|| জগদ্ধাত্রী পূজা পরিক্রমা'২২ | পর্ব-০৬ ||
সকলকে নমস্কার। রুচি বদলের জন্য গতকাল আমি একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট করেছিলাম। আজকে আবারো আমি জগদ্ধাত্রী পুজোর পর্ব নিয়ে এসেছি।
বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন আজকের পুজো পর্ব গুলো পর পর দেখে নেওয়া যাক।
সর্বপ্রথম আমি আজকে আপনাদের সাথে যে পুজো মন্ডলের কথা শেয়ার করব তার নাম হলো "রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারী"। এই বারবার এইবারের থিম ছিল "দক্ষিণ সিকিমের রাভাঙলা বুদ্ধ পার্ক"। এই রাভাঙলা বুদ্ধ পার্ক সম্পর্কে যাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই ,তাদের জন্য আমি নীচে ছোট একটি ব্যাখ্যা দিলাম।
রাভাংলার বুদ্ধ পার্ক ভারতের সিকিম রাজ্যের দক্ষিণ সিকিম জেলার রাভাংলার কাছে অবস্থিত। এটি ২০০৬ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এটির প্রধান আকর্ষণ হিসাবে গৌতম বুদ্ধের ২৫৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত বুদ্ধের ১৩০ফুট উচ্চ মূর্তি রয়েছে,যা ৬০ টন তামা দিয়ে নির্মিত । এটি নিজেই একটি শতাব্দী প্রাচীন তীর্থস্থান। মূর্তিটি ২৫ এ মার্চ ২০১৩ এ,১৪ তম দালাই লামা দ্বারা পবিত্র করা হয়েছিল। পার্কটিতে প্রশস্ত পথ সহ একটি শান্ত পরিবেশ রয়েছে এবং এখানে একটি বৌদ্ধ সম্মেলন, একটি ধ্যান কেন্দ্র এবং একটি সর্পিল গ্যালারি সহ একটি জাদুঘর রয়েছে। প্রসঙ্গত এই পার্কটি তথাগত সাল নামেও পরিচিত। ক্লাবের প্রতিমা "অন্নমাতা" নামে পরিচিত।
এখন আমি আপনাদের শেয়ার করব ক্লাব M.N.B. এর প্যান্ডেল এবং প্রতিমা। এই এম.এন.বি. এর পুরো কথা হলো মন্দির নেতাজী বাগ। প্রসঙ্গত বলে রাখি এই এমএনবি হল আমার পাড়ারই ক্লাব। এই পূজাটিও প্রত্যেক বাড়ই খুব সুন্দর করে। এদের মূল আকর্ষণ থাকে হলো বিশাল বড় প্যান্ডেল। এদের সব থেকে বড়ো সুবিধা হচ্ছে এরা একটি বিশাল বড় মাঠে পূজোটি করে, যেটি এদের নিজেদেরই মাঠ। তাই অনেকটা জায়গা পাই প্যান্ডেল করার জন্য। এই এমএনবি ক্লাবের এইবারের থিম ছিল ভারতের উত্তরপ্রদেশের "আগ্রা ফোর্ট"। অর্থাৎ আগ্রা ফোর্টের অনুকরণে তাদের প্যান্ডেলটি হয়েছিল। আপনারা যারা আগ্রা ফোর্ট সম্পর্কে জানেন না তাদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি, আগ্রার ফোর্ট হল ভারতের আগ্রা শহরের একটি ঐতিহাসিক দুর্গ যা লাল দুর্গ নামেও পরিচিত। এটি মুঘল সম্রাট আকবরের জন্য ১৫৬৫-১৫৭৩ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটি ছিল রাজপুতদের সিকারওয়ার গোষ্ঠীর শাসকদের প্রধান বাসস্থান। তাহলে চলুন দেখে নিই এই বারোয়ারীর প্যান্ডেল এবং প্রতিমা।
লাল দুর্গটি সত্যি অনেক সুন্দর। অনেক পুরনো এই দুর্গগুলো দেখতে ভালই লাগে। জগদ্ধাত্রী পুজোর ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। সেই সাথে অনেক কিছুই জানতে পারলাম। হয়তো এর আগে এই তথ্যগুলো জানতাম না। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন সব ফটোগ্রাফি এবং প্রতিমাগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
তোমাদের ওখানকার পুজোর থিম গুলো সব সময় সবার নজর কেড়ে নেয়। এক কথায় একবার দেখে কেউ ফিরে আসতে পারবে না, ইচ্ছে করবে কিছুটা সময় নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে চারপাশটা দেখতে। বেশ ভালো লাগলো সব গুলো আয়োজন। তবে ৬০ টন তামা দিয়ে তৈরি বুদ্ধের মূর্তির কথা শুনে রীতিমতো চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল।