খুদের ভাত দিয়ে মুচমুচে ঝাল সুস্বাদু পাকোড়া রেসিপি (ইউনিক)প্রিয়@shy-fox 10% beneficiary।
আসসালামু আলাইকুম,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আপনাদের দুয়াতে আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে চলে এলাম নতুন একটি রেসিপি নিয়ে।
খুদের ভাত দিয়ে মুচমুচে ঝাল পাকোড়া রেসিপি।
আসলে খুদ বলতে চাউল ঝাড়ার পরে যেই ভাঙ্গা ভাঙ্গা অংশ পাওয়া তাকে আমরা খুদ বলি।আমাদের গ্রামে এই শীতের শুরুতে অনেক ধান ক্ষেতের ধান পাকা শেষ হয়ে যায়।
অনেক ধান ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে শুকিয়ে ধান থেকে চাউল তৈরি করে।
আর এই চাউল থেকে নতুন খুদ দিয়ে পুরো শীতটা যেনও খুব আনন্দে কাটে।
শীতের মধ্যে খুদের ভাতের সাথে বিভিন্ন রকমের ভর্তা খেতে যে কি সুস্বাদু লাগে বলে বুঝাতে পারবো না।
আরো তো খুদের ভাত দিয়ে বিভিন্ন রকমের রেসিপি খেতে অনেক টেস্টি হয়।আশা করি আপনারা সবাই চিনেন খুদের ভাত।
চলুন তাহলে শুরু করি সুস্বাদু রেসিপি।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ-
খুদের ভাত তিন কাপ।
ডিম একটি।
বেসন হাফ কাপ।
চাউলের গুড়া হাফ কাপ।
খাবার সোডা হাফ চামচ।
ঘি এক চামচ।
পেঁয়াজ দুইটি।
কাঁচা মরিচ আটটি।
ধনিয়াপাতা গাছ দুইটি।
হলুদ গুঁড়ো এক চামচ।
মরিচ গুঁড়ো দুই চামচ।
জিরা গুঁড়ো এক চামচ।
আদা বাটা এক চামচ।
রসুন বাটা এক চামচ।
সয়াবিন তেল দুই কাপ।
লবণ এক চামচ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ-
১/
এখন প্রথমে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ এবং ধনিয়াপাতা নিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবো।
২/
এরপর পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনিয়াপাতা কুচি করে কেটে নিবো।
৩/
এবার একটি থালায় শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, খাবার সোডা, আদা বাটা, রসুন বাটা, ঘি,লবণ নিয়ে নিবো।
৪/
এখন প্রথমেই রান্না করে রাখা খুদের ভাত একটি বাটিতে নিয়ে, এতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনিয়ার কুচি দিয়ে দিবো।
৫/
এবার খুদের ভাতের সাথে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, ধনিয়াপাতা কুচি গুলো হাত দিয়ে হালকা করে মেখে নিবো।
৬/
ভালো ভাবে মাখিয়ে নেয়া হয়ে গেলে এতে একটি ডিম ফাটিয়ে দিয়ে দিবো।
৭/
এখন সব গুলো উপকরণ এক সাথে করে ভালো ভাবে মেখে এতে শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, খাবার সোডা, রসুন বাটা, আদা বাটা, ঘি ও লবণ দিয়ে দিবো।
৮/
এবার শুকনো মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো,ঘি,খাবার সোডা,আদা বাটা,রসুন বাটা ও লবণ দিয়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিবো।
এরপর এতে চাউলের গুড়া ও বেসন দিয়ে দিবো।
৯/
এখন হাত দিয়ে ভালো ভাবে সব গুলো উপকরণ এক সাথে মাখিয়ে নিবো।
১০/
প্রথমে চুলায় একটি প্যান বসিয়ে দুই কাপ তেল দিয়ে গরম করে খুদের পাকোড়া গুলো হাত দিয়ে গোল করে তেলে দিয়ে দিবো।
এভাবে সব গুলো পাকোড়া তেলে দিয়ে দিবো।
১১/
চুলার আগুন টা একদম কমিয়ে দুই মিনিট এক পাশে ভেজে অন্য পাশে দুই মিনিট লাল করে ভেজে নামিয়ে রাখি।
এখন খুদের পাকোড়া পরিবেশনের জন্য একদম রেডি।
পরিবেশনের টমেটো সস্ ধনিয়াপাতা ও একটি কাঁচা মরিচ দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।
আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে আমার আজকের ইউনিক রেসিপি।
আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে দয়া করে কমেন্ট করে জানাবেন। লেখায় কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
দিদি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আমার কাছে একদম নতুন। এরকমভাবে কখনো রান্না করিনি। খুব মন দিয়ে পড়লাম পুরো পোস্ট। খেতে দুর্দান্ত লাগবে তাই না? নতুন রেসিপি শিখতে সবসময় ভালো লাগে। আজকের টায় একটু বেশি ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইল দিদি।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য। জি দিদি খেতে অনেক সুস্বাদু।
কমেন্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো দিদি অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
একটা সুসংবাদ দিতে চাই আপনাকে। আজকে আপনার এই পোস্ট দেখে দেখেই আপনার ভাবি এই পাকোরা বানিয়েছে। একটু আগেই এক সাথে খেলাম। অনেক সুস্বাদু ছিলাম। এমন ইউনিক কিছু আমাদের সামনে নিয়ে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই পাকোড়া টা খেতে অনেক মজাদার তাই না ভাইয়া।
আমার পক্ষ থেকে ভাবিকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার তৈরি রেসিপি তৈরি করে বাসায় খাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপু সুন্দর করে খুদের ভাত দিয়ে মুচমুচে ঝাল সুস্বাদু পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। এটা সত্যিই আমার কাছে একটা ইউনিক রেসিপি মনে হয়েছে। আপনার প্রক্রিয়া গুলো দেখে খুব সহজেই বুঝতে পারলাম রেসিপির ধরন। এখন আমিও পেয়ে যাব রেসিপিটা বানাতে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া 🥰
সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুদের ভাত দিয়ে তৈরি করা এই রেসিপিটা আসলেই অনেক ইউনিক। আমি অনেক ধরনের পাকুরা আমি খেয়েছি তবে খুদের ভাত দিয়ে তৈরি করা এমন
পাকুরা খাওয়া হয়নি। আম্মুকে বলে তৈরি করে খেতে হবে যাই হোক ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি সৃষ্টিশীল রেসিপি ছিল।
জি ভাইয়া এই পাকোড়া টা খেতে অনেক মজাদার।
বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া মতামত শেয়ার করার জন্য।
কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা খুদের ভাত দিয়ে এভাবে যে পাকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আসলে আমি কখনো জানতামই না আর কখনো খাইনি আপনি বরাবরই ইউনিক ইউনিক রেসিপি নিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থিত হন আপনার রেসিপি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে যেমন ধরুন আজকে যে রেসিপিটা আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এটা সত্যি ইউনিক একটি রেসিপি রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে সেই সাথে অনেক লোভনীয় এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য
জি ভাইয়া এই পাকোড়া টা খেতে অনেক মজাদার। মুচমুচে ঝাল অনেক টেস্টি।
বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া।
মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ, এটা সুস্বাদু দেখাচ্ছে. আপনার রেসিপি অনুসরণ করা সহজ. রেসিপি সম্পর্কে সুন্দর বিস্তারিত জন্য আপনাকে ধন্যবাদ. শুভ কামনা.
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি গ্রামের ছেলে খুদ খুব ভালো করে চিনি।তবে খুব দিয়ে যে এত সুন্দর পকোড়া তৈরি করা যায় এটা সত্যি জানা ছিল না।অনেক সুন্দর আপু পকোড়া টা দারুন তৈরি করেছেন।এবং পকোড়া তৈরি রেসিপি টা খুব ভালো হয়েছে। একদিন চেষ্টা করে দেখতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ইউনিক পকোড়া রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ট্রাই করে দেখবেন অনেক মজাদার হয়।
সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ আজকের পাকোড়া খুবই ভিন্ন ধরনের হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব মুচমুচে হবে। মুচমুচে যেকোনো কিছু ক্ষেত্রে আমার খুবই ভালো লাগে। যেহেতু ঝাল পাকোড়া তাহলে তো কোন কথাই নেই। ঝাল পাকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে এই রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি আপু খেতে অনেক মুচমুচে ঝাল পাকোড়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু মতামত শেয়ার করার জন্য।
খুদের ভাত দিয়ে মুচমুচে পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার রান্না বরাবরই আমার ভালো লাগে। খুবই দক্ষতার সাথে রান্না গুলো করে থাকেন আর বিশেষ করে এগুলো গরম গরম খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বরাবরের মতই আপনার আজকের রেসিপি টা অনেক ভাল ছিল
জি ভাইয়া গরম গরম খেতে অনেক মজাদার।
একটু বেশি দিয়ে এই পাকোড়া টা খেতে অনেক মজাদার লাগে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার খুদের ভাত দিয়ে তৈরি করা পাকোড়া টি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি এর আগে কখনো এরকম খাবার খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু খেতে হবে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি অবশ্যই বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বাসায় ট্রাই করে নিবেন।
খেয়ে দেখবেন অনেক মজাদার ও টেস্ট।
অসংখ্য ধন্যবাদ মতামত শেয়ার করার জন্য।