DIY ||| এসো নিজে করি ||| নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬ ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি বিধাতার রহমতে সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে কোন গল্প কবিতা রেসিপি নিয়ে আসিনি। আমি এসেছি আমার তৈরি করা "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬" এর কাজ নিয়ে। ব্লক প্রিন্ট থ্রি পিস,শাড়ি,ফতুয়া ও পাঞ্জাবি যেটাতেই করা হোক না কেন?সেই পোশাকটিকে অনেক রঙিন ও মাধুর্যে ফুটিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলে ডিজাইন। প্রতিটি পোশাকের ডিজাইন যদি সুন্দর ও রুচিসম্মত হয় তাহলে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে আর বেশি চিন্তা করতে হয় না। অলরেডি কাস্টমার সেই প্রোডাক্ট অর্ডার কনফার্ম করে ফেলে। তাইতো একটি পোশাকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো কালার ম্যাচিং ও ডিজাইনের কাজ করা।আমি মুলত এই ব্লক প্রিন্ট দিয়ে শাড়ি ফতুয়া এস কে ডি অনেক কিছু করেছি তবে আমার কাছে শাড়ির ব্লকপ্রিন্ট গুলো একটু বেশি আকর্ষণীয় লাগে। আমি নিজেও শাড়ির প্রতি একটু দুর্বল বেশি। আমি নিজে নারী এবং অন্য নারীদেরও শাড়ির প্রতি একটু দুর্বলতা বেশি থাকে। তাইতো আমি আজ আপনাদের মাঝে "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬" নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। গোল্ডেন।
২। পেস্ট ।
৩। নীল।
৪। এন কে।
৫। ব্লক।
৬। ব্রাশ।
৭। ট্রে।
৮। টেবিল।
শাড়িটি টেবিলে বিছিয়ে প্রথমে একটি বড় ব্লক দিয়ে নীল কালার রং নিয়ে শাড়ীর আচলের দুই সাইডে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি।
শাড়ীটির আঁচলের মাঝের জায়গায় লম্বালম্বি স্টাইপ ব্লকে নীল কালার রং দিয়ে সুন্দর ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার আঁচলের লম্বালম্বি স্টাইপ ডিজাইনের মাঝে মেজারমেন্ট করে ফুলের ডিজাইন ব্লকে গোল্ডেন কালার রং দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করেছি।
এবার শাড়ীর পারে চাকা ফুল ডিজাইন ব্লকটিতে নীল কালার রং লাগিয়ে নিয়ে ডিজাইন করেছি যাতে শাড়ীটি সুন্দর দেখা যায়।
এবার আঁচলের পরে থেকে পুরো শাড়ীর বডি বড় গোল গোল ডিজাইনের ব্লকে পেস্ট কালার রং নিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি পুরো শাড়ীর জমিনটি।
এইবার ডিজাইন করা শেষ হলে শাড়ীটিকে রৌদ্রে ৪/৫ ঘণ্টা শুকিয়ে নিয়েছি রং পাকা করার জন্য।
এবার শাড়ীটিকে সুন্দর আয়রন করে নিয়েছি যাতে রং পাকা করার কাজ নিশ্চিত হয় এবং যাতে কোনো ভাবেই শাড়ীটির রং উঠে না যায়।
এরপর শাড়ির আঁচলে কিছু নরমাল টারসেল লাগিয়ে নিয়ে শাড়িটির সৌন্দর্য বর্ধন করেছি আর এই ভাবেই হয়ে গেল আমার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬" ফিনিশ হল।এবার কাজ সম্পন্ন করার পর "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬" এর একটি সম্পন্ন ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- ডাই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৬"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার হাজারও ব্যস্ততার মাঝে এবং মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার এই ডিজাইন করা শাড়ীটি দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন একটি পোশাকের যদি কালার কম্বিনেশন ও ডিজাইন সুন্দর হয় তবে, সেটার চাহিদা বেশি থাকে। আপনারা শাড়ি ডিজাইন গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। সত্যি স্যার এগুলো দেখতে অনেক বেশী সুন্দর।
সব সময় শাড়িগুলো তৈরি করার চেষ্টা করি কাস্টমারের চাহিদার ওপরে ভাই।
আসলে নিজের হাতে যে কোন জিনিস তৈরি করার আনন্দ আলাদা হয়ে থাকে। আপনি খুব সুন্দর করে চমৎকারভাবে কাপড়ের ডিজাইন তৈরি করেছেন দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাই নিজে কিছু তৈরি করার মধ্যে অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করে।
একটি শাড়ি বা পাঞ্জাবি এসব দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই যদি গ্রাহক টানতে হয়। এর আগে আপনার ফতোয়া ডিজাইন দেখেছিলাম। আজ শাড়ির ডিজাইন দেখলাম। বেশ চমৎকার হয়েছে সুন্দর লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ আপনাকে।।
সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু করতে ভাই।
আপনার নিজ হাতে করা আপনার নিজের শাড়ির ডিজাইন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম ৷আপনি নিশ্চই এ বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা আছে৷খুব সুন্দর লাগছিল ডিজাইন টি
ভাই আমার একটি ছোট্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে তো তাই অনেক কিছুই করতে হয়, জানিনা কতটুকু ভালো করছি।
মাশাআল্লাহ আপু ইউনিক একটা ডিজাইন শেয়ার করেছেন। হাতের কাজ করার শাড়ি গুলো অনেক সুন্দর দেখায়। আপনার তৈরি করা ডিজাইনটি অনেক ভালো লাগছে। ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
নিজের তৈরি শাড়ির ডিজাইন দেখে তো বোঝা যাচ্ছে। আপনি অনেক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সাথে তৈরি করেছেন।আপনার কাজের ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অনেক ইউনিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
ভাই চেষ্টা করেছি জানিনা কতটুকু পারছি।
ওয়া আপু আপনার শাড়ির এত সুন্দর ডিজাইন দেখে মুগ্ধ গেলাম।প্রথমে মনে করেছিলাম মার্কেট থেকে কেনা শাড়ি কিন্তু পরে আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি নিজের হাতে এই সুন্দর ডিজাইন করেছেন।আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েছেন। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল আপু।
আপনার শাড়িটি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। ডিজাইনটি সত্যিই সুন্দর লাগছে দেখতে। নিজের হাতে এরকম শাড়ির ডিজাইন করা সত্যি দারুন একটি বিষয়। আপনাকে ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর শাড়ির ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
উৎসাহমূলক মন্তব্য করে আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
নিজে তৈরি করার শাড়ি একেবারে নিজের মনের মত করে তৈরি করা যায়। আমরা অনেক সময় হয় কি বাজার থেকে কিনলে মনে হয় যেন এই জায়গাটা একটু আমার মনের মতো হলে ভালো হতো ওই জায়গাটা একটু কম সুন্দর কিন্তু যখন নিজে তৈরি করা হয়। তখন একেবারে পারফেক্ট পাবে নিজের মত তৈরি করা যায় আর আপনি তার একমাত্র প্রমাণ।
সবসময় চেষ্টা করি ব্যতিক্রম কিছু তৈরি করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তে উপস্থাপন করার।