আপনি জাম দিয়ে খুব মজার জুস করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।খেতে যেমন মজার তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ও অনেক উপকারী। মজার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।