ঘরোয়া উপায়ে স্বাস্থ্যসম্মত দুধের ছানা দিয়ে স্পঞ্জের মিষ্টি তৈরির রেসিপি।🌹প্রিয় @shy-fox 10% beneficiary।🌹
আসসালামু আলাইকুম.
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন সবাই। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দুয়াতে ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে চলে এলাম একটি মজাদার ও সুস্বাদু রেসিপি নিয়ে। বাজারের চেয়েও স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া উপায় ছানা দিয়ে স্পঞ্জের মিষ্টি তৈরির রেসিপি। আমি কিন্তু মিষ্টি খেতে একদম পছন্দ করি না।তবে স্পঞ্জের মিষ্টি টা খেতে খুব ভালোবাসি।কিছুদিন যাবত আমি আম্মুকে বলছিলাম বাজার থেকে দুধ নিয়ে আসতে। আম্মু বলছিলো বাজারে দুধ নাকি ভালো না,আম্মু বললো পাশের বাড়ির চাচার নাকি দুই টা বড় বড় গরু আছে ওই গরু গুলোর দুধ নাকি অনেক ভালো।
আম্মুকে বললাম তো আম্মু নিয়ে আসেন চাচার কাছ থেকে। আম্মু কালকে চাচাকে বলে আসে দুধ দেওয়ার জন্য কিন্তু চাচা কালকে দুধ দেয় নাই। কারণ চাচার বোন মানে আমার ফুফু,ফুফুর বাসায় পাঠিয়ে দেয় দুধ গুলো। এরপর আজকে সকাল বেলায় চাচা দুধ নিয়ে আসেন।চাচার গরুর দুধ গুলো অনেক বেশি মজা অনেক সুগন্ধ বের হয় রান্না করার পর।আসলে শহরের চেয়ে গ্রামে একদম বিশুদ্ধ দুধ পাওয়া যায়। কারণ শহরের গরুর দুধে অনেক ভেজাল থাকে। রান্না করার পর কোনো সুগন্ধ বের হয় না।আমাদের গ্রামে এক লিটার গরুর দুধের দাম মাএ ৬০ টাকা করে কোনো ভেজাল ও নেই। চাচার কাছ থেকে আমি ২ কিলো দুধ কিনে নিলাম। আজকে আমি গরুর দুধ দিয়ে ছানা তৈরি করে এরপর আবার স্পঞ্জের মিষ্টি তৈরি করবো,ভাবলাম এই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে একটু শেয়ার করি। চলুন তাহলে শুরু করি আর দেরি কেনও।
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
---|---|
১.গরুর দুধ | দুই লিটার। |
২.চিনি | দুই কাপ। |
৩.এলাচি | চারটি। |
৪.পানি | ছয় কাপ। |
৫.পাতলা কাপড় | একটি। |
৬. লেবুর | আট টুকরো। |
প্রস্তুত প্রণালী.
প্রথমে আমি দুই টি লেবু নিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে নিবো। এরপর আমি লেবু গুলো কেটে টুকরো করে লেবুর রস বের নিয়ে নিবো।
এবার একটা থালায় দুই কাপ চিনি নিয়ে নিবো। এরপর চারটি এলাচি নিয়ে নিবো।
এখন দুই লিটার দুধ ছেঁকে পরিষ্কার করে নিবো। এরপর চুলায় একটি বড় হাঁড়িতে দুধ নিয়ে ৫ মিনিট রান্না করে ফুটিয়ে নিবো।
এখন পাঁচ মিনিট পর দুধ ফুটে আসলে এতে আমি চার চামচ পরিমাণ লেবুর রস দিয়ে দিবো। এরপর আরো এক মিনিট রান্না করে নিবো।
আপনারা চাইলে ভিনেগার দিয়ে ছানা টা তৈরি করে নিতে পারেন।আমি এখানে লেবুর রস দিয়ে ছানাটা তৈরি করেছি। আমি ভিনেগার দিয়ে ছানা তৈরি করিনি কারণ ভিনেগারের গন্ধ টা আমার কাছে ভালো লাগে তাই।
এখন এক মিনিটের মধ্যেই দুধের ছানা টা তৈরি হয় যায়।ছানা টা তৈরি হলে আমি চুলার আগুন বন্ধ করে দিবো।
এখন একটি বাটির উপরে পাতলা কাপড় রেখে হাঁড়ির ছানা গুলো নিবো।
এরপর পাতলা কাপড়ে রেখে হাত দিয়ে ভালো ভাবে চেপে ছানা থেকে পানি গুলো বের করে নিবো।
এবার ছানা থেকে পানি গুলো বের হয়ে গেলে একটি থালায় ছানা গুলো নিয়ে নিবো।
এখন আমি ছানা গুলো কে পাঁচ মিনিটের মতো ভালো ভাবে মেখে নিবো। ঠিক একদম আমরা যেই ভাবে রুটি তৈরির জন্য ময়দা মাখি সেই ভাবে।
এবার ছানা গুলো ভালো ভাবে মাখানো হলে, আমি দুই হাত দিয়ে গোল গোল করে মিষ্টির আকার দিয়ে দিবো।
এবার চুলায় একটি হাঁড়ি বসিয়ে ছয় কাপ পানি দিয়ে দিবো। এরপর এতে দুই কাপ চিনি ও এলাচি দিয়ে পানি টা ফুটিয়ে নিবো।
এখন পানি ফুটে আসলে এতে ছানা দিয়ে গোল করে তৈরি করে রাখা মিষ্টি গুলো সব দিয়ে দিবো। এরপর চুলার আগুন টা একদম কমিয়ে দশ মিনিট এর জন্য জন্য ঢানা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিবো। দশ মিনিট পর ঢাকনা তুলে দেখি ছানা দিয়ে তৈরি করা স্পঞ্জের মিষ্টি গুলো খাওয়ার জন্য তৈরি।
মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার খুবই পছন্দের,আমি অনেক গুলো এই ছানার মিষ্টি খাইতে পারি। জাই হোক বানাইছেন আপনি আমি তো আর খেতে পারব না,আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ভাইয়া আমিও এই ছানার মিষ্টি গুলো অনেক খেতে পারি।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/shantaislam3309/status/1482007141179617280?t=dbM4G2_7Q28QaZFznmggIA&s=19
অসাধারণ আপু।আপনার তৈরি মিষ্টি দেখেই জিভে জল চলে আসল।দেখেই বোঝা জাচ্ছে যে অনেক টেস্ট হয়েছে।আর খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি ভাইয়া খেতে অনেক টেস্টি হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
উফফফ আপু কি শেয়ার করলেন এটা!! মনে হচ্ছে আজকে রাতে আর ঘুম আসবে না এই স্পঞ্জ মিষ্টির লোভে। কেন যে আমাদের মতই অসহায় মানুষগুলোকে এত কষ্ট দেন এত মজাদার রেসিপি গুলো শেয়ার করে সত্যিই বুঝতে পারিনা। স্পঞ্জ মিষ্টি আমার অনেক বেশি পছন্দের একটি মিষ্টি। আর আমি এমনিতেও মিষ্টিজাতীয় খাবার খুব পছন্দ করি। তাই দেখেই বুঝতে পারছি আপনার স্পঞ্জ মিষ্টি কত বেশি সুস্বাদু এবং মজাদার হয়েছে। আমি অনেক বার বাসায় বানিয়েছি একই নিয়মে। তবে ইতিমধ্যে বাড়ানো হয়নি কখনো তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে রেসিপি পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। অসংখ্য শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু দাওয়াত রইলো আমাদের বাসায় চলে আসেন ইনশা আল্লাহ তৈরি করে খাওয়াবো।
খেতে অনেক টেস্টি ও মজাদার হয়েছে আপু মনি।
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মনি মূল্যবান সময় দিয়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর ও অসাধারণ ভাবে ঘরোয়া উপায় স্পঞ্জের মিষ্টিগুলো বানিয়েছেন যা খুবই ভালো লাগছে আমার কাছে। মিষ্টি গুলো খেতে অসাধারন লাগে, মুখে দিলেই কেমন মনে হয় ফিনিশ হয়ে গেল সাথে সাথে। স্বাদটাই অন্যরকম অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু আমার আপনার ছানা দেখে অনেক লোভ হচ্ছে। আমি মিষ্টি জিনিস অনেক পছন্দ করি।কি সুন্দর ছানা বানিয়েছেন আপনি।মনে হচ্ছে অনেক ইয়াম্মি ,😋😋।ধন্যবাদ আপনাকে,সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে খুব টেস্টি হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু মনি মতামত শেয়ার করার জন্য।
ওয়াও দুধের ছানা। দুধের ছানা অনেক পছন্দের একটি খাবার। মিষ্টির মধ্যে আমি সবসময় এই দুধের সঙ্গে খেয়ে থাকি। এটি আমার খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আর ছানা গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার ঘরোয়া উপায়ে স্বাস্থ্যসম্মত দুধের ছানা দিয়ে স্পঞ্জের মিষ্টি তৈরির রেসিপিটি আমার কাছে একটা শিক্ষানীয় বিষয় হিসেবে থাকল
আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আর তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মূল্যবান সময় দিয়ে আমকে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু, আমার প্রিয় মিষ্টি তৈরি করেছেন৷ দুধের ছানা দিয়ে তৈরি মিষ্টি আমার খুব পছন্দের। আমিও অনেকবার তৈরি করেছিলাম। রিসেন্টলি তৈরি করা হয় নি। আপনি খুবই সুন্দর করে তৈরি করেছেন আর ছবিগুলো এমনভাবে তুলে ধরেছেন যা দেখতে খুবই স্পষ্ট দেখাচ্ছে৷
জি আপু আমারও অনেক প্রিয় ছানার এই মিষ্টি টা
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ বাহ!! একদম ঘরেই তৈরি হয়ে গেলো দুধের ছানা স্পন্জের মিষ্টি। দেখে তো লোভ লেগে গেলো আপু। খেতে নিশ্চয় খুবই মজা হয়েছে। আর বাড়িতে বানানো যেকোনো কিছুই স্বাস্থ্যসম্মত হয়ে থাকে। রেসিপিটি শিখে নিলাম আপু। ধন্যবাদ
জি ভাইয়া খেতে অনেক মজাদার হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।