রেসিপি ||| আমড়া ও জলপাই এর আচার ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আশা রাখছি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা সবার পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিনযাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার রেসিপির নাম "আমড়া ও জলপাই এর আচার"। আচার পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার। কম বেশি সকলেই এটি পছন্দ করে। তবে স্বাদের ব্যাপারটা আলাদা কেউ টক পছন্দ করে, কেউ মিষ্টি পছন্দ করে আবার কেউ ঝাল পছন্দ করে।আচারের কথা বললেই চোখে মুখে অন্য রকম একটা অনুভূতি চলে আসে এবং জিভে চলে আসে জল। আমরাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি'ও জলপাইয়েও ভিটামিন সি রয়েছে। এখন সময়টা শীতও নয় গরমও নয়।বলা চলে নাতিশীতোষ্ণ। তবে এই সময়টা অনেক ভালো লাগে।শীতের সময় আমরা ভিটামিন সি এর অভাবে নানারকম অসুস্থায় ভুগি।দেশি ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে এবং এই ভিটামিন সি জাতীয় ফল আমরা যদি খাই আমাদের মুখে অনেক রকমের রোগ থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। আর শীতের সময় শারীরে বা স্ক্রিনে অনেক সমস্যা হয় তা আমরা ঘরোয়া টুটকার মাধ্যমেও সেরে নিতে পারি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি "আমড়া ও জলপাই এর আচার" টি কিভাবে বানিয়েছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ
১। আমড়া।
২।জলপাই।
৩।গুড়।
৪।রসুন।
৫।শুকনা মরিচ।
৬।পাচফোরন মসলা।
৭।সরিষা।
৮।সরিষার তৈল
৯।হলুদ গুড়ো।
১০।সাদা এলাচ।
আমড়া গুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার পরিষ্কার করে ধুয়ে এসে এই ধুয়া আমড়া গুলো ছিলে ছোট ছোট অংশ করে কেটে নিয়েছি।
জলপাই পরিষ্কার করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি ।
রসুনের খোসা ছিলে রসুন গুলোকে থেঁতলে নিয়েছি ।
পাঁচফোরন মসলা গুলোকে ভেঁজে শিলপাটায় সুন্দর করে মিহি করে গুঁড়ো করে নিয়েছি ।
শুকনা মরিচ ভেঁজে গুঁড়া করে নিয়েছি।
সরিষা ভেঁজে গুঁড়া করে নিয়েছি।
এবার কড়াই এর ভিতর সরিষা তৈল দিয়ে, রসুন কুচি,পাঁচ ফোড়ন মসলাগুঁড়া, সরিষা গুড়ো,শুকনা মরিচ গুঁড়ো গুড়,আমড়া ও জলপাই সব উপকরণ দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা টি উঠে যখন দেখতে পেলাম আমার আচারের রস গুলো শুকিয়ে গিয়েছে এবং আচারটা আঠালো আঠালো হয়ে গিয়েছে ঠিক তখনই আমি বুঝতে পারলাম আমার "আমড়া ও জলপাই এর আচার"টা হয়ে গিয়েছে।এবার "আমড়া ও জলপাই এর আচার"এর একটি ছবি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।
বিষয়ঃ- রেসিপি "আমড়া ও জলপাই এর আচার"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার রেসিপি পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......
আচার দেখে জিবে যে জলে ভরে গেলো আপু।আমরার কথা শুনলে এমনিতেই জিব জলে ভরে যায় তার উপর অসাধারন আচার।দারুন ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
না শীত না গরম এই সময় টা বেশ অস্বস্তিকর লাগে আমার কাছে। আমড়া জলপাই দুইটাই টক ঠিক আছে। কিন্তু এই দুইটার সম্বলিত আচার কখনো খাইনি। আচার কিন্তু আমার অনেক পছন্দের। আচার টা দারুণ লাগছে কালারটা সুন্দর আসছে। ধন্যবাদ আপু আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই।
আচার দেখলেই জিভে জল চলে আসে। বোঝাই যাচ্ছে জলপাই ও আমড়ার মিশ্রিত এই আচারটি ভীষণ মজাদার হয়েছে। টক, ঝাল ,মিষ্টি আচারগুলো আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমি কখনোই নিজে আচার তৈরি করে খাইনি। তবে আপনি খুব সহজেই রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। অবশ্যই একবার এমন আচার তৈরি করার চেষ্টা করব।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আচার পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে খুবই কম। আমড়াও জলপাইয়ের আচারের নতুন একটি রেসিপি দেখলাম আপু। আমড়াও জলপাই আলাদা আলাদা আচার খেয়েছি। কিন্তু একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে এসেছে। একদিন তৈরি করব বাসায়।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আচার সে-তো খুবই লোভনীয় একটি খাবার এই জিনিস কি পছন্দ না করে পারা যায় আপু বলেন, জলপাই ও আমড়া দু’টোই বেশ পছন্দ করি। দু'টো একসাথে কখনো আচার বানানো হয়নি।আমড়া এমনিতেই খাই কিন্তু কখনো আচার বানিয়ে খাইনি আশাকরি দু'টো একসাথে মিলে বেশ ভালোই সুস্বাদু হয়েছিল? দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। সুন্দর এবং লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আমড়া এবং জলপাইয়ের আচার দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। দেখে জিভে জল চলে আসলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুবই লোভ নিয়ে একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আপু আপনার আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো।আমড়া আর জলপাই মিক্সড করে কখনো আচার খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আচার তৈরি করেছেন তা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আমার কাছে ঘরে তৈরি এই আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
এই ধরনের আচার দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। সরিষার তেলের মধ্যে আচার রাখলে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় । আপনি আচারের সকল উপাদান ঠিকমত দিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে । এতো সুন্দর আমড়া ও জলপাই এর আচারের রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই অনেক মজার ছিল।
আপনি ঠিকই বলেছেন আমড়া ও জলপাইয়ে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমড়া ও জলপাই এর চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে ।প্রতিটি ধাপ বেশ ভালো ছিল, দেখে শিখে নিতে পারলাম। আমি একদিন তৈরি করবো নিশ্চয়ই ।ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার বড় পাওয়া আপু।
যদিও আচার খুব একটা পছন্দ না তবে জলপাই আর আমড়ার সমন্বয়ে আচার মেয়েদের অনেক পছন্দ এতে কোন সন্দেহ নেই। কিভাবে আচার তৈরি করতে হয় তার ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার দক্ষতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মনি 🥰
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।