|| ম্যাসেনজোর ট্যুর | পর্ব -০১ | ১০% বেনিফিট shy-fox এর জন্যে ||
আজকে আমি আপনাদের সাথে আরও একটি ট্রাভেলিং ব্লগ শেয়ার করছি। আজকে শেয়ার করব মেসেঞ্জার যাওয়ার গল্প। এই মেসেঞ্জার নামক জায়গাটি ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলার মধ্যে পড়ে। আমাদের বাড়ি থেকে দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার মতো।
এখানে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানটা একপ্রকার হঠাৎ করেই ঠিক হয়েছে। আসলে এই সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ সোমবার স্বাধীনতা দিবস পরে যাওয়ায় শনি, রবি,সোম মোট তিন দিন এর একটি ছুটি পাওয়া গেছিল। আমার মতন যারা ভ্রমন পিপাসু আছেন তারা সকলেই এই তিনদিনে কোথাও না কোথাও ঠিকই ঘুরতে গেছিলেন। এর আগে আমার টাকি সফরের ব্লগটি যারা দেখেছেন, তারা হয়তো জানেন যে আমি আমার দুই-দাদার সাথে অধিকাংশ জায়গায় ঘুরে বেড়াতে এবং সময় কাটাতে ভালবাসি। তো সেরকমভাবেই গত সপ্তাহের শুরুতে দাদাদের সাথে একদিন বিকেলে ক ঘুরতে বেরিয়েছি, তখন হঠাৎ করে আমার এক দাদা বলল যে তিন দিনের ছুটিতে কোথাও থেকে ঘুরে আসা যেতে পারে। তো কোথায় যাব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে আমার মেসেঞ্জার এর কথা মাথায় এলো। এবং দাদারাও সম্মতি জানিয়ে সেটাই ফাইনাল করে ফেলল।
আমরা ঠিক করি শনিবার যাব এবং সোমবার রাতের মধ্যে বাড়ি ফিরব। যেহেতু দূরত্ব খুব একটা বেশি না তাই সময় বেশি লাগার কথা নয়। সেইমতো আমরা ট্রেন টাইম ও বাসটাইম দেখে সিডিউল বানিয়ে ফেলি। তবে এখানে অব্দি যেতে হলে আমাদের বেশ ব্রেক জার্নি করতে হয়েছে। এটা ছাড়া অন্য কোন অপশন নেই। কারণ এখান থেকে ওখানে ডাইরেক্ট ট্রেন বা বাস কোনটাই চলে না। অপশন বলতে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া বা বাইকে যাওয়া। কিন্তু সেটা করতে গেলে খরচা অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছিল, উপরন্ত শরীরও ক্লান্ত থাকতো। তাই সেই প্ল্যান ক্যানসেল করে আমরা ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
কৃষ্ণনগর থেকে আমাদের ট্রেন ছিল ভোর ০৪:২০ তে, নৈহাটি পর্যন্ত। যেতে মোটামুটি ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট মতো সময় লাগে। নৈহাটি থেকে আমাদের যেতে হয়েছিল ব্যান্ডেল, সেখানে যেতে সময় লাগে ১০ মিনিট। ব্যান্ডেল থেকে আমাদের সিউড়ি যাওয়ার ট্রেন ছিল। ব্যান্ডেলে আমাদের ট্রেন টাইম ছিল সকাল সাড়ে সাতটা। ব্যান্ডেল থেকে সিউড়ি যেতে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে। সিউড়ি থেকে আবার একটা বাস জার্নি ও ছিল। সিউড়ি থেকে বাসে করে আমাদের ৪০ কিলোমিটার যেতে হতো। সেখানে সময় লাগার কথা এক ঘন্টা কুড়ি মিনিট মতো।
তো এই সমস্ত প্ল্যান করে আমরা রেডি হয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের যাত্রা প্রায় মাঝরাত থেকে শুরু হবে সেই ভেবে আমরা সাথে বেশ কিছু খাওয়ার দাওয়ার নিয়ে নিয়েছিলাম, যেমন পাউরুটি টোস্ট, ডিম সেদ্ধ ,বিস্কুট, বাদাম এই সমস্ত।
আমার বাকি দুই দাদার বাড়ি কৃষ্ণনগর স্টেশন থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আর আমার বাড়ি থেকে স্টেশনে হেঁটে গেলে ৮ থেকে ৯ মিনিট লাগে। তাই দাদাদেরকে বলে দিয়েছিলাম আগের দিন রাত্রে বেলা যাতে আমার বাড়িতে এসে থাকে, তাহলে সকালবেলা স্টেশনে অব্দি পৌঁছাতে কোন সমস্যা হবে না।
প্ল্যান মাফিক শুক্রবার রাতে তারা আমাদের বাড়িতে চলে আসে। সেই রাতে আমরা ব্যাগ গুছিয়ে সব জিনিসপত্র ঠিকঠাক ভাবে নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম । ভোরবেলা উঠে আমরা সঠিক সময়ে রেডি হয়ে যথাযথভাবে ভোর চারটা কুড়ির ট্রেন টা পেয়ে যাই।
আজ এখানেই শেষ করছি,পরের অংশ টুকু আগামী পর্ব গুলিতে শেয়ার করবো।
আমাকেও একটি ভোট দিন