জেনারেল রাইটিং ||| বিপদে ধৈর্য ধারণ করা উচিত।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের এবং বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
source
আমি আজ আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং নিয়ে হাজির হয়েছি "বিপদে ধৈর্য ধারণ করা উচিত"।আমরা এই পৃথিবীতে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস করি। মা বাবা ভাই বোন আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে আমাদের পরিবার।সেই পরিবারে আমরা অনেক যত্নে মা-বাবার কাছে বড় হই। স্কুল-কলেজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের মা-বাবারা পাঠান সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য। তবে এই স্কুল কলেজের সন্তানরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত সকলেই হয় না । কেউ হয়তো বা আদর্শ ভাবে গড়ে ওঠে আবার কেউ ঝরে পড়ে। কিন্তু এই সন্তানদের টেককেয়ার করা দায়িত্ব প্রতিটি মা-বাবার । শুধু ইস্কুল কলেজে পাঠিয়ে দায়িত্ব শেষ তা কিন্তু নয়। সেই সন্তানকে সব দিকে নজর দিতে হবে বাবা মাকে।
আমার সন্তান কোথায় যাচ্ছে? আমার সন্তান কি করছে? তার কি ভালো লাগছে? কি খারাপ লাগছে? সব কিছুই আমাদের দেখতে হবে। আমার যতটুকু চেষ্টা অতটুকু আমি চালিয়ে যাব বাকিটা সৃষ্টিকর্তার হাতে। তবে একটি কথা সৃষ্টিকর্তা বলেছেন যে তোমরা চেষ্টা চালিয়ে যাও বা পরিশ্রম করে যাও তাহলে জীবনে সফলতা আসবেই।এই দুদিনের দুনিয়ায় আমাদের টাকা পয়সা নিয়ে কত কিছু। এত অহংকার,কে কার অর্থ নিয়ে বড় হবে কে কাকে ঠকিয়ে বড় হতে পারবে সমাজে তাই চলছে।মানুষকে ঠকিয়ে মানুষ দিনে দিনে বড় হওয়ার চেষ্টা করছে আর সেই প্রতারণায় ভুক্তভোগী মানুষরা দিনে দিনে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। আসলে প্রতিটি মানুষই চায় একটু সুখ। সুখ চাওয়া বা সুখ পাওয়া অন্যায় কোন আশা নয়।
আমিও সুখ চাই! ওই কোটিপতি উঁচু তলার মানুষটি সেও একটু সুখ আশা করে। কিন্তু এই সুখ পেতে যদি একটি মানুষকে তার সর্বস্ব হারাতে হয় এবং বিপদগ্রস্ত হতে হয় তাহলে এর থেকে আর কষ্ট কি হতে পারে। আজ হয়তোবা আপনি অনেক উঁচু তলার একজন মানুষ কিন্তু বিধাতা কখন কার ভাগ্যে কি লেখেন তা বলা মুশকিল। তাইতো কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো একটু স্মরণ করলে আমরা নিজেকেও শুধরে নিতে পারি মানুষ মানুষের জন্য। আর এই বিপদে যারা ধৈর্য হারা হয়েছেন এবং নিজেকে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করেছেন বিপদে তারাই একমাত্র সফল হয়েছে। যেকোনো কাজ যে কোন কিছু আমরা করি না কেন সবকিছুতেই ধৈর্য লাগে। ধৈর্য হারা হলে জীবনে কোন কিছু করা যায় না।
পরিশ্রম ছাড়া যেমন জীবনে সফলতা আসে না তেমনি সুখ-দুঃখ মিলেই মানুষের জীবন। মানুষের জীবনে হতাশা দুঃখর গ্লানি বইতেই হয়। যেকোনো কাজ করতে গেলে বলা যাবে না আমি এটা পারব না এবং সেই কাজটির পিছনে লেগে থাকতে হবে। বিপদ মোকাবেলার চেষ্টা করতে হবে। বিপদ আসলে হাউমাউ করে চিৎকার করে কাঁদা যাবে না। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে বিপদ মোকাবেলার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একটি মানুষের জীবনে ধৈর্য সবথেকে বড় একটি গুণ।
ধৈর্যশীল মানুষকে সৃষ্টিকর্তা অনেক পছন্দ করেন। কারো বিপদে এগিয়ে না আসতে পারলেও তার বিপদে কখনো হাসি আনন্দ কটুক্তি করে কিছু বলা ঠিক না। কারণ আমারও সেই বিপদগ্রস্ত মানুষ একদিন হতে পারি। তাইতো আমাদেরকে ধৈর্যের সহিত বিপদে মোকাবেলা করা উচিত এবং অন্যের বিপদে নিজেকে উৎসর্গ করা। কারণ মানুষ মানুষের জন্য। আর ধৈর্য শক্তি বিপদ মোকাবেলার প্রধান মাধ্যম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- জেনারেল রাইটিং "বিপদে ধৈর্য ধারণ করা উচিত"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
বিপদের মাঝে সব সময়ই ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সৃষ্টকর্তা ধৈর্যশীল মানুষকে পছন্দ করেন এবং সঠিক সময়ে সঠিক প্রাপ্তি দেন। আমরা বিপদের সময় অনেক ক্ষেত্রে হতাশ হয়ে পড়ি যা একদমই ঠিক নয়। আমরা যদি ধৈর্য ধারণ করে সঠিক কাজগুলো করতে থাকি উপরওয়ালা ঠিকই সেই বিপদ থেকে আমাদের সময় মতো উদ্ধার করবেন। আপনি আজকে চমৎকার একটি লিখনী আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আমার লেখা আপনার পছন্দ হয়েছে এটা শুনে আমার অনেক ভালো লাগছে ভাই।
আমিও সেটাই মনে করি যে পরিশ্রম ছাড়া আসলে জীবনে সফলতা অর্জন করা কখনোই সম্ভব নয়। পৃথিবীর ইতিহাসে যারা সফল হয়েছে তাদের জীবনী পড়লে বোঝা যায় যে তারা কতটা পরিশ্রমী ছিল। বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই বিত্তবান হতে চাই কিন্তু আমরা কেউই পরিশ্রম করতে চাই না সেইসাথে আমাদের সামনে যদি ছোট্ট একটা বিপদ আসে আমরা ধৈর্য হারা হয়ে পড়ি, কিন্তু আমাদের এটা মনে রাখতে হবে সবসময়ই যে বিপদে পড়লে সব সময় ধৈর্য ধারণ করা উচিত। ধৈর্যের মাধ্যমে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট তুলে ধরার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বিপদের সময় আসলে অনেকেরই ব্রেইন ঠিকঠাক মতো কাজ করে না। কারণ আমরা বিপদে ভয় পেয়ে খেই হারিয়ে ফেলি। তবে বিপদে পড়লে সব সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত।ঠিক এই মুহূর্তে আপনার লেখাটি পড়ে আমার আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় rme দাদার কথা মনে পড়ে গেল। কিভাবে তিনি বিপদের সময়ে মাথা ঠান্ডা রেখে বিপদের মোকাবেলা করেছেন তা তিনি হ্যাং আউটে আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন দিদি আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদা অনেক ঠান্ডা মাথায় সবসময় কাজ করেন।
আমাদের জীবনে বিপদ আসবে এটাই স্বাভাবিক৷ তাই বলে আমরা এই বিপদকে দেখে ভয় পেয়ে যাব এবং এই বিপদে সম্মুখীন করার জন্য আমরা কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ না করে একেবারে বিপদের সাথে নিঃশেষ হয়ে যাবে তা কখনোই হতে পারে না৷ আমাদেরকে অবশ্যই এই বিপদের সম্মুখীন করতে হবে এবং ধৈর্য ধারণ করতে হবে৷ কারণ বিপদের পর অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে৷ তাই যদি আমরা ধৈর্য ধারণ করে বিপদের সম্মুখীন হতে পারি এবং ধৈর্য ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমরা আমার জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারব৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দরভাবে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
আপু আজকের লেখা ব্লগটি একদম যথার্থ কিছু কথা তুলে ধরেছেন ৷আসলে ধৈর্য শক্তি থাকা অতি আবশ্যক আমাদের সমাজে টিকে থাকতে হলে ৷ আর সেটা যে কোনো বিষয়ে কথায় বলে না ধৈর্যের ফল সুমিষ্ট হয় ৷
আর জীবন মানে ভালো মন্দ থাকবেই ৷
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলেই এই দুই দিলে দুনিয়া মানুষ টাকার জন্য অনেক কিছুই করতেছে। প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের উচিত নিজের সন্তানদের প্রতি প্রতিনিয়তই খেয়াল রাখা। আর যে কোন বিপদে পড়লে সব মানুষের উচিত ধৈর্য ধরা। কারণ ধৈর্যের ফল খুবই মিষ্টি হয়। আমরা যদি বিপদের সময় ভেঙে পড়ি, তাহলে আমরা পরবর্তীতে কোন কিছুই করতে পারবো না। কিন্তু আমরা যদি ধৈর্য ধরে থাকি, তাহলে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো। মানুষের সফলতা এমনিতে কখনোই আসবেনা। পরিশ্রমের মাধ্যমেই সফলতার দুয়ারে এগিয়ে যেতে হবে। আর বিপদ-আপদ জীবনে অবশ্যই আসবে। এতে ভেঙে না পড়ে ধৈর্য ধরাটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক মানুষকে দেখা যায় বিপদে ভেঙে পড়তে। তারা ধৈর্য হারিয়ে ফেলে বিপদ হলে। কিন্তু এটা করা একেবারেই উচিত হয় না। সবার উচিত বিপদ আসলেই ধৈর্য ধরা, এমন কি নিজেকে শক্ত করা। তাহলে আমরা সেই বিপদের সম্মুখীন হতে পারব। এমন কি বিপদটাকে দূর করতে পারবো। প্রত্যেকটা বিষয়ে প্রত্যেকটা মানুষকে সচেতন থাকা জরুরী। কারণ কোন সময় কোন বিপদ আসবে এটা আমরা কেউই বলতে পারব না। জীবনে বিপদ আসবে বলে থেমে যাব এটার কোন প্রশ্নই আসে না। তাই তো সবার উচিত থেমে না থাকা। ধৈর্য ধরে এগিয়ে যাওয়া।
ঠিক বলেছেন ভাই থেমে না থেকে কাজ করে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত।
মাঝে মাঝে আমাদের জীবনে এমন কিছু বিপদ নেমে আসে যেই সময় আমরা অধৈর্য হয়ে যাই আর ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তাইতো জীবনের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আমরা অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলি। তাই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এবং নিজেকে সংযত রাখা উচিত। আপু আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমার লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে বিষয়টি আমার কাছে অনেক উৎসাহ মূলক।
বিপদে ধৈর্য ধারণ করাই হলো ভালো থাকার সব থেকে বড় ওষুধ। কারণ অনেকেই রয়েছে যারা সামনে বিপদ দেখলেই ভেঙে পড়ে। তবে সেই বিপদকে সামনে থেকে মোকাবেলা করতে পারলেই ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব। এর জন্য স্কুল কলেজে গিয়ে বাচ্চাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া অত্যন্ত জরুরী। আপনার এই পোস্টটা পড়ে অনেকের ভিতরেই হয়তো পজেটিভ ইম্প্যাক্ট আসবে। ভালো লাগলো আপু, আপনার লেখা একটা শিক্ষামূলক পোস্ট পড়ে।
আপনার সাথে একমত দাদা।
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি টপিক আলোচনা করেছেন। বিপদে ধৈর্য ধরা বুদ্ধিমানের কাজ। ধৈর্য ধরতে পারলেই একদিন জীবন থেকে অন্ধকার চলে যাবে আর আলোর দেখা পাওয়া যাবে। ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে সবাই যেমন পছন্দ করে তেমনি মহান আল্লাহ তায়ালাও পছন্দ করেন। কোনো কাজে হেরে গিয়ে ধৈর্য হারিয়ে হাল ছেড়ে দিলে চলবে না। ধৈর্য ধরে সেই কাজকে একটু একটু করে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাহলেই জীবনে সফলতা পাওয়া যাবে। যাই হোক আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি টপিক সুন্দর ভাবে আলোচনা করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার লেখাটি আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে অনেক খুশি হলাম।