প্রতিযোগিতা-১৫ ! আমার অংশ গ্রহণ !! কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে ফলের জুসের প্রতিযোগিতা-১৫ কনটেস্ট চলছে। সেই প্রতিযোগিতায় সবার মত আমিও অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।
যে ফলটি নিয়ে জুস তৈরি করব সেই ফলটি হচ্ছে পেয়ারা। পেয়ারা আমাদের সকলের অতি প্রিয় একটি ফল। স্বাদে গন্ধে ও পুষ্টিতে ভরপুর। অন্যান্য ফল থেকে পেয়ারা একটু ব্যতিক্রম ধরনের ফল।পেয়ারাকে আমরা দেশি ফল হিসেবেই চিনি। অনেক ফল বাজারে আছে কিন্তু সব ফলের সব ধরনের ভিটামিন থাকে না।
পেয়ারা সম্পর্কে আমি যা জানি তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। এই পেয়ারা ফলে রয়েছে ভিটামিন এ ভরপুর এবং যেকোনো সময়ে সহজেই পাওয়া যায়। পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফাইবার ইত্যাদি । প্রতিদিন আমরা যদি পেয়ারা খাই তাহলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে পেয়ারা। এতে আছে ভিটামিন এ যা চোখের কর্নিয়া কে ভালো রাখে । আমাদের রক্তচাপ কমায়, ত্বক সুস্থ রাখে, দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে পেয়ারা । একটি পেয়ারার খাদ্যগুণ কমলার চেয়ে চারগুণ বেশি, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক উপকারী। পেয়ারা খাবারের রুচি আনে। এখন রোজার সময় এমনিতেই খাবারের প্রতি রুচি কমে যায়। আমরা যদি প্রতিদিন একটি করে পেয়ারা জুস করে খাই তাহলে আমাদের শরীরে অনেকটা সুস্থতা ফিরে আসে। আমি সবার দিক বিবেচনা করে এই "কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস" টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম আশা করি সবাই উপকৃত হবেন।
উপকরণসমূহ👇👇
১। পেয়ারা।
২। লেবু
৩। পুদিনা পাতা।
৪। কাঁচামরিচ।
৫। বিট লবণ।
৬। চিনি।
৭। পানি।
৮। বরফ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
-----↘️ প্রস্তুত প্রণালী ↙️------
---------↘️প্রথম প্রক্রিয়া ↙️----------
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে বাজার থেকে পেয়ারা এবং পুদিনার পাতা ক্রয় করে নিয়ে আসলাম।
---------↘️দ্বিতীয় প্রক্রিয়া ↙️-------
পেয়ারাটি সুন্দর করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে কেটে নিলাম।
---------↘️তৃতীয় প্রক্রিয়া ↙️--------
এবার কাটা পেয়ারা থেকে বীচির অংশটুকু আলাদা করে ফেললাম।
---------↘️ চতুর্থ প্রক্রিয়া ↙️--------
এরপর পেয়ারার লম্বা টুকরো গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
---------↘️ পঞ্চম প্রক্রিয়া ↙️---------
এবার পুদিনার পাতা গুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
----------↘️ ষষ্ঠ প্রক্রিয়া ↙️----------
লেবুটি সুন্দর করে কেটে নিয়েছি।
---------↘️ সপ্তম প্রক্রিয়া ↙️----------
কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
---------↘️ অষ্টম প্রক্রিয়া ↙️----------
ব্ল্যান্ডারে পেয়ারার সব টুকরো গুলো দিয়ে দিলাম।
----------↘️ নবম প্রক্রিয়া ↙️----------
কাঁচামরিচের টুকরোগুলো ব্ল্যান্ডারে দিয়ে দিলাম।
----------↘️ দশম প্রক্রিয়া ↙️----------
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
পুদিনার পাতা,চিনি,বিট লবণ এবং লেবুর রস ব্ল্যান্ডারে দিয়ে দিলাম।
-----↘️ এগারো তম প্রক্রিয়া ↙️------
![]() | ![]() |
---|
এবার ব্ল্যান্ডার চালিয়ে সব মিক্সট করে নিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে নিয়েছি।এরপর জুসগুলো ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়ে পরিবেশনের জন্য, পরিবেশনের গ্লাসে পেয়ারার জুসগুলো নিয়ে এর মধ্যে দুই /তিনটি বরফের টুকরো দিয়ে তৈরি হয়ে গেল আমার "কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস"।এবার জুস পরিবেশনের সময় "কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।সব সময় নতুন কিছু তৈরি করে সবার সামনে উপস্থাপন করতে পারলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম দিয়েছেন আমাদের।আর এই প্ল্যাটফর্মে সব সময় নিরপেক্ষতার প্রমাণ পাই।তাই এই কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা ............
কাঁচা পেয়ারার জুস আমার কাছে একদম নতুন মনে হচ্ছে। আমি কখনো কাঁচা পেয়ারার জুস খাইনি। আপনি খুব চমৎকার করে কাঁচা পেয়ারার জুস রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাঁচা পেয়ারার জুস রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
জি ভাই জুসটি অনেক মজাদার ছিল। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এভাবে কাঁচা পেয়ারার জুস কখনো খাওয়া হয়নি।তবে সেইদিন পেয়ারা কিনে এনেছিলাম জুস তৈরি করার জন্য।এনে দেখি সবগুলো পেয়ারার ভিতরে পোকা।যাই হোক আপনি মনে হচ্ছে আেশ মজা করে জুস বানিয়েছেন।ভালে লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে
চেষ্টা করেছি কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস তৈরি করার এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো আপু।
এটা ঠিক আছে । যাদের দাতে সমস্যা তাদের জন্য খুবি দারুন একটি শরবত হয়েছে। দেখতেও দারুন লাগলো আমার কাছে। তবে মরিচ দিয়েছে তাই পেট জালাপোড়া করার সম্ভাবনা তো থাকছেই।ভাল ছিল। ধন্যবাদ।
কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে এবং এর একটা আলাদা ফ্লেবার আছে। তাই পরিমান মত দিয়েছি ভাই। এতে পেট জালপোড়া করবে না ইন-সা-আল্লাহ।
কাঁচা সবুজ পেয়ারার সুস্বাদু শরবত রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। আপনাদের শরবত আমার খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।
আমার কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস আপনার অনেক পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনার কাঁচা পেয়ারার শরবত দেখে আমার লোভ লেগে গেছে খাওয়ার জন্য। আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে আপনার শরবত দেখে। আপনার সার্ভার দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই দারুণ লেগেছে। পারলে আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস আপনার ভালো লেগেছে বিষয়টি আমাকে অনেক উৎসাহিত করলো আপু।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দারুন নতুন নতুন সব ফলের জুস তৈরির রেসিপি জানতে পারলাম। কাঁচা পেয়ারার জুস কখনো খাইনি। এমনকি কোথাও বিক্রি হতেও দেখিনি। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি। ধন্যবাদ
আমি চেষ্টা করেছি ব্যতিক্রম একটি ফলের জুস তৈরি করার।
কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুস বা শরবত তৈরি করা যায় এটাই জানতাম না। আপনি আজ তা করে দেখিয়েছেন। নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। কালার ও সেই হয়েছে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি শরবত বানিয়ে শেয়ার করার জন্য
জি আপু অনেক মজার ছিল জুসটি।
পেয়ারা দিয়ে জুস তৈরি করা যায় সেটা আগে জানা ছিল না। আপনার পোস্ট দেখেই প্রথম জানতে পারলাম পেয়ারা দিয়ে ও জুস তৈরি করা যায়। মজাদার জুস তৈরির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি কাঁচা সবুজ পেয়ারার জুসটি অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে এটা উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পেয়ারা অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি ফল। আজকে আপনি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে পেয়ারা দিয়ে শরবত তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছেন আপু। কোনদিন পেয়ারা দিয়ে শরবত তৈরি করে খায়নি তারপরও আপনার তৈরি করে শরবত দেখে আমার অনেক ভালো লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।