তালের শাঁসের রসমালাই
আসসালামু আলাইকুম, আমার বাংলা ব্লগের শুভাকাঙ্খী গন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
তাপমাত্রা যেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে অবশ্য ভালো থাকা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। তবুও ভালো থাকার উপায় খুজে নিতে হবে। আর এই গরমে ঠান্ডা থাকার জন্য ঠান্ডা খাবার খেতে হবে ও বেশি পানি পান করতে হবে। আমাদের সচেতনতাই সুস্থ রাখবে আমাদের।
আজকে আমি একটা মজার রেসেপি শেয়ার করতে চাচ্ছি আপনাদের সাথে তা হলো,তালের শাঁসের রশমালাই।
তালের শাঁসের রসমালাই
এই গরমে এই মজাদার রসমালাই পছন্দ করার মতোই একটা খাবার। এই রেসিপিটা আমি আমার এক বড় বোনের কাছে শিখেছি, তারপর মনের মতো করে বানিয়েছি।
তাহলে চলেন রেসেপিটাতে কি কি লাগবে এবং কিভাবে করবেন বলে দেই,
প্রস্তুত করতে যা উপকান লাগবে,
১. তালের শাঁস ৪ টা ২ টা আস্ত ২ টা টুকরো করে নিয়েছি (সুন্দর করে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে)
২. ৪ চামচ নারকেল পেস্ট
৩. আধাকেজি লিকুইড দুধ
৪.২ চামচ ঘী
৫.কিসমিস এক মুঠা
৬.গুড়া দুধ ৩/৪ চামচ
৭.চিনি পরিমাণ মতো
৮. লবন এক চিমটি
৯. ২ টি এলাচ,এক টুকরো ছোট দারুচিনি, ১/২ টা তেজপাতা
খোসা ছাড়িয়ে রাখা তালের শাঁস
কিছু উপাদানের ছবি
প্রস্তুত প্রনালী,
প্রথমে একটা পাত্রে ঘী দিয়ে দিতে হবে,
তারপর ঘীয়ে নারকেল পেস্ট দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
নারকেল ভাজলে দারুণ একটা ঘ্রাণ আসে। তারপর লিকুইড দুধ টা দিয়ে দিতে হবে। দুধের সাথে দারুচিনি, এলাচ,তেজপাতা,স্বাদমতো চিনি ও লবন দিয়ে দিতে হবে।
তারপর দুধ টা ফুটে আসলে তালের শাঁস গুলো দিয়ে দিতে হবে।
সাথে কিসমিস দিলে হালকে আচে ১৫/২০ মিনিট জ্বাল করুন। অবশ্যই হালকা আচে রান্না করতে হবে। দারুণ সুন্দর একটা রঙ চলে আসবে, দেখতেই লোভনীয় লাগবে।
তারপর নামানোর আগে দুধের গুড়াগুলো ছিটিয়ে দিয়ে আরো ২ মিনিট জ্বাল করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে নর্মাল ফ্রিজে রাখুন ২ ঘন্টা। তারপর দেখুন মজাদার সুস্বাদু খাবার এই তালের শাঁসের রসমালাই।
একবার এর স্বাদ নিলে আর কখনো ভুলবেন না। এখন তালের শাঁস পাওয়া যায় তাই তাড়াতাড়ি এই রেসিপিটা আপনিও বাসায় বানাতে পারেন। অসম্ভব মজাদার এই রসমালাই মুখে স্বাদ লেগে থাকার মতো।
এই গরমে মন শীতল করা এই রেসিপিটা আশা করি সবার ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। গরমে বেশি করে পানি পান করুন। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই যাচ্ছে সাবধানে থাকুন। আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে চলে আসবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
তালের শাঁস দিয়ে রসমালাই বানানো যায় জানা ছিল না। আপনার তালের শাঁসের রসমালাই দেখে লোভ লেগে গেল। রসমালাই খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু, আপনার পোস্টের মাধ্যমে একদম ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। কেননা আমি কখনো শুনিনি যে তালের শাঁসের রসমালাই তৈরি করা যায়। আর তাই কখনো খাওয়াও হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে তালের শাঁসের রসমালাই খেতে ভীষণ স্বাদ হবে। আপনার রন্ধন প্রণালীটি মনোযোগের সাথে দেখে নিলাম। খুব দ্রুতই তালের শ্বাসের রসমালাই তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। তালের শাঁসের রসমালাই তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তালের সাস দিয়ে এমন সুন্দর রেসিপি তৈরি করে খাওয়া যায় তা আমার পূর্বে কখনো ধারনা ছিল না। আপনার এই রেসিপি দেখে আমি মুগ্ধ হলাম। খুবই ভালো লাগলো।