ছোট গল্প |||| আদর্শ ছেলে পর্ব-০২।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে ছোট গল্প "আদর্শ ছেলে পর্ব-০২" নিয়ে হাজির হলাম।প্রথম পর্বে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য এবং সহযোগিতা আমাকে গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব লেখাতে অনেক উৎসাহিত করেছে।আর কথা না বাড়িয়ে গল্পটির দ্বিতীয় পর্বে লেখা আছে দেখে নেওয়া যাক।
শফিক মিয়ার মা যখন তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা শুরু করলো তখন শফিক মিয়া বলল আমি বিয়ে করবো না।তোমাকে মেয়ে দেখতে হবে না।শফিক মিয়ার মা কথাটি শুনে অনেক কষ্ট পেল।কারণ তার ছেলে কখনো তার মুখের উপর কোন কথা বলেননি। তার পর ছেলেকে সে বলল বাবা তোমার কি কোন পছন্দের মেয়ে আছে? তখন শফিক মিয়া তার মাকে বলল মা তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও তোমাকে বলা হয়নি আমার কিছু না বলা কথা।
আজ সময় হয়েছে কিছু কথা তোমাকে বলার জন্য। তারপর তার মাকে সব খুলে বলে।শফিক মিয়ার মা অনেক খুশি মনে বিয়ের সব আয়োজন করে এবং মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে দেখে আসেন।এরপর ঠিক হয়ে গেল তাদের বিয়ে।বিয়ের অনেক আয়োজন করল মেয়ের বাবা।শফিক মিয়ার যতটুকু সামর্থ্য হয়েছে সে ততটুকুই করেছে।তারপর একটি সময় বিয়ের কাজ কমপ্লিট হল।ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন শেষ হওয়ার পর যখন সোনালীকে ঘরে নিয়ে আসবে তখন সোনালী বলল তোমার বাড়ির কাজ কমপ্লিট কর তারপর তোমার বাড়িতে যাব।
এদিকে শফিক মিয়া মহা বিপদে পড়ে গেল।সে তার মাকেও সব খুলে বলতে পারছে না।তাই তার মাকে অজুহাত দেখালো সোনালীর পড়া কমপ্লিট হয়নি পরে সোনালীকে বাসায় নিয়ে আসবে।এদিকে তাদের পুরাতন বাড়িটা ঠিক করতে হবে শফিক তার মাকে বলল।শফিকের মা বলল এখন বাড়ি ঠিক করার মত এত টাকা কোথায় পাবো বাবা।শফিক বলো সে দায়িত্ব আমার তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।যে কথা সেই কাজ শফিক তাদের পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন একটি বাড়ি তৈরি করে ফেললেন।
আর শফিককে সেই টাকা দিয়েছিল সোনালীর বাবা। মোটকথা বাড়িটি কমপ্লিট করতে সোনালীর বাবা বেশি টাকা দিয়েছিল আর বাকিটা শফিকের ছিল।একটি সময় বাড়ি কমপ্লিট হওয়ার পরে সোনালী তার শ্বশুর বাড়িতে এলো।কিন্তু শফিক তার মাকে কিছুতেই বুঝতে দেয়নি তারও স্ত্রী এই ভাঙ্গা বাড়িতে আসবে না।কারণ শফিক ছিল অনেক আদর্শবান একটি ছেলে তার যত কষ্ট হোক সে তার মাকে কষ্ট দিবে না তার স্ত্রী কেউ কষ্ট দেবে না।তাইতো সে দুদিকেই ম্যানেজ করে চলতো।একটি সময় শফিক যখন সোনালীকে বাড়িতে নিয়ে আসলো এবং তাদের সংসার জীবন শুরু করলো। কিছুদিন যাওয়ার পর সোনালী তার শাশুড়ি ও ছোট ভাইকে বাসা থেকে অন্য বাসায় চলে যাওয়ার জন্য বলে।
কিন্তু শফিক এর কথা আমি অনেক কষ্টে মানুষ হয়েছি আমার ভাই ও আমার মা আমার সঙ্গেই থাকবে।রীতি মতো তাদের সংসারে শুরু হয়ে যায় অশান্তি। একটি সময় সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে শফিক তার মা ও ছোট ভাইকে অন্য বাসায় যেতে বলে।
তার ভাই ও মা বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর তার কিছুতেই আর ভালো লাগছিল না।শফিকের মনে হচ্ছিল আমি একি করলাম।আমার জীবনের সব থেকে বড় জিনিস আমি ত্যাগ করলাম আমি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছি না আমার মনের ভিতরে শান্তি কবে ফিরে আসবে।তারপর সে রীতিমতো চেষ্টা করতে থাকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "আদর্শ ছেলে পর্ব-০২"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার হাজার ব্যস্ততার মাঝেও সময় বের করে আমার এই পোস্টটি পড়ে এবং সুন্দর মতামত প্রদান করে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
আদর্শ ছেলে পর্ব ২ আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি বলতে আদর্শ ছেলেদের সব দিকে খেয়াল রাখতে হয়। সোনালীর কথাটি শুনে শফিকের মা অনেক কষ্ট পেল। অবশেষে তাদেরকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে হল। সত্যি বলতে মা ও ভাই কাছে না থাকলে কোন কিছুতেই শান্তি লাগে না। শফিকের ক্ষেত্রে এটাই হয়েছিল।
ঠিক বলেছেন ভাই। রক্তের সম্পর্ক ছিন্ন করা বড়ই কঠিন।
যদিও আপনার এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়িনি তবে দ্বিতীয় পর্বটি পড়ে প্রথমের দিকে বেশ ভালো লাগছিল কিন্তু শেষে এটা জেনে খারাপ লাগলো যে শফিক বাধ্য হয়েই তার বাবা-মাকে অন্যত্র চলে যেতে বলেছিল। এখন দেখা যাক পরের পর্বে কি হয়।অপেক্ষায় রইলাম আপু আপনার এই গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য।
খুব শীগ্রই পরবর্তী পরবতী পর্ব প্রকাশিত হবে আপু।