ছোট গল্প |||| অপেক্ষায় ছিলাম পর্ব-০২ ।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা এই প্রচন্ড শীতে আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আর একটি পোস্ট নিয়ে। গল্প কবিতার রেসিপি যাই বলেন না কেন সবকিছু নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে আমার অনেকে ভালো লাগে।আমি রীতিমতো আপনাদের মাঝে আমার স্বরচিত কবিতা সপ্তাহে একটি নিয়ে হাজির হই এবং তার পাশে এবার চেষ্টা করেছি গল্প নিয়েও হাজির হতে।তাইতো একটি গল্প আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম।আমি চেষ্টা করেছি গল্পের ভিতরে আনন্দ ভালোবাসা প্রেম, বিরহ বিচ্ছেদ সবকিছু রাখতে।জানিনা আমার গল্পটি আপনাদের কেমন লেগেছে তবে চেষ্টা করেছি যথাসাধ্য ভালো করার জন্য।আমার গল্পটি আপনাদের ভাল লাগলে তবেই আমার গল্পটি লেখা সার্থক হবে এবং গল্প লেখার উৎসাহ আরো বেড়ে যাবে। এর আগে "অপেক্ষায় ছিলাম" একটি পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম।আজ অপেক্ষায় ছিলাম এর দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূল পর্বে যাওয়া যাক ।
নিরবের বাবা নেই অনেক বছর আগেই রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছে । নিরব তার মায়ের একমাত্র সন্তান। নিরবের মা একজন চাকরিজীবী। নীরব মাকে অনেক ভালোবাসতো। মায়ের জন্য সে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত। কারণ সেই ছোটবেলা থেকে তার মা তাকে অনেক কষ্টে একা মানুষ করেছে। নিরব তার মায়ের সেই কষ্টটি অনুভব করে। নিরব বুঝে পৃথিবীতে যদি একজন ব্যক্তি কাউকে গভীরভাবে ভালোবাসে সেটা তার মা। নিরব মায়ের সব কষ্টের ব্যাপার গুলো দেখতো এবং মাকে সান্ত্বনা দিত মা তোমার অনেক কষ্ট হচ্ছে আমি একটু বড় হয়ে নেই তারপর তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না। তাইতো আজও সাহস করে কাউকে বলা হয়নি ভালোবাসার কথা। কারণ তার মনেপ্রাণে শুধু মায়ের কষ্টের জীবনের কথাগুলো ভেসে ওঠে। আর নিজেকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে সেটি সব সময় তার মাথায় কাজ করে।
বন্ধুত্বের কথার ছলে নীলা নিরবকে একদিন প্রশ্ন করে বলছিল তুমি কি কাউকে ভালোবাসো ?নিরব উত্তরে বলেছিল না আমি কাউকে ভালোবাসি না। তবে নিলা তুমি কি কাউকে ভালোবাসো? নীলা বলেছিল অনেক আগেই ভালোবেসেছিলাম কিন্তু আজও বলা হয়নি অপেক্ষায় আছি।জানিনা আমার অপেক্ষার অবসান কবে হবে নীরব নীলাকে বলল মনের কথা চেপে রাখতে নেই সুযোগ বুঝে তোমার সেই কথাটি বলে দিও। তারপর নিলা কিছুক্ষণ চুপ থেকে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল আমি তো বলতে চাই কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলাম কোথায়? জানিনা আমার সেই সুযোগ কবে আসবে।
একদিন হঠাৎ নীলার বাসায় নীলাকে নিয়ে সবাই কথা বলছিল বিয়ের ব্যাপারে। নীলা অনেক বড় হয়েছে হাতের কাছেও ভালো ছেলে আছে আর দেরি না করে বিয়ের কথা নীলাকে বলতে বলল।রীতিমতো নীলার মা নিলাকে সব কথা খুলে বলল। নীলা সব শুনে মনটা প্রচন্ড খারাপ করে রইলো একটি সময় সে তার মাকে বলল যে লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে নীলা দাঁড়াতে চায়। কিছুতেই নীলাকে বিয়েতে রাজি করাতে পারছিল না।
এদিকে নিরব পড়ালেখা শেষ করে তার ও তার মার ইচ্ছা আছে বিদেশে পাঠানোর। ঠিক যখন লেখাপড়া শেষ করল এবং দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সবকিছু রেডি করল তখন সেই মুহূর্তে নীলাকে দেখা করার জন্য বলল নিরব।কারণ নিরবের জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু নীলা আর তার সুখবর নীলা জানবে না তা কি হয়। এরপর নীলা নিরবের কথা মত দেখা করলো। নীরব তার সুখবরটি নিলাকে জানালো। ঠিক সেই মুহূর্তে নীলা নীরবকে বলল আমার একটা কথা ছিল জীবনে হয়তোবা লাস্ট কথা।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে এবং নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে ও নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করি এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতা করতে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "অপেক্ষায় ছিলাম পর্ব-০২"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
অপেক্ষায় ছিলাম গল্পটার প্রথম পর্ব আমি পড়েছি। আজ এই কারণে দ্বিতীয় পর্ব পড়তেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এই পর্বে তো দেখলাম নীলা এখনো পর্যন্ত নিরবকে তার মনের কথাই বলতে পারল না। নিরবের মা অনেক কষ্ট করেছেন নিরবের জন্য। আর এটা নিরব বুঝতেও পারে। তাইতো সে নিজের মায়ের কষ্টগুলো মুছে দেওয়ার জন্য সবকিছুই ভালোভাবে করছিল। নিরব বিদেশ যাওয়ার আগে নীলার সাথে দেখা করেছিল সুখবরটা দিতে। এখন দেখছি নীলা মনে হয় তার মনের কথাটা বলতে চাচ্ছে। দেখা যাক কথাটা বলতে পারে কিনা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
আমার গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। অবশ্যই পরবর্তী পর্বে এর সমাধান পাবেন।
আসলে আমরা অনেক সময় চাইলেও অনেক কথা বলতে পারি না। কিন্তু বলার পর ফলাফল যা-ই আসুক না কেনো,ফলাফলের কথা না ভেবে বলে দেওয়া উচিত। কারণ না বললে সারাজীবন আফসোস করতে হয়। যাইহোক একদিকে নীলার বিয়ের কথা চলছে, আরেক দিকে নিরব বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই মুহূর্তে নীলা যদি না বলে,তাহলে আর বলা হবে না। সেটা ভেবেই নীলা সবকিছু নিরবকে বলে দিবে মনে হচ্ছে। সেটা পরবর্তী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবো তাহলে। গল্পটি বেশ জমে উঠেছে আপু। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
অপেক্ষার প্রহর তো দেখছি একেবারে শেষই হচ্ছে না। নীলা কোনরকমেই বলতে পারতেছে না, সে নিরবকে এত বেশি ভালোবাসে। নিরবের মা কিন্তু অনেক কষ্ট করে নীরব কে বড় করেছে। আর সে তার মায়ের কষ্টটা বুঝে, তাই তো সে তোর মাকে বলেছে সে কোন কিছু করতে পারলেই আর তার মাকে কষ্ট দিবে না। এখন নীরব চলে যাবে বাইরের দেশে। আর নীলার সাথে শেষবারের মতো দেখা করতে আসে। নীলা তার মনের ভেতরে থাকা কথাটা বলার জন্য ছটফট করতেছে। আমার নীলার বিয়ের প্রতিও প্রেসার দিচ্ছে। একেবারে শেষ পর্যায়ে কি হয় এটা দেখতে হবে এখন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আমার গল্পটি অনেক সুন্দর ভাবে পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ।