😥আজকে সারাদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা😥।🥳প্রিয়@shy-fox 10% beneficiary।🥳
আজকে আমি একটি ভিন্ন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।সারা দিনে আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি আপনাদের সাথে। আশা করছি ভালো লাগবে।আপনারা হয়তো জানেন যে আমি ভোটার আইডির জন্য সব কাজ নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছি।আরও তিন থেকে চার মাস আগে,কিন্তু কোনো খুজ খবর কিছুই আসছে না। কিছুদিন আগে গিয়েছি ভোটার আইডি কখন কি খবর নেওয়ার জন্য। কি বলবো তাদের যা ব্যবহার, অশিক্ষিত মানুষ এদের চাইতে ভালো। আচ্ছা যাই হোক এরপর আর নির্বাচন অফিসে যাইনি।
একটি কম্পিউটার দোকানের একটি ছেলে কে বলেছিলাম ভাইয়া আমি কাগজ নির্বাচন অফিসে জমা দিয়েছি। এখন কি আবার নতুন করে ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে পারবো?পরে ভাইয়া আমার সব কথা শুনে, বলছিল ভাইয়া কে ২৫০০ টাকা দিতে হবে তাহলে নাকি তাড়াতাড়ি করে দিবে। এরপর আর কি টাকা দিয়ে আবার নতুন করে আবেদন করেছি।আর রাতে এসএমএস আসছে আজকে বিকাল ৩ টাই নির্বাচন অফিসে ছবি তুলবে।
এরপর আবার ছোট ভাইয়ের কলেজে ভর্তির শেষ তারিখ ছিল। কি আর করার আব্বু বা বড় ভাই নেই যে দায়িত্ব গুলো পালন করবে। এখন বড় বোন হিসেবে আমার সব কিছু করতে হবে। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেলা হয়ে যায়। পরে আম্মু ডাক ছিল ঘুম উঠার জন্য । ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাস্তা না করে রেডি হয়ে যায় । এরপর ছোট ভাই কে নিয়ে রওনা হলাম ১৫০ টাকা ভাড়া কলেজে যেতে। এরপর কলেজে গিয়ে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করে। কলেজের সামনে থেকে দুই ভাই বোন একটা মামার কাছ থেকে ঝাল মুড়ি খেয়ে এরপর আবার বাসায় আসতে আসতে প্রায় ১ টা বাজতে ছিল।
এরপর বাসায় এসে গোসল করে আসতে আসতে আবার ২ বেজে যায়। এরপর আবার দুপুর বেলায় না খেয়ে রেডি হয়ে তাড়াতাড়ি চলে গেলাম নির্বাচন অফিসে। ওখানে আমার নাম বললাম দুইটি সিগনেচার করি।এরপর ওরা বলল আড়াই ঘন্টা পর নাম ডাকবে। তো আর কি করার। দাড়িয়ে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম। কারণ বসার মতো কোনো জায়গা খালি ছিল না, হাজার মানুষ। এরপর দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা পর আমাকে ডেকেছে। এরপর আবার ভিতরে নিয়ে এক ঘন্টা বসিয়ে রাখে😭।এক ঘন্টা পর আমার ছবি হাতের ছাপ আর চোখের পাওয়ার নিয়ে একটি টুকেন দিয়ে দেয়।নির্বাচন অফিস থেকে বের বের হতে হতে ৫ঃ৩০ বাজতে ছিল।
আমার তো প্রচুর পরিমানে খিদা লেগেছিল।এরপর একটি হোটেল গিয়ে হাল্কা পাতলা নাস্তা করে নিলাম। এরপর আবার ছোট ভাইয়ের জন্য একটি কলেজ ব্যাগ কিনে নিলাম। এরপর বাসার জন্য খুব অল্প কিছু সবজি কেনাকাটা করে এরপর আবার অটোরিকশাতে উঠে বাসায় আসি।বাসায় আসতে আসতে প্রায় ৭ টা বেজে যায়।বাসায় এসে বোরকা খুলে ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি খেয়ে প্রাণটা ঠান্ডা করে নিলাম। মাথা ব্যাথা আর পায়ের ব্যাথায় অবস্থা খুব খারাপ। এরপর কোনো রকমে একটু খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়।
ঘুমানোর পর মাথা ব্যাথা কমে গেছে কিছুটা তবে পায়ের ব্যাথা একদম কমেনি।এরপর আবার প্রেসার গিয়েছে কমে। স্যালাইন খেতে খেতে আবার অবস্থা একদম নাজেহাল। এখন একটু ভালো লেগেছে তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করলে কেমন হয় আমার আজকের তিক্ত অভিজ্ঞতা টা আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আমার জন্য সবাই একটু করবেন।
আমার আজকের পোস্ট আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের একটি কমেন্ট আমাকে অনেক উৎসাহ দেয়।আমি সব গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে পারিনি।কারণ আমার ফোন মেমোরি ফোল বলছিল। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবাই। আল্লাহ হাফেজ সবাইকে। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ফটোগ্রাফার | @santa14 |
---|---|
স্মার্ট ফোন | ViVO Y11 |
স্থান | সোর্স |
বাস্তবতা অনেকটা তিতা। তাই এই তিক্ততাকে উপেক্ষা করে চলতে হবে আপু।
আমিও কিছুদিন আগে ভোটার আইডি কার্ড বানিয়েছি।
অনেক ঘুরাঘুরি করার পর আমি সফলতা অর্জন করতে পেরেছি।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। 💞💞
ভোটার আইডি ছাড়া কিছু হয় না। না হয় কখনো করতাম না ভাইয়া। যা বাজে একটা অবস্থা হয়।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য । আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আজকে সারাদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা আপনার অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আসলে বাস্তবতা এমনি একটু তিতা। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গঠন মূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপু বাংলাদেশের সরকারি অফিসগুলোতে গেলে এভাবেই নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষদেরকে। বিশেষ করে নির্বাচন অফিসের ভোগান্তির কথা তো সবারই জানা কিন্তু এগুলো দেখার কেউ নেই। যাইহোক বড় বোন হিসেবে অনেক দায়িত্ব পালন করেন বুঝা গেল। এভাবেই এগিয়ে যান প্রার্থনা করি।
জি সরকারি যত অফিস আছে সব গুলো তে এই অবস্থা। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আপনার কাটানো সারাদিনই সময়টুকু পড়ে অনেক খারাপ লাগলো । আপনি অনেক খারাপ একটি সময় পার করেছেন । বাস্তব জীবনটা কেমন সেটা বাইরে বের না হলে বোঝা যায় না ।
তেমনি আপনি বাস্তব জীবনের সম্মুখীন হয়েছিলেন ।
দোয়া করি যেন ভবিষ্যতে দিনগুলো আরো সুন্দর ভাবে কাটিয়ে কাটাতে পারেন
জি ভাইয়া বাস্তবটা খুব কঠিন 😥 অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্ট টা পড়ে মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বাস্তব কিছুটা তিতা বলে ধরে নেওয়া হয়। তার পরেও ভুল বুঝার থাকেনা। কেননা কাজটা আমারই।ভাল ছিল উপাস্থাপন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
♥️🏵️
যাক যতো ঝামেলাই হোক কাজতো সম্পন্ন হয়েছে এটাই শুকরিয়া। আসলে কি বলবো আপু, এই সব জায়গায় সব সময় একই অবস্থা। জায়গায় জায়গায় ঘুস দিতে পারলে কাজ দ্রুত হবে, তা না হলে অপেক্ষার প্রহর গুনা বাধ্যতামূলক। অনেক কষ্ট হইছে জেনে অনেক খারাপ লাগলো। ☹️
ভাইয়া ঘুস ছাড়া কলমের ও কালি বের হয় না। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
https://twitter.com/shantaislam3309/status/1500901733371105280?t=oca6KUnYNp226FEBBxWKLQ&s=19
প্রচুর পরিশ্রম হয়েছে । নির্বাচন অফিসের খপ্পরে পড়লে এমন হবেই । টাকা যাবে , প্রান ও যেতে চায় মাঝে মাঝে। কঠিন দেশ কঠিন নীতি। কিছু করার নেই। এভাবেই চলতে হবে। সারাদিন প্রচুর ব্যস্ততার বর্ননায় ভালই তুলে ধরেছেন। তবু বলবো সব কাজ একসাথে না করে একটি একটি করে করা ভাল যদি সম্ভব হয়। ধন্যবাদ ।
জি ভাইয়া দুআ করবেন, অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
বিষয়টি জানার পর অনেক খারাপ লাগলো আপু, যখন শিক্ষিত মানুষ গুলো অশিক্ষিত এর মত কাজ করে তখন সত্যি বিষয়টা অনেক খারাপ লাগে, যাই হোক আশা করি আপনার কাজটি খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ হবে, সত্যি আপু আজকে সারাদিন প্রচুর পরিমাণ রোদ ছিলো, তাই খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, অনেক সুন্দর কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল মিষ্টি আপু।
কিছু করার নেই ভাইয়া যেমন দেশ তেমন নিয়ম। ইনশাআল্লাহ ভাইয়া এখন হয়ে যাবে। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।