আমার পছন্দের শীতের খেজুর গুড় দিয়ে নারিকেলের ভাপা পুলি পিঠা।।।প্রিয়@shy-fox 10% beneficiary।
আসসালামু আলাইকুম,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি আপনাদের দুয়াতে।
আজকে আমি তৈরি করেছি আমার পছন্দের শীতের খেজুর গুড় দিয়ে নারিকেলের ভাপা পুলি পিঠা আমার বাংলা ব্লগ কনটেস্ট-৯ এর জন্য। আমি আজকের এই পোস্টি করতে পেরে আমি সত্যি খুব আনন্দিত। কনটেস্ট এর জন্য আজকে ১৩ দিন হয়ে গেলো কি পিঠা তৈরি করবো তা নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম।আমাদের প্রিয় দাদাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই কনটেস্টের সময় বাড়ানোর জন্য।
সত্যি কথা বলতে আমি কোনো ধরনের পিঠা তৈরি করতে পারি না। যে কোনো পিঠা মা তৈরি করতো এখন মা অসুস্থ তাই আমি নিজেই তৈরি করেছি জানি না কেমন হয়েছে খেজুর গুড় দিয়ে ভাপা পুলি পিঠা। আমি মিষ্টি তেমন পছন্দ করি না তবে শীতের শুরুতে নতুন নতুন খেজুর গুড়ের পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে।
ভাপা পুলি পিঠা আমাদের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় অনেক রকম ভাবে তৈরি করে খায়।তবে পুলি পিঠা তেলে ভেজে দুধ আর চিনির দিয়েও খেয়ে থাকে।
আমার কাছে তেলে ভেজে পুলি পিঠা খেতে একদম ভালো লাগে না।
তবে ভাপ দিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে।
শীত শুরু মানে নতুন চাউল আর নতুন খেজুর গুড়।
আমাদের গ্রামে শীতের সময় খুব সকালে উঠে মাটির চুলায় বিভিন্ন রকমের পিঠা তৈরি করা হয়।
মা,কাকি মা সবাই এক সাথে খুব আনন্দের সাথে পিঠা তৈরি করে রান্না ঘরেই পিঠা খাওয়া শেষ করে নেয়।
শীত আসলেই যেনও পিঠা খাওয়ার একটা ধুম পড়ে যায়। শহরের তেমন আনন্দ হয় না গ্রামের চাইতে।ভাপা পুলি পিঠা আমার শীতের সময় খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
চলুন তাহলে শুরু করি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ-
নারিকেল একটি।
খেজুর গুড় একশত গ্রাম।
চাউলের গুড়া চার কাপ।
ঘি এক চামচ।
পিড়া বেলুন।
নারিকেল কুড়ানি।
স্বাদ মতো লবণ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ-
১/
প্রথমে আমি নারিকেল কুড়ানি দিয়ে নারিকেল কুড়িয়ে নিয়ে নিবো একটি থালায়।
২/
এখন চুলায় একটি প্যান বসিয়ে এক চামচ ঘি দিয়ে এতে কুড়িয়ে রাখা নারিকেল গুলো দিয়ে খেজুর গুড় গুলো দিয়ে দিবো।
৩/
এবার অল্প আগুনে নারিকেল আর খেজুর গুড় ভেজে নিবো পাঁচ মিনিট।
পাঁচ মিনিট ভাজা হলে একটি থালায় নামিয়ে রাখি।
৪/
এখন চুলায় একটি হাঁড়ি বাসাবো দুই কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিবো।
৫/
পানি ফোটে গেলে চাউলের গুড়াতে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে ফোটতে থাকা পানিতে দিয়ে দিবো
৬/
এখন চাউলের গুড়া গুলো এক মিনিট সিদ্ধ করে নিবো। সিদ্ধ হয়ে গেলে চামচ দিয়ে নেড়ে চুলার আগুন বন্ধ করে দিবো।
৭/
এখন একটি বাটিতে নামিয়ে নিয়ে রাখবো। ঠান্ডা হাওয়ার আগেই ভালো ভাবে মেখে গোল গোল করে নিবো।
৮/
এখন একটি পিড়া বেলুন নিয়ে গোল রাখা চাউলের কাই নিয়ে গোল গোল করে রুটি তৈরি করে নিবো। যদিও আমার রুটি তৈরি কখনো বেশি গোল হয় না।
৯/
এখন গোল করে রাখা রুটিতে নারিকেল ও খেজুর গুড়ের মিশ্রন ভালো ভাবে পুরো রুটিতে দিয়ে দিবো।
১০/
এখন রুটি গুড়িয়ে গুড়িয়ে রোল তৈরি করে নিবো দুইটি।
১১/
এখন প্রথমে চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে দিবো এক লিটারের মতো পানি দিয়ে।
১২/
এবার পানি ফুটতে শুরু করলে, রাইস কুকারে উপরে থালা নিয়ে গরম পানির হাঁড়িতে দিয়ে রোল গুলো দিয়ে দিবো।
১৩/
এখন একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখি পাঁচ মিনিটের জন্য।
১৪/
পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা তুলে একটি থালায় নামিয়ে রাখি।
এখন পরিবেশন জন্য একদম রেডি।
পরিবেশনের জন্য রোল গুলোকে ছুরি দিয়ে কেটে অল্প পরিমাণে খেজুর গুড় গরম দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নিলাম।
আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আমার পছন্দের পিঠা খেজুর গুড় দিয়ে নারিকেলের ভাপা পুলি পিঠা।
লেখায় কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আর আমার পিঠা তৈরি রেসিপি কেমন দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@ santa14
এটি একটি সুস্বাদু খাবার যা আপনি পরিবেশন করেন, আমি এটি পছন্দ করি এবং এটি তৈরির রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ওয়াও জাস্ট অসাধারণ আপু আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে দেখে তো আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। খেতে পারলে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব না আমি আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিয়েছি কিভাবে এটি তৈরি করতে হয় আমি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করে দেখব।
অবশ্যই আপু খেয়ে দেখবেন অনেক মজাদার হয়।
ভিতরে অনেক রসালো হয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করে উৎসাহিত করার জন্য।
শীতকাল মানেই দারুণ দারুণ মজাদার পিঠা পুলি উৎসব। খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি পিঠা রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে। মজাদার পিঠা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
আমরা যেই ভাপা পিঠা খায় সেই ভাপা পিঠার থেকে আপনার ভাপা পুলির রেসিপিটা পুরাই অন্যরকম লাগলো। আমার কাছে আপনার ভাপা পুলির চেহারাটা এত সুন্দর লেগেছে যে দেখে খেতে মন চাচ্ছে না। মনে হচ্ছে যে এভাবে প্লেট সহ সাজিয়ে রাখি। কিন্তু আবার মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে একটু খেয়ে দেখি। পিঠাটি খেতে অনেক চমৎকার হয়েছে মনে হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ভাপা পুলির রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে মজাদার ও রসালো হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। পিঠাটি দেখতেও খুব সুন্দর। খুব সুন্দর করে প্রত্যেকটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
নারকেলের ভাপা পিঠা আমার খুব প্রিয় খাবার, আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপু।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
খেজুরের গুড় দিয়ে নারকেলের ভাপা পিঠা খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার। খেজুরের গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরীর বর্ণনাগুলো পড়ে যাবে সত্যি অবাক হয়ে গেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এবং গুছিয়ে বর্ণনা করেছেন পাশাপাশি ফটোগ্রাফির গোলাপ অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু।
আপু দয়া করে কমেন্ট টা আরেকটু পড়ে দেখবেন।
অনেক লোভনীয় জিনিষ দেখালেন। খিদে পেয়ে গেলো 😋 এতো রাতে কোথায় পাই বলুন। একদিন আমাদের দাওয়াত দিতে পারেন ☺️
গুর দিয়ে ভাপা পিঠা অসম্ভব স্বাদের হয় আমি জানি। অনেক শুভকামনা রইল এগিয়ে যান।
অবশ্যই ভাইয়া আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাইকে দাওয়াত রইলো শীতকালীন পিঠার।
জি গুড় দিয়ে পিঠা অনেক স্বাদের হয়।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।