সচেতন মূলক পোস্ট ||| নিজে বাঁচি এবং পরিবেশ সুন্দর রাখি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই-বোনেরা আশা করছি সুস্থ ভাবে পরিবারকে নিয়ে সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান আল্লাহ তা'য়ালার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি সচেতনতা মূলক পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হয়েছি।আর এই সচেতনতা মূলক পোস্টটি হল "নিজে বাঁচি এবং পরিবেশ সুন্দর রাখি"।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে পোস্টিটিতে কি লেখা হয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক।
চারদিকে পুকুর খাল বিল নদ নদী সবকিছু পানিতে ভরে আছে। বৃষ্টির পানিতে আমাদের বাড়ির ছাদ বাগানের টবে পানি জমে রয়েছে। বাসার ফেলে দেওয়া অকেজো জিনিস গুলোতেও পানি ভরে সেগুলোতে মশা উৎপন্ন হতে পারে, সেদিকে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আবার বারান্দার গাছগুলোতেও পানি জমে সেই পানিতে মশা উৎপন্ন হতে পারে। তাইতো আমাদেরকে অনেক সতর্কতার সাথে সেই পানি চেঞ্জ করে আবার নতুন পানি দিতে হবে। কারণ এই পানি ও ময়লা আবর্জনা থেকে ডেঙ্গু মশার সৃষ্টি হতে পারে।
আর একটি পরিবারের এক একজন মানুষ সবার কাছে অতি আপনজন।পরিবারের আপনজন কেউ অসুস্থ থাকলে যেমন ভালো লাগে না, কোন কাজে মন বসে না, কিছু করতে ইচ্ছে করে না।নিজের পরিবারের মত এই পৃথিবীতে আপন আর কেউ নেই। আপদে বিপদে যাই বলেন না কেন পরিবার আপনার কাছে সব থেকে আগে এগিয়ে আসবে। আপনাকে ভালো মন্দের ব্যাপারে বুঝিয়ে বলবে। কোনটা করলে ভালো হবে কোনটা করলে মন্দ হবে এবং উপদেশগুলো তাদের মাধ্যমে আমরা পাব। তাইতো পরিবার একটি ফ্যামিলির জন্য সবথেকে আপনজন এবং কাছের মানুষ। এই কাছের মানুষগুলোকে সবসময় ভালো ও নিরাপদে রাখতে হলে আমাদেরকে সবদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
বাড়ির আশেপাশে কোন কৌটা বা কোন জারে পানি ভর্তি থাকলে সেগুলো ফেলে কৌটাটি উপর করে রাখতে হবে। ছোট বাচ্চা থাকলে তাদেরকে ওই সব পানি থেকে বিরত রাখতে হবে। আর মশারি ফেলে আমাদের কে ঘুমাতে হবে কারণ মশারির কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বাসায় কয়েল গুড নাইট স্প্রে যেটাই ইউজ করি না কেন এত পরিমান মশা বেড়েছে। যা আমাদের জন্য মশারি ফেলে থাকাই নিরাপদ। কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট দেখে আমার অনেক খারাপ লেগেছিল। একটি পরিবারের দুটি সন্তান ছিল এবং দুটি সন্তান চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ভাই বোন এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিতে হয়েছিল।
ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া মশা স্বচ্ছ পানির ভেতরেই তাদের জন্ম হয়।সেই পরিবারের তাদের সন্তান দুটোকে হারিয়ে তাদের মা-বাবা একদম অসহায় হয়ে গিয়েছে। পাগলের মত তারা শুধু চিৎকার করছিল আজও তারা বেঁচে আছে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে ।আসলে একটি বাবা-মার কাছে সন্তান যে কি সেটা শুধুমাত্র বাবা-মা যারা হয়েছে তারাই বলতে পারবে।আর মা বাবার কাছ থেকে যখন সন্তান হারিয়ে যায় সেই শোক থেকে ওঠা অনেক কঠিন। তাই নিজের একটু সতর্কতা ও সাবধানতা আমাদের পরিবারের সবার মুখে হাসি ও শান্তি এনে দিতে পারে।
আসুন আমরা সবাই বর্ষাকালের এই পরিবেশে নিজে সুস্থ থাকি এবং আশেপাশের পরিবেশও ভালো রাখি।কারণ আমি যদি আমার পরিবেশ ভালো না রাখি অন্যরা আমার আশেপাশে জায়গাগুলো একই অবস্থা করবে আমার মত। তাই আগে নিজে সতর্ক হতে হবে। তারপর অন্যকে সেই সর্তকতা অবলম্বনের টিপস গুলো দিয়ে দিতে হবে। একটি পরিবারের কেউ চলে গেলে সারা জীবনের জন্য কান্না। আর সেই কান্না সারা জীবন থেকে যায়। তাই আসুন নিজে বাঁচি এবং নিজের পরিবেশ ভালো রাখি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
এখন বর্ষার সময়,এই সময়ে মশার বিস্তার ঘটে আর এর পিছনে বেশ অনেক কারণ থেকে থাকে। তাই অবশ্যই আমাদের এই বিষয়ে যত্নবান এবং সচেতন হতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু মশার কারণে অনেক জ্বর হচ্ছে। আপনার সুন্দর এই সচেতন মূলক পোস্ট আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের অবশ্যই এভাবে অনেক কিছু মেনে চলতে হবে এবং অন্যদের সজাগ রাখতে হবে।
জি ভাই এর জন্য আমার মনে হয়েছিল যে এই সময়ে এইরকম সচেতনতা মূলক একটি পোস্ট করা দরকার।তাই পোস্টটি সবার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করলাম।
আসলে আমাদের চারপাশের পরিবেশ সুন্দর রাখলে আমাদের জন্য বেশ উপকার হয়ে থাকে। এখন বর্ষাকাল চলতেছে বর্ষাকালে অতিরিক্ত মশার বংশবিস্তার হয়ে থাকে। তাই আমাদের বাসা বা, বসত বাড়ির আশেপাশে সবকিছুই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে আমরা রক্ষা পাবো। বেশ সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
বর্ষাকালেই এই সমস্যাটা দেখা দেয়। চারপাশে পানি জমে থাকে। আর এই পানিতেই জন্ম নেয় কত মশা।এগুলো বুড়ো থেকে বাচ্চা সবার জন্যই ক্ষতিকর। তাই আমাদের সকলকে কিন্তু সাবধান থাকতে হবে। তবে গ্রাম অঞ্চল থেকে শহর অঞ্চলে এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। কারণ সেখানে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কম থাকে এবং ড্রেনগুলো খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে যায় এবং মশার জন্ম বেশি হয় । যাইহোক এটা থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। আর মশারির কথা একদম ঠিক বলেছেন। আমার নিজের কাছে কয়েল দিলেই অস্বস্তি লাগে। মশারি দিলে মোটামুটি ভালোই উপকার হয়।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।