ছোট গল্প |||| মায়ের দোয়া শেষ পর্ব।
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে সপরিবারে সুস্থ আছেন এবং অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।
source
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প নিয়ে হাজির হলাম।আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং অনুপ্রেরণায় গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।আমি কখনো চিন্তা করতে পারিনি যে,আপনাদের মাঝে গল্প উপস্থাপন করলে আপনাদের কাছ থেকে এতো সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পাবো।আপনাদের সকলের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ যে আমার গল্প পড়ে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার আমার "মায়ের দোয়া শেষ পর্ব" গল্পে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
সব সময় বলতো তুমি আবার দাঁড়িয়ে উঠবে সবাই তখন তোমাকে ভালবাসবে আবার তোমাকে সবাই চোখে হারাবে আমার বিশ্বাস তুমি অবশ্যই অবশ্যই একদিন দাঁড়াবে কারণ তোমার মাও তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং মা সবসময় তোমার জন্য দোয়া করেন আর মায়ের দোয়া কখনো বিফলে যায় না।কিন্তু এত কথা শোনার পরও গনি মিয়া তার আত্মবিশ্বাস ফিরে পায় না কারণ একের পর এক সমস্যায় তাকে পড়তেই হচ্ছে সংসার চালাতে তাকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে।
আর সবচেয়ে বড় কথা গনি মিয়ার মা এবং বউ ছাড়া অন্য কেউ আর তাকে কখনো উৎসাহমূলক কথা বলে না এবং তার সাথে ভালো ব্যবহার করেন এটাই যেন সবচেয়ে বড় কঠিন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তার কাছে।তখন গনি মিয়া চিন্তা করল যে তার অতীত জীবনে যত ভালো মানুষের সাথে তার সম্পর্ক ছিল ঠিক তাদের সাথে ফোনের যোগাযোগ সে বাড়িয়ে দিল এবং তাদের সঙ্গে সব সময় সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো।কোন কাজটি করলে ভাল হবে, কোন কাজটি করলে তার জন্য এখন খারাপ হবে এই বিষয়গুলো নিয়ে।
এমন সময় তার অতীতের জীবনের এক বড় ভাই সাজেস্ট করল একটা বড় কোম্পানিতে একটা দায়িত্বে তাকে নেওয়ার জন্য এবং পাশাপাশি তার বিজনেসটাকে আরও বড় করে তোলার জন্য সকল সহযোগিতা করবে বলে ওই বড় ভাই গনি মেয়েকে আশ্বস্ত করলো।তখন গনি মিয়া তার মা এবং বউয়ের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলো।তখন মা এবং বউ দুইজনে বলল হ্যাঁ ওই বড় ভাই যেভাবে বলে ঠিক তুমি সেই ভাবে তোমার কাজগুলা করো তাহলেই আশা করি তুমি ভালো একটা জায়গায় যেতে পারবা।
গনি মিয়া এবার তার বড় ভাইয়ের কথাই সেই কোম্পানিতে যোগদান করলেন এবং ব্যবসাটাও ভালোভাবে পরিচালনা করতে শুরু করলেন। কিন্তু চাকরির কথা শুনে গনি মিয়ার সকল আত্মীয়-স্বজন অবাক হয়ে গেল এবং কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না যে আসলেই গনি মিয়া একটি বড় কোম্পানিতে চাকরি করে ও ব্যবসা সামলাতে পারবে।তখন গনি মিয়া বুঝতে পারল আসলে নিজের আত্মীয়-স্বজন কখনো নিজের ভালো চায়না কিন্তু অপরিচিত লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকলে তারাও যে আমার মত মানুষদেরকে ভালো একটি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল মায়ের দোয়া কখনো বিফলে যায় না এটি গনি মিয়া বুঝতে পেরেছে এবং গনি মিয়া এখন চিন্তা করে যে না এখন শুধু আমার আল্লাহ ছাড়া আমি আর কারো কাছে কখনো কোন কিছু আশা করব না।এখন গনি মিয়ার পরিবার আগে যেভাবে চলত তার চাইতে অনেক ভালো পর্যায়ে চলছে এবং অনেক ভালো সম্মানের সহিত তার পরিবারকে নিয়ে পরিচালনা করতে পারছে এটি গনি মিয়ার সবচেয়ে বড় সার্থকতা।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে এবং নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে ও নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করি এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতা করতে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "মায়ের দোয়া শেষ পর্ব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
সত্যি আপু মায়ের দোয়া সব সময় কাজে লাগে। সত্যি গনি মিয়া তার মায়ের জন্য হয়তো বড় কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। আসলে পৃথিবীতে মা এর দোয়ার ওপরে আর কোন দোয়া নেই। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
একটা সন্তানের মাথার উপর সবসময় বাবা-মায়ের দোয়ায় থাকে। আর মায়ের দোয়া কখনো বিফলে যায় না এটা একেবারে সত্য একটা কথা। যে সন্তানের মাথার উপর মায়ের দোয়া রয়েছে, সে কখনোই বিফল হবে না। তার চেষ্টা অবশ্যই সফল হবে। গনি মিয়ার মা এবং বউ সবসময় তাকে উৎসাহিত করেছে। আর এটা ঠিক যে নিজের আত্মীয়স্বজন আমাদের ভালো চায়না। যারা আমাদের কেউ না তাদেরকে যদি আমরা আপন করে নিই, তারাই দেখা যায় আমাদের জন্য সবকিছু করে। যাইহোক পরবর্তীতে গনি মিয়া সফল হয়েছে এটা দেখে বেশি ভালো লেগেছে।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
একটা সন্তানের উপর তার মায়ের দোয়া থাকলে সেই সন্তান মহাযুদ্ধ ও জয় করতে পারবে। গনি মিয়া ভালো একটা কোম্পানিতে এখন চাকরি করছে এটা শুনে সত্যি খুবই ভালো লেগেছে। গনি মিয়ার মা এবং তার স্ত্রী তাকে সব সময় উৎসাহিত করে গিয়েছে তার বিপদে। কিন্তু আত্মীয়-স্বজনরা তার ভালো চাওয়া তো দূরের কথা থাকে একটু উৎসাহিত করেনি। তবে ওই বড় ভাইটা তার অনেক বড় সাহায্য করেছে। মায়ের দোয়া গল্পটার সবগুলো পর্ব পড়েছি আমি। তাই শেষের পর্বটাও ভালো লেগেছে পড়তে।
আমার গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।