DIY ||| এসো নিজে করি ||| নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০
আমার প্রিয় এবং শ্রদ্ধেয় ভাই বোনেরা, আশা রাখছি শীতের সময়ে সকলের পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। শরীর সুস্থ থাকলে মনও ভালো থাকে আর মন ভালো থাকলে প্রতিটি কাজ করতে আনন্দ ও উৎসাহ জাগে।
আজকে নারীরা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পিছনে তাকানো বা ফিরে দেখার কোন সময় তাদের নেই।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নারীরাও আজকে কর্মস্থলে বা ব্যবসার ক্ষেত্রে একজনের সঙ্গে আরেকজন হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। কথায় আছে যে রাধে সে চুলও বাধে। এই যুক্তিটি একটি সময় হয়তো বা প্রযোজ্য ছিল না । নারীরা অনেক পিছিয়ে ছিল তাদের ঘর থেকে বের হতে দিত না। হতাশাগ্রস্থ হয়ে ঘরের চার দেয়ালের ভিতরে বন্দী হয়ে থাকতো। সেই অন্ধকার জগৎ থেকে তারা বেরিয়ে এসে আজকের পৃথিবীকে করেছে আলোক ময়। আমরা যদি একটু চিন্তা করে দেখি বিশ্বেরএমন কোন জায়গা নেই যেখানে নারীরা নেই। নারীরা সৌন্দর্যে অতুলনীয়। তাদের সৌন্দর্যের কথা আর কি বলব। নারীর সৌন্দর্যের প্রথম ও প্রধান পোশাক শাড়ি। এই শাড়ি নারীরা যেভাবেই পড়ুক না কেন তাকে দেখতে অপরুপ লাগে। আমার জানামতে বেশির ভাগ নারীই শাড়ি পড়তে পছন্দ করে।আমি নিজেও শাড়ি পড়তে পছন্দ করি ও অন্যদের শাড়ি পরা দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে । তাইতো আমি আজ আপনাদের মাঝে আমার আরেকটি "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০" নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে আমি শাড়ির ডিজাইনগুলো যে করেছি, সবগুলো শাড়ির ডিজাইন আমার এত ভালো লেগেছে। যার কারণে আমি আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমে সেই ডিজাইনগুলো তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি এই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০" ডিজাইনটি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। পেস্ট।
২। ডিপ নীল।
৩। কমলা।
৪।এন কে।
৫। ব্লক।
৬। ব্রাশ।
৭। ট্রে।
৮। টেবিল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
শাড়িটি টেবিলে বিছিয়ে প্রথমে একটি গোল ফুলের ডিজাইন ব্লক দিয়ে পেস্ট কালার রং নিয়ে শাড়ীর আচলে এক গজের মধ্যে মেজারমেন্ট করে ডিজাইন করে নিয়েছি।
শাড়ীটির আঁচলের মাঝের ডিজাইন গুলোর দুই পাশে বরফি ডিজাইন ব্লকে কমলা কালার রং দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার শাড়ির নিচ পাড় ও উপরের পাড়ে খাছকাটা ডিজাইন ব্লকে পেস্ট কালার রং নিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এবার আঁচলের পরে থেকে পুরো শাড়ীর বডিতে ছোট ছোট ফুলের ডিজাইনের ব্লকে ডিপ নীল কালার রং নিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি পুরো শাড়ীর জমিনটিতে আর এতে শাড়িটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল।
![]() | ![]() |
---|
এবার ডিজাইন করা শেষ হয়ে গেল আর শাড়ীটিকে রৌদে দিয়ে ৪/৫ ঘণ্টা শুকিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এবার শাড়ীটি আয়রন টেবিলে নিয়ে ব্লকের অপর পিঠে ভালো ভাবে আয়রন করে নিয়েছি যাতে ব্লকের রং উঠে না যায়।
এরপর টেইলারিং সুতা দিয়ে টারসেল তৈরি করে আচলে লাগিয়ে নিয়েছি যাতে শাড়িটির সৌন্দর্য বর্ধন হয়।এবার এই ভাবে সব কাজ শেষ হয়ে গেল আর হয়ে গেল আমার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০"।এবার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০" এর একটি সম্পন্ন ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- ডাই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১০"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আপনার শাড়ির ডিজাইন বা ডাই প্রজেক্ট আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি বলবো আপনি উদ্যোক্তা হিসেবে বেশ সফল। বিশেষ করে কি নিপুণ দক্ষতায় কাজগুলো ফুটিয়ে তোলেন সত্যিই ভালো লাগে।
আপু লিখার মধ্যে টেক্সট জাষ্টিফাই কোড ব্যাবহার করলে লিখা গুলো সমান্তরাল ভাবে ফুটে উঠবে। ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে।
আপু আবারো আপনি শাড়ির ডিজাইন নিয়ে চলে এসেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই পর্যন্ত আমি প্রায় অনেকগুলো শাড়ির ডিজাইন দেখেছি। আমার কাছে সবগুলোই অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে শাড়ির মধ্যে ডিজাইনগুলো করে থাকেন। যা দেখতে একদম বাস্তবের মত দেখায়। ডিজাইন করার সময় প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে কাজের আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়।
আমি একটা কথা বলি, যে কাজ জানে কাজও তার কাছে হার মানে। আর সেটা আপনার দ্বারা সম্ভব যেমন খুব চমৎকারভাবে নিজ হাতে একটি শাড়ির ডিজাইন ডিজাইন তৈরি করে ফেলেছেন। বেশ চমৎকার লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে।
দোয়া করবেন ভাই আমার জন্য চেষ্টা করছি সফল হওয়ার জন্য।
বর্তমান সময়ে নারীরা অনেকটাই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এখন আর তাদের পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই, পুরুষের পাশাপাশি তারাও অনেক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী এবং অনেকটাই ভালো উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। যাই হোক আপনার এর আগেও অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ির ডিজাইন দেখেছিলাম নতুন আরেকটি শাড়ির ডিজাইন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু। এরকম সুন্দর সুন্দর শাড়ির ডিজাইন আপনার থেকে প্রতিনিয়ত আশা করব শুভকামনা রইল।
জি ভাই ২০২৩ সালের ঈদকে সামনে রেখে ডিজাইন করছি তো। চেষ্টা করি আমার ডিজাইনগুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন নারীরা আজকে পিছিয়ে নেই তারা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাইতো আমার বাংলা ব্লগে ছেলের থেকে মেয়েরা বেশি বেষ্ট ব্লগার নির্বাচিত হয়, হি হি হি।
আপনার নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইনটি সত্যিই অসাধারন হয়েছে। আপনি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন,আশা করি খুব তারাতারি আপনার লক্ষে পৌছে যেতে পারবেন। সৎ ভাবে কাজ করতে হবে আর ধৈর্য ধরতে হবে। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।