|| ঝাড়খণ্ড সফর | পর্ব-০৩ ||
নমস্কার সকলকে।
এর আগের পর্বে আমি আমার ঝাড়খন্ড সফরের প্রথম দিনের কিছু ঘোড়ার মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমরা সর্বপ্রথম গেছিলাম বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত ভিটেতে। তারপরে সেখান থেকে আমরা আরো দুই তিনটে জায়গায় ঘুরতে গেছিলাম। সেই জায়গা গুলি নিয়ে আজকে আমি আলোচনা করবো।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত ভিটে থেকে আমরা পরের যে গন্তব্যে রওনা দিলাম,সেটি ছিলো তামার কারখানা। এই ঘাটশিলার একটা অনেক বড় ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য আছে, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। তা হলো ঘাটশিলায় এমন এক তামার খনি আছে,যা এশিয়ার প্রথম তামার খনি এবং বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম খনি।
আমাদের সেই তামার কারখানায় ভ্রমণেও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা সেখানে পৌঁছে জানতে পারলাম সেই তামার খনি নাকি বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২০ সালে যখন করোনাভাইরাসের জন্য চারিদিকে লকডাউন শুরু হয়, তারপর থেকে আজও নাকি একইভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এই কারখানা কবে খুলবে তা কেউ জানে না। এমনকি সরকারের ও এই নিয়ে কোন হেলদোল নেই। তো যাই হোক আমরা বাইরে থেকেই চলে এলাম।
আমরা সেই দিনকে সুবর্ণরেখা নদীর তীরেও গেছিলাম, যে জায়গাটি ছিল খুবই সুন্দর এবং মনোরম প্রকৃতির। নদীটি বেশ চওড়া ছিল, তবে যেহেতু এখন শীতকাল তাই নদীতে জল খুব বেশি ছিল না ,ফলে স্রোত অনেক কম ছিল। কিন্তু নদীটা অনেক চওড়া ছিল। বর্ষাকালে যে এই নদীর ভালোই ফুলেফেঁপে ওঠে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছিল। আমি যখন সেখানে গেলাম সেই মুহূর্তের পরিবেশটা খুব সুন্দর ছিল, হালকা আবহাওয়া খুব বেশি ঠান্ডাও না আবার খুব বেশি গরমও না। আকাশে চড়া রোদ, কিন্তু একটা স্নিগ্ধ হাওয়া দিচ্ছিল যার ফলে রোদটা বেশি গায়ে লাগছিল না।
সব মিলিয়ে ভালোলাগার মত একটা পরিবেশ। আমরা সেখানে বেশ কিছুক্ষণ ছিলাম প্রচুর ফটো তুলেছি এবং অনেক মজা করেছি।সেখানে আমরা লক্ষ্য করলাম যে একটি ড্যাম মতন আছে,যদিও সেটা সবে তৈরি হচ্ছে।
ঝাড়খণ্ড সফর দেখে অনেক ভালো লাগলো। বেশ অনেক দিন হয়ে হলো কারখানাটি বন্ধ। জায়গাটা বেশ চমৎকার। ভালো লাগার মতো একটা পরিবেশ রয়েছে। এমন জায়গায় ঘুরতে গেলে মন ভালো হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
প্রকৃতির মুক্ত পরিবেশে আসলেই ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে।
তবে দাদা এই তথ্যটা কিন্তু আমার কাছেও অজানা ছিল আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আজকে জানতে পারলাম।
আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে নতুন একটি স্থান সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম। তবে আরও বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো। আর নতুন স্থান সম্পর্কে জানতে বেশ উৎসাহ বোধ করে সকলে। আশা করি পরবর্তী পর্বে আরো অনেক বিস্তারিত তুলে ধরবেন ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে।