আমার জানা ||| সরিষার গাছ ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা যে যেখানে এই মুহূর্তে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন এবং দেখছেন আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সপরিবারে অনেক আনন্দে আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সপরিবারে অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি।
আমি অনেকদিন হলো ব্যবসার কাজে বাহিরে ঘোরাঘুরি করছি।বাহিরে ঘোরাঘুরির সময় যখন যে জিনিসটি আমার কাছে আনকমন মনে হয়েছে বা যেটি সম্পর্কে আমি জানিনা সেটি জানার ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। ঠিক তখনি সেই জিনিসটির ছবি সংরক্ষণ করে চলেছি।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের মাঝে "সরিষার গাছ" নিয়ে আমার জানা তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আর কথাগুলো বা আমার জানা ভুলও হতে পারে।তবে আমি যতটুকু জেনেছি বা যতটুকু দেখেছি ঠিক ততটুকুই আপনাদের সাথে শেয়ার করব এখন।
কৃষক ভাইয়েরা প্রথমে জমি চাষ করে এবং সেই জমিতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও রাসায়নিক সার এবং গোবর সার প্রয়োগ করে।এভাবে তারা জমিটি কে আগে ফসলের উপযোগী করে তৈরি করে নেয়।
এবার সেই তৈরির্কিত জমিতে সরিষা কৃষক ভাই হাত দিয়ে ছিটিয়ে দেয় পুরো জমিতে। ঠিক সেই সরিষা বীজ থেকে ফুটে ওঠে সরিষা গাছ এবং সরিষা গাছ যখন ফুটে ওঠে তখন পুরো জমিটা আস্তে আস্তে সবুজের ভাব সৃষ্টি হয়ে যায়।
এই সবুজ গাছগুলো যখন ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আরেকটু বড় হয়ে।ঠিক যখন গাছ গুলো ৬/৮ ইঞ্চি লম্বা হয় তখন পুরো জমিটা মনে হয় সবুজের সমরহ।এই সময়টা জমিটা দেখতে যত সুন্দর লাগে, তখন মনে হয় আসলেই সবুজে সামারাইহে বাংলাদেশ আমাদের দেশ।
এবার এই সবুজ গাছগুলো থেকে হলুদ ফুলের সৃষ্টি হয়। আর এই হলুদ ফুল গুলো যখন পরিপূর্ণতাই রূপ নেয় তখন পুরো জমিন মনে হয় হলুদে ভরপুর এবং দেখতে এতো ভালো লাগে যে এটার দিকে তাকালে চোখ ফেরাতে মন চায় না।
এই হলুদ ফুল গুলোর মাঝখান থেকে সরিষার গোল দানা গুলো একটি লম্বা দানার ভিতরে একটি পর একটি সারিবদ্ধ হয়ে থাকে।আর তখন আস্তে আস্তে হলুদ ফুলের পাপড়ি গুলো ঝরে পড়ে যায় এবং এই সবুজ লম্বা দানাটি সরিষার গাছে সুং এর মত দেখা যায়।
আবার এর কিছুদিন পরে পুরো সরিষার গাছ থেকে হলুদ ফুলের পাপড়িগুলো ঝরে পড়ে য়ায।আর পুরো গাছটি শুধু সুং এর মত লম্বা সরিষার দানা গুলো দেখা যায় স্পষ্টভাবে।এই লম্বা দানা গুলি যখন পরিপক্ক হয় তখনই কৃষক ভাই জমি থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে মাড়াই করে সরিষায় রূপান্তর করতে পারে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ নিজের সকল প্রতিভা সবার সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ এবং ব্যবস্থা করেছে।আর সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার জানা "সরিষার গাছ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় থেকে একটু সময় বেড় করে পোস্টটি পড়ে সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
ছোটবেলা থেকেই সরিষা গাছ ফুল এগুলো দেখে আসছি। আমাদের বাড়ির সামনে অনেক বড় একটা বিল আছে শীতকালে বিলের জল অনেকটাই শুকিয়ে যায় তখন পুরো বিল জুড়ে সরিষার চাষ করে যখন ফুল গুলো এক সাথে ফোটে তখন দেখতে এতটাই ভালো লাগে যা বলার মতো না। সরিষা গাছের সম্পর্কে এতকিছু জানা ছিল না আজকে আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সরিষা গাছের জন্ম থেকে গাছ গুলো কিভাবে বড় হয়, কখন সেই গাছগুলো থেকে দানা বের হয়, সবকিছুই আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে অনেক চমৎকার ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনি বরাবরই অনেক চমৎকার চমৎকার পোষ্ট আমাদেরকে উপহার দেন, আপনার জন্য অসংখ্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
সরিষার সম্পূর্ণ জীবন চক্রটাই তো আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন আপু। ভালো লাগলো খুব আজকের পোস্টটা পড়ে। আর ছবিগুলো দেখে তো আমি একদম মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বিশেষ করে সরিষা ফুলে যখন ভরে গেল সব কিছু দূর দুরান্তে হলুদ ফুলের সমারোহ দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে হলুদ রঙে ছেয়ে গেছে মাঠ। যদিও এইবার সরিষার ক্ষেত ভ্রমণ করা হয়নি কিন্তু গতবার গিয়েছিলাম। বেশ ভালই লেগেছিল। আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
চেষ্টা করছি আপু ব্যতিক্রম কিছু উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে ব্যবসার কাজে ঘোরাঘুরির সময় সরিষা গাছের ফটোগ্রাফি নিয়ে আমাদের সাথে সরিষার জীবন চক্র তুলে ধরেছেন।একটি কৃষককে নিয়ে একটি সরিষার ক্ষেতের জীবন চক্র আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে দেখতে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
নতুন কিছু জানতে আমারও অনেক ভালো লাগে। তবে সরিষার গাছ সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিল না। কয়েকদিন আগে আমিও সরিষা ফুলের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। সরিষা গাছ সম্পর্কে এত তথ্য জানা ছিল না আপু। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তথ্যগুলো তুলে ধরেছেন। ভালো লাগলো আপু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য।
কিভাবে সরিষার ক্ষেত্রে সরিষার জন্মে তার সবটুকুই আপনি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সরিষা খেতে বিস্তারিত পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর সাথে আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আসলে সরিষা খেতে দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে সেটা বাস্তবে হোক আর ছবিতেই হোক। ধন্যবাদ আপু সরিষা সম্পর্কে এত কিছু আমাদেরকে জানানোর জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে আপু।
গুছিয়ে মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আসলে আপনি যে পোস্ট শেয়ার করেছেন এই পোস্ট একমাত্র তারা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে যারা সরিষা বীজ বপন থেকে শুরু করে একদম শেষ অবধি ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত কাজ করে। আমাদের নিজেদেরও সরিষা আছে প্রতিনিয়ত আমরা কজন বিকেলবেলা সেই সরিষা জমির কাছে গিয়ে সরিষা ফুলের ঘ্রান নেই। যখন সরিষার গাছে ফুল আসে তখন সেখানে বিকেল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা অব্দি বসে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগে।
জি ভাই আপনাকে ঠিক বলেছেন।