রেসিপি পোস্ট ||| মুচমুচে ঝাল বুনদা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি।
শীতের হাওয়া যেমন বইছে চারিদিকে তেমনি মনটাও প্রফুল্লতায় ভরিয়ে থাকে এই শীতে। শীতের সময় প্রত্যেক বাঙালির ঘরে ঘরে চলে পিঠাপুলির ধুম। আমরা বাঙালি, বাঙালি জাতি হিসেবে আমরা বিভিন্ন উৎসবে নানান রকমের রেসিপি তৈরি করতে অনেক উৎসাহ বোধ করি। অতিথি আপ্যায়নেও বাঙ্গালীদের জুড়ি নেই। তবে এই শীতের সময় কেন জানি সবকিছু অন্যরকম লাগে। শীতের প্রকৃতি যেমন ভাল লাগে তেমনি শীতের সময় ভাঁজাপোঁড়া খেতেও কিন্তু মন্দ লাগে না। সকালে বলেন আর বিকালে চায়ের সঙ্গে নাস্তার আয়োজনে বলেন ভাঁজাপোঁড়ার কোন জুড়ি নেই। তবে বাইরের খাবারের চেয়ে যদি আমরা নিজের বুদ্ধি দিয়ে কিছু নতুন রেসিপি তৈরি করি এবং পরিবারসহ একত্রে মিলিত হয়ে খাই তাহলে সেই ক্ষেত্রে আনন্দটাও অনেক বেশি।আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এই রেসিপিটি তৈরি করেছি আমি অনেক ভেবে।কারণ যদি মজা না হয় তাহলে সব ফেলে দিতে হবে। তবে আমার কষ্ট সার্থক হয়েছে। রেসিপিটি এত মজা হয়েছিল।আপনারা নিজে বানিয়ে না খেলে আমার কথা বিশ্বাস হয়তো করবেন না।বুনদা রেসিপিটি আমরা সবাই চিনি।রমজান মাসে আমাদের রসে টুপটুপা এই বুনদা না হলে চলেই না।আমি আপনাদের মাঝে এই "মুচমুচে ঝাল বুন্দা" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন কথা না বাড়িয়ে এই "মুচমুচে ঝাল বুন্দা"টি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।বেসন।
২।চালের গুঁড়া।
৩।হলুদের গুঁড়া।
৪।মরিচের গুঁড়া।
৫।জিরা গুঁড়া।
৬।টেস্টি মসলা।
৭। রোস্ট মসলা।
৮।রসুন।
৯।লবণ।
১০।সয়াবিন তৈল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে বেসন,চালের গুঁড়া ও মসলার সমস্ত উপকরণ একত্রে নিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিয়েছি।
সেই পেস্টটি অনেকক্ষণ চামুচ দিয়ে নেড়েছি।
এবার একটি কড়াইয়ে তৈল গরম করে সেই তৈলে উপর থেকে ছিদ্র করা একটি চামুচের ভেতরে সেই পেস্ট নিয়ে আরেকটি চামুচ দিয়ে নেড়ে তেলের ভেতরে ভেঁজে নিয়েছি।
এভাবে পর্যায়ক্রমে চামুচটি নেড়ে সব সাইডে পেস্ট গুলো দিয়ে দিয়েছি এবং ভাঁজাকাঠি দিয়ে নেড়ে দিয়েছি যেন পুড়ে না যায়।
![]() | ![]() |
---|
এভাবে এক চামুচ করে সবগুলো ভেঁজে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মুচমুচে ঝাল বুনদা" রেসিপি। এবার এই "মুচমুচে ঝাল বুনদা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মুচমুচে ঝাল বুনদা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
মুচমুচে ঝাল বুনদা নামটি প্রথম শুনলাম। আমাদের এদিকে বুনদাকে বুন্দিয়া বলে। মিষ্টি বুন্দিয়া অনেক খেয়েছি। কখনো এভাবে মুচমুচে ঝাল বুনদা খাই নি। রেসিপিটা আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটি ট্রাই করবো আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু বুন্দিয়া কিন্তু আমাদের এলাকায় এটাকে বুনদা বলে।জি আপু বাসায় ট্রাই করে দেখেন খেতে অনেক মজা।
চমৎকার রেসিপি আপু। মুচমুচে বোদে রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় লাগছে।বানানোর পদ্ধতি গুলো খুব সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার বোদে রেসিপি দেখে তো আমার জিভে জল চলে আসলো এই রাত্রিবেলায় এখন কোথায় পাবো বোদে।ধন্যবাদ আপু মুচমুচে সুস্বাদু লোভনীয় বোদে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
মজাদার একটি রেসিপি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু আপনার এই রেসিপি কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এজাতীয় রেসিপি আমার খুবই প্রিয়। দেখলে ইচ্ছে করে খেতে। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি তৈরি করেছেন।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, রমজান মাস আসলে আমাদের এই বুনদা রেসিপি ছাড়া একদমই চলে না। রমজান মাসের খুবই কমন ও প্রিয় খাবার এটি। তবে আপু আপনি যাকে বুনদা রেসিপি বলছেন, আমরা তাকে বুন্দিয়া বলে চিনি। যাইহোক নামে কি যায় আসে স্বাদ নিয়ে হচ্ছে কথা। আর এই স্বাদের রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা দেখে সকলেই তৈরি করতে পারবে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।তবে রেসিপিটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন রেসিপিটা ট্রাই করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অবশ্যই আপু ট্রাই করে দেখেন অনেক ভালো লাগবে।
আমার কাছে আপনার রেসিপিটা একদম ইউনিক লেগেছে, কারন সচরাচর বুনদা মিষ্টি জাতীয় খাবার, আপনি এটি কে ঝাল ভাবে তৈরি করেছেন ব্যাপারটা বেশ দারুন এবং খেতেও নিশ্চয়ই ভালো হবে।
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
দারুন একটি রেসিপি করেছেন আপু। সব সময় মিষ্টি বুন্দিয়া খাওয়া হয় ক্খনও ঝাল বুন্দিয়া খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ও মুখরোচক ছিল।
ইউনিট একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। তবে রেসিপিটি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ঝাল বনুদার রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি। তবে মিষ্টি বনুদা খেয়েছি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই । বাসায় একটি ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
মিষ্টি বুনদা তো অনেক খেয়েছি তবে ঝাল বুনদা আগে কখনো খাওয়া হয়নি আমার। আপনার কাছ থেকে নতুন ভাবে এই রেসিপিটি শিখতে পেরে ভালো লাগলো। বাইরে খাবার না খেয়ে বাড়িতে এভাবে খাবার তৈরি করে, পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খেলে অনেক আনন্দ লাগে। যাইহোক, রেসিপিটি অনেক মজার হয়েছিল জেনে ভালো লাগলো আপু।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
বুনদা খাওয়া হয়েছে। তবে কখনো ঝাল বুনদা খাওয়া হয়নি৷ আজকে এই প্রথম আপনার কাছ থেকেই ঝাল বুনদা রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম৷ একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন৷ যেভাবে আপনি এর ধাপগুলো শেয়ার করেছেন, চেষ্টা করব এরকম একটি রেসিপি তৈরি করে দেখার।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।