রেসিপি পোস্ট ||| সুস্বাদু সুজির কেক।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমি যদিও অসুস্থ তারপরও চেষ্টা করে যাচ্ছি কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি ইউনিক রেসিপি পোস্ট নিয়ে। কেক খেতে আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি বিশেষ করে বাচ্চাদের তো অনেক প্রিয়।আমরা যে কেক গুলো খেয়ে থাকি স্পন্স কেক, চকলেট কেক,লেমন কেক,ভ্যানিলা কেক ইত্যাদি। এই কেকগুলো আমরা সবসময় নিজেরা তৈরি করে খাই এবং বাইরে থেকে কিনেও খাই।তবে আজ একটু ভিন্ন ধরনের কেক নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।যেকোনো রেসিপির ভিন্নতা আনলে সেই খাবার দেখতে যেমন লোভনীয় লাগে খেতেও অনেক সুস্বাদু। তাইতো কেকের ভিন্নতা নিয়ে আমি আজ আপনাদের মাঝে "সুস্বাদু সুজির কেক" নিয়ে হাজির হয়েছি।"সুস্বাদু সুজির কেক" তৈরি করতে সেরকম ঝামেলা পোহাতে হয় না। অতি অল্প সময়ে খুব দারুণভাবে এই কেক করা সম্ভব। খাবার ভিন্নতা পেতে এবং খাবারের স্বাদ পেতে এই কেকটি তৈরি করে বিকালের নাস্তা হিসেবেও আপনারা খেতে পারেন। তবে কেকটি অনেক মজাদার ছিল।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের মাঝে যে "সুস্বাদু সুজির কেক" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি সেই রেসিপির সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।ময়দা।
২।সুজি।
৩।চিনি।
৪।ডিম।
৫।বেকিং পাউডার।
৬।সয়াবিন তৈল।
প্রথমে ডিম ফেটে নিয়েছি।
এরপর ডিম চিনি একসঙ্গে ফেটে নিয়েছি।
এরপর সেই উপকরণে বেকিং পাউডার দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ ফেটে নিয়েছি।
ডিমের মিশ্রণে সুজি মিক্স করে নিয়েছি।
ডিম সুজি সকল উপকরণ একত্রে মিক্স করার পর তার সঙ্গে সামান্য পরিমাণ ময়দা ও তৈল মিক্স করে নিয়েছি।
এরপর সেই মিশ্রণটি অনেকক্ষণ নেড়ে কিছুক্ষণ রেস্টে রেখে দিয়েছি।
একটি সসপেনে সামান্য পরিমাণ ঘি দিয়ে তারপর মিশ্রণটি ঢেলে নিয়েছি।
এরপর ঢাকনা দিয়ে ভালো করে চেপে চুলার আচে সামান্য রেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি।
২০মিনিট থেকে ২৫ মিনিট পর ঢাকনাটি খুলে একটু চেক করে নিলাম কেকটি হয়েছে কিনা। তারপর দেখে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।আর এইভাবে হয়ে গেল আমার "সুস্বাদু সুজির কেক"।এবার এই "সুস্বাদু সুজির কেক" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
মাঝে মাঝে ভিন্ন কিছু তৈরি করতে খুব ভাল লাগে। তাছাড়া ভিন্ন স্নাদের জিনিস খেতেও ভালো লাগে। আপনি সুজি দিয়ে লেক তৈরি করলেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাস্থ্য ছিলো। সুজি দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে খুবই সফট হয়। আশা করি কেক খেতে খুবই ভালো লাগছিল আপু।
জি আপু কেকটি খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
আপু ঠিক বলেছেন রেসিপির ভিন্নতা আনলে সেই খাবার দেখতে যেমন লোভনীয় লাগে তেমনি খেতেও অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনি আজ সুজি দিয়ে খুবই মজাদার কেক বানিয়েছেন। আমি অনেক আগে একবার বানিয়েছিলাম আর খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার এই কেক দেখে আবারও খুব খেতে ইচ্ছে করছে। সময় পেলে অবশ্যই আবার বানানোর চেষ্টা করবো। মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন ধরনের রেসিপি হলে খুব ভালো হয়। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
কেক তৈরির খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই জিনিসটা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি যেভাবে এটা তৈরি করেছেন তা দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
জি ভাই এ ধরনের খাবার আসলে মুখরোচক তো তাই সবারই ভালো লাগে।
আপু আপনি একটা চমৎকার রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে বিকেলের নাস্তাতে কেকের কোন বিকল্প নেই, আপনার এই সুজির কেকটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। সুজির কেক তৈরি করার প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপনা করেছেন। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই রেসিপিটা দেখে।
জি আপু এ ধরনের কেক বিকেলের নাস্তায় বেশি ভালো লাগে।
সুজির কেক ভীষণ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু একটি খাবার।আপনি চমৎকার সুন্দর করে সুজির কেক বানিয়েছেন। ভীষন লোভনীয় হয়েছে আপনার বানানো সুজির কেক টি।কেক তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে কেক তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার কেক তৈরি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
সুজির কেক বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে খাওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনদিন বাসায় তৈরি করে সুজির কেক খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি বাসায় বসে সুস্বাদু সুজির কেক রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা সুজির কেক রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে কেক রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন।
বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখেন অনেক ভালো লাগবে।
আপনি তো দেখছি অনেক ইউনিক ভাবে আজকে কেক তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা এত মজাদার সুজির কেক দেখে তো আমার খুব ভালো লেগেছে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমি অনেকবার বিভিন্ন ফ্লেভারের কেক তৈরি করেছি। কিন্তু সুজির কেক এরকম ভাবে কখনোই তৈরি করা হয়নি। আপনি আজ সুজির কেক তৈরি করেছেন দেখে, শিখে নিলাম খুব সহজেই এই কেক তৈরি করার পদ্ধতি। দেখে তো মনে হচ্ছে সুজির এই কেক অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। নিশ্চয়ই খেতেও খুব ভালো লেগেছে। আমি তো অবশ্যই তৈরি করবো এই কেক।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
আপনি আজ আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সেটি হচ্ছে সুস্বাদু সুজির কেক। ছোট বেলা থেকে আমার কেক যেন ভালোই লাগে খেতে। এর আগে মুদিখানার দোকানে সকাল সন্ধ্যা একটি কেক পাওয়া যেত সেই একটি বেশ ভালই লাগতো আমার খেতে।। আপনার কেক দেখে খেতে ইচ্ছে করছে মনে হচ্ছিল খুব সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল।
জি ভাই খেতে অনেক খেয়ে সুস্বাদু এবং মজাদার ছিল।
আপু দারুর একটি রেসিপি শিখালেন তো। এভাবে তো কখনো চিন্তা করি নাই। সুস্বাদু সুজির কেক রেসিপিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে সুজি দিয়ে এই কেক রেসিপি বানালে খারাপ হয় না। দেখে ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আমি ও কেক অনেক বানায় তবে কখনো সুজি দিয়ে কেক বানানো হয়নি। আপনার কেক দেখে মনে হচ্ছে সত্যি অনেক মজার ছিল। বিশেষ করে বিকেল বেলা চায়ের সাথে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।