|| আপন খেয়ালে করা একটি DIY চিত্র অঙ্কন ||
সকলকে নমস্কার জানিয়ে আজকে আমি আমার পোস্ট শুরু করছি। আজ আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধর্মের একটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি, যা আমি এর আগে কখনো করিনি।
আসলে আমি আজকে একটি DIY পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। কমিউনিটিতে যে সমস্ত পোস্ট দেখি DIY এর, আমি তার ধারে কাছেও করতে পারিনা। আসলে আঁকা ঝোকা বা ক্রাফটের কাজে আমি অতটা পারদর্শী নই। অনেক ছোটবেলায় ড্রয়িং শিখেছিলাম তাও বেশিদূর এগুলো হয়নি। এখন আর সেভাবে চর্চা করা হয় না। তবে হ্যাঁ কোন কিছু দেখলে সেটার অনুকরণে নতুন কিছু করতে বা করার চেষ্টা করতে আমার বেশ ভালো লাগে। আসলে একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি মন মেজাজ খারাপ থাকলে যদি একটু ছবি আঁকা বা ক্রাফ্ট এর কাজ করা যায় তাহলে মনটা অনেকটক চেঞ্জ হয়ে যায়। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য এই বিষয়ে আমি পারদর্শী নই।
বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা কোন একটা কারণে আমার মনটা ভাল ছিলনা। সামনে খাতা,পেন থাকায় হঠাৎ করেই আপন মনে আঁকিবুকি করতে শুরু করলাম। এখন শুরু করছিলাম তখন জানতাম না যে কি করব। তারপর করতে করতে একটা পর্যায়ে আসলাম, যেটা আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। জিনিসটা হয়তো আহামরি কিছু নয়, কিন্তু করার পরে আমার দেখতে বেশ ভালো লাগছিল, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমি যেহেতু আপন মনে ছবিটা আঁকা শুরু করেছিলাম তাই স্টেপ বাই স্টেপ পরপর সব ফটো তোলা নেই। হঠাৎ মনে পড়ল যখন তারপর থেকে কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছি সেগুলো দিয়েই কাজ চালাচ্ছি। আশা করি তাতেই সব বোঝা যাবে।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের DIY পোস্ট।
একটা সাদা কাগজ |
একটা কালোকালির ফাউন্টেন্ট পেন |
একটা পেন্সিল |
একটা লালকালির স্কেচ পেন |
একটা কালোকালির স্কেচ পেন |
★প্রথম ধাপ
সর্বপ্রথম আমি পেন্সিলের মাধ্যমে সাদা কাগজের ওপর একটা হার্ট সাইন এঁকে নিয়েছি একদম হালকা করে।
★দ্বিতীয় ধাপ
এরপর আমি ফাউন্টেন্ট পেনের মাধ্যমে সেই হার্টের একদিক থেকে সমান দূরত্ব রেখে একই অভিমুখে কিছু তীর চিহ্ন দিয়েছি।এই তীর চিহ্ন গুলি পুরো হার্ট সাইন জুড়ে একই ভাবে দিয়ে নিয়েছি।
এক্ষেত্রে মনে রাখার বিষয়,এই তীর চিহ্ন গুলি ঠিক যেভাবে আপনারা ছবিতে দেখছেন,সেইভাবেই দিতে হবে।তার কারণ আপনার পড়ের ধাপ গুলি দেখলেই বুঝতে পারবেন।
★তৃতীয় ধাপ
তারপর সেই তীর চিহ্ন গুলির দুই পাশে বাড়তি যে অংশ রয়েছে,সেই খান থেকে একটি করে লাইন টেনে নীচের তীর চিহ্নের বাড়তি অংশের পাশে অবধি আনতে হবে,ঠিক যেরকমটি ছবিতে দেখছেন।
একই ভাবে সব তীর চিহ্ন গুলিকে এইভাবে জুড়ে নিয়েছি।
★চতুর্থ ধাপ
এই ধাপটি খুব মনোযোগ সহকারে করতে হবে।প্রত্যেকটি তীরের দুপাশের বাড়তি অংশ থেকে লম্বা দাগ টেনে নীচের তীরের দুপাশ পর্যন্ত টানতে হবে।একই ভাবে সম্পূর্ণ অংশটাই করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ অবধি আমি ফাউন্টেন্ট পেনের ব্যবহার করেছি।
★পঞ্চম ধাপ
এরপর আমি লালকালির স্কেচ পেনের মাধ্যমে ভেতরের একটি অংশ ভরাট করে নিয়েছি।এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন একটা লাইন বরাবরই লাল রং হয়।
★ষষ্ঠ ধাপ
লালকালি দিয়ে একটা অংশ সম্পূর্ণ ভরাট করা হয়ে গেলে বাকি যে অংশটি সাদা থাকবে সেটা আমি কালো কালির স্কেচ পেন দিয়ে ভরাট করে দিলাম।
ব্যাস এবার কমপ্লিট হয়ে গেলো আমার সম্পূর্ণ ছবিটি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের চিত্র অঙ্কন,যার কোনো মাথা-মুন্ডু মানে নাই😂।তাও আপনারা কমেন্টে জানাবেন কেমন লাগলো।
আসলে ক্রাফট প্রস্তুত বলেন আর আঁকিবুকি বলেন সবই আসলে চর্চার ব্যাপার যে যত বেশি এটা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে সে ততো ভালো করে এগুলা প্রস্তুত করতে পারবে।। আপন খেয়ালে আঁকা আপনার চিত্রটি কিন্তু দেখতে দারুণ দেখাচ্ছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।।
আসলে আমি আঁকি-বুকি নিয়ে একদমই চর্চা করতে পারিনা,কিন্তু করতে খুবই ভালো লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্যে।
আমারও মন খারাপের সময় আঁকাআঁকি করতে খুবই ভালো লাগে। তখন মনটা ভালো হয়ে যায় ।আপনি বেখেয়ালি মনে যে চিত্রটি একেছেন এটি আসলে সুন্দর লাগছিল ।ভেতরের ফ্রেমগুলো আমি প্রথম ভেবেছিলাম চশমার ফ্রেম ।দেখে বেশ ভালই লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্যে।ভালো থাকবেন।
সত্যি ভাইয়া যখন মন খারাপ থাকে তখন আঁকতে বেশ ভালই লাগে। আসলে মন খারাপের সময়গুলোতে আঁকা আঁকি করলে মন ভালো হয়ে যায়। ভাইয়া আপনার শেয়ার করা আর্টটি সুন্দর হয়েছে। আপনি চেষ্টা করলে আরো দারুন দারুন আর্ট করতে পারবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ, মন খারাপের সময় আঁকি-বুকি করলে মনটাও একটু হালকা হয়ে যায়।আমার আঁকাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
মন খারাপের সময় গুলোতে কোন কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলে মনটাও অন্যদিকে ডাইভার্ট হয়ে যায়। আমি নিজেও তোমার মত থিওরি অ্যাপ্লাই করি। তবে সম্রাট শুরু তে যে সুন্দর করে হার্ট একেছো, ওটা জীবনেও আমার দ্বারা হবে না। আর সেই জন্যই বোধ হয় আমার হার্টের এই অবস্থা 😅। ছবিটা বেশ জটিল আছে কিন্তু। এতটাও সহজ না । আর বেশ ভালো লাগলো তোমার আঁকা ছবিটা। মাঝে মাঝে এমন চেষ্টা চালিয়ে যেও।
মন ডাইভার্ট করার জন্যে কত কিছুই তো অ্যাপ্লাই করি দাদা,কিন্তু সবসময় তা কাজে দেয়না।
হার্টটা নিখুঁত করতে আমাকেও বেশ কসরত করতে হয়েছে, তবে কতটা পেরেছি জানিনা 😂।চেষ্টা করবো এরকম আরও কিছু করতে ।