রেসিপি পোস্ট ||| লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আশা করছি সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
এই সময়টা প্রত্যেকের ঘরে ঘরে যেন অসুস্থতা বাসা বাঁধছে।সবার মুখে মুখে বাচ্চা অসুস্থ ও পরিবার অসুস্থ।অসুস্থতায় কেউ যদি থাকে বাসায় ভালো লাগে না তখন।এই সময়টা বিশেষ করে ঠান্ডা, জ্বর, কাশি ইত্যাদি নানান ধরনের কঠিন অসুখেও অনেকে ভুগে আছেন।আমরা সব সময় যদি ঔষুধের আশায় থাকি ঔষুধ খেলেই আমরা সুস্থ হবো তা কিন্তু ঠিক নয়। ঔষুধের পাশাপাশি আমাদের নানান ধরনের ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে যেটা আমাদের শরীরের জন্য ভালো।জ্বরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেলে জ্বর থেকে কিছুটা হলেও সুস্থ হওয়ার আশঙ্কা পাওয়া যায়। দু'দিন থেকে আমারও প্রচন্ড হাঁচি ঠান্ডা। কোন কিছু খেতেও কেন জানি ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম একটা নতুন রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যাক। যে ভাবনা সেই কাজ।"লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা" খেলাম। আসলে বলে তো বোঝানো যাবে না। এতটা মজা হয়েছিল। কেউ করে না খেলে বুঝতে পারবেন না। আমড়া গুনাগুনে ভরপুর।রক্ত স্বল্পতায় দারুন কাজ করে আমড়া।যাদের কোন কিছু খাওয়ার রুচি নেই এই আমড়া খেলে রুচি বাড়ে। একটি আপেলের চেয়েও বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে আমড়াতে। নিয়মিত আমরা খেলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল থাকে। যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে আমড়ায়।আমড়া হাড় ও দাঁতের জন্য অনেক ভালো। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "লেবু পাতা দিয়ে আমরার ঝুড়ি মাখা" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। আমড়া।
২। কাঁচা মরিচ।
৩। শুকনো মরিচ।
৪। লেবু পাতা।
৫। সরিষার তৈল।
৬। চিনি।
৭। লবণ।
প্রথমে আমড়া গুলো পরিষ্কার করে একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার আমড়াগুলোর গা থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি ।
এবার সবজি ঝুরি করার মেশিন দিয়ে আমড়া গুলো ঝুড়িঝুড়ি করে নিয়েছি।
শুকনা মরিচ,কাঁচামরিচ,লবণ এবং সরিষার তৈল দিয়ে ভালো করে মিশ্রনটি মেখে নিয়েছি।
এবার ঝুরি করা আমড়াগুলোতে মরিচের মিশ্রণটি দিয়ে দিয়েছি এবং হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি।
আমড়া গুলো মেখে নেওয়ার পর তার ভেতরে সরিষার তৈল ও লেবু পাতা ছিড়ে সেই আমড়াতে আবারো মেখে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা" রেসিপি।এবার এই "লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
ঠিক বলছেন আপু শুধু যে ঔষুধ খেলে আমাদের অসুখ ভালো হয়ে যাবে তা একদম ঠিক নয়। তা আমাদের করা উচিত নয়। এমন কিছু কিছু খাবার আছে যা ঔষধি হিসেবে কাজ করে। যেমন টক জাতীয় খাবার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বাড়ায়। আপনি বেশ মজার করে লেবু পাতা দিয়ে আমড়া মাখা তৈরি করলেন। অনেক ভালো লাগবে খেতে আশা করি।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমড়ার ঝুড়ি মাখা আমারও খুব ফেভারিট। বিশেষ করে বেশি করে শুকনা ঝাল আর কাসুন্দি দিয়ে প্রস্তুত করলে খেতে সবথেকে বেশি মজা হয়।
আপনার প্রস্তুত করা দেখেই জিভে জল চলে আসলে খুব মজা হবে।
অনেকেই কাসুন্দি দিয়ে মাখা পছন্দ করে না তবে এইভাবে মাখলেও মজা কিন্তু কম হয় না।
এভাবে আমরা বাঁকা খেতে আমিও পছন্দ করি আপু তবে অনেক সময় লাগে এভাবে প্রস্তুত করতে যার জন্য খাওয়া হয়ে ওঠে না কিন্তু আমাদের গাছের আমরা বেশ কয়েকবার খেয়েছি। রেসিপিটা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে তাই যেন লোভ সামলানো কঠিন। তবে আপনি যেভাবে ঝাল মাখাচ্ছেন ঝাল কিন্তু আমি মোটেও সহ্য করতে পারি না।
ভালোভাবে খেতে গেলে একটু তো ধৈর্য ধরে করতেই হবে ভাই।
একদম ঠিক বলেছেন আপু ইদানিং একেবারে ঘরে ঘরে মানুষের অসুস্থতা । এখনকার জ্বর তো মানুষকে একেবারে কাহিল করে দিয়ে যায় । সত্যি মুখে রুচি থাকে না কিছু খেতেও ভালো লাগে না । এরকম একটি খাবার হলে তো মন্ধ হয় না । আমি এভাবে কোনদিনও খাইনি আপনার আমড়া দেখে সত্যি সত্যি আপু আমার জিভে পানি চলে এসেছে। আমিও শিখে নিয়েছি এভাবে করে খাব একদিন ।
জ্বী আপু এভাবে এই রেসিপি করে খেয়ে দেখেন অনেক মজা লাগবে।
ঠিক বলেছেন আপু পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে একদমই ভালো লাগে না। এখন আবহাওয়ার খুব পরিবর্তন হচ্ছে তারজন্য সবার ঘরে ঘরে ঠান্ডা জ্বর লেগেছে আছে। অসুস্থতার সময় কিছুই খেতে ভালো লাগে না তবে এভাবে টক ঝাল আমড়া মাখা খেতে কিন্তু অনেক ভালো লাগে। আপনার আমড়া মাখা দেখে জিভে জল চলে আসলো। লেবু পাতা দেওয়াতে এর স্বাদ আরও বেড়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ আপু এমন রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু লেবু পাতা দেয়ার কারণে এর টেস্টটা একটু ব্যতিক্রম ছিল।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এটা জেনে ভালো লাগলো যে এই রেসিপিটা ডায়াবেটিকস কন্ট্রোল করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর আগে আমি কোনদিন লেবু পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুড়ি মাখা খাইনি।
চেষ্টা করি সব সময় এক একটু ব্যতিক্রম কিছু করার।
আমড়ার ঝুড়ি মাখা রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এসেছে আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। বর্তমানে আমড়া খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে এই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অবশ্যই একদিন এভাবে এই রেসিপি তৈরি করে খেয়ে দেখব আপু।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমড়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমড়া মাখা খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তবে লেবু পাতা এবং চিনি দিয়ে আমড়া মাখা কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখবো। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আমড়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার।
ঠিক বলেছেন আপু এই সময়টাই এমন। সবারই ঠান্ডা জ্বর কাশি লেগে আছে। একজনের সারে তো আরেকজনের শুরু হয়। তাছাড়া জ্বর হলে ভিটামিন সি আমাদের জন্য আসলেই অনেক উপকারী। আপনার আমড়া মাখা দেখেইতো মুখে পানি চলে এসেছে। অনেক দিন এভাবে আমড়া মাখা খাওয়া হয় না। এরকম লোভনীয় রেসিপি কেউ শেয়ার করে। লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
আপু চলে আসেন বাসায় আবার মেখে খাওয়াবো।
আপনি একদম ঠিকই বলেছেন আপু, অসুস্থ হলে শুধুমাত্র ওষুধের আশায় থাকলে হয় না। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি আমাদেরকে অনেক পুষ্টিকর খাবার এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে তাহলেই আমাদের শরীরে ওষুধ আরো ভালোভাবে কাজ করবে। আর অসুস্থ শরীরে মুখে রুচি না থাকলে এভাবে আমরা মাখিয়ে খেলে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু লেবুর পাতা দিয়ে আমড়ার ঝুরি মাখার লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।