|| ম্যাসেনজোর ট্যুর | পর্ব -০২ | ১০% বেনিফিট shy-fox এর জন্যে ||

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

নমস্কার সকলকে।

আগের পোস্টে আমার ম্যাসেনজোর ট্যুর এর কাহিনী শুরু বলতে শুরু করেছিলাম।আগের পর্বের শেষ থেকেই শুরু করছি আজ।

IMG_20220818_225558.jpg

তো আমরা কৃষ্ণনগর থেকে সঠিক সময়ে ট্রেন পেয়ে যাওয়ার ফলে ঠিকঠাক সময়ে নৈহাটি নেমে যাই এবং নৈহাটি থেকে ব্যান্ডেল যাওয়ার ট্রেনটিও সঠিক সময় পেয়ে যায়। ব্যান্ডেলে গিয়ে আমাদের প্রায় 30 মিনিট মত অপেক্ষা করতে হচ্ছিল সিউড়ি যাওয়ার ট্রেনটি আসার জন্য। তখন প্রায় সকাল সাতটা বেজে যায়। এদিকে আমাদের বেশ খিদে খিদেও পাচ্ছিল। যেহেতু আমাদের সাথে খাওয়ার ছিল তাই আমরা সেই খাওয়ারই খেয়ে নিলাম ব্যান্ডেল স্টেশন বসে।

PXL_20220813_065250717.jpg

PXL_20220813_064949749.jpg

খাওয়া দাওয়া করার পর আমরা আবার ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ট্রেন আসার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ট্রেনটি অ্যানাউন্সমেন্ট করে দিল এবং ট্রেনটি সঠিক সময়ের আগেই চলে আসলো। সেখানে ৫ মিনিট দাঁড়ালো, তারপর আমরা আমাদের সিট নাম্বার খুঁজে আমাদের রেজাল্ট সিটে বসে পড়লাম। ট্রেনে বসে একটু বোর লাগছিল, খানিক কোন গান শুনলাম তারপরে গান শুনতে ভালো লাগছিল না। রাতে ঘুম ঠিকঠাক হয়নি, চোখে ঘুমও লাগছিল কিন্তু ট্রেনে বাসে আমার ঘুমটা ঠিকঠাক ভাবে হয় না তাই ঘুমাতেও পারছিলাম না। এই সমস্ত করতে করতে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে সাড়ে তিন ঘণ্টা কেটে গেল এবং আমরা সিউড়িতে পৌঁছে গেলাম। সিউড়ী স্টেশনে নেমে আমাদের টোটো করে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড অব্দি যেতে হল, সেখানে ১০ মিনিট মত সময় লাগলো। আমরা ১১:৩০ টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে গেলাম।

PXL_20220813_105547331.jpg

সেখানে গিয়ে আমাদের গন্তব্যে যাওয়ার বাসটি খুঁজে তার টিকিট কেটে আমরা বাসে উঠে বসলাম, ড্রাইভার জানালো বারোটার সময় বাস ছাড়বে। সেই সময়টা আমাদের সবার খুব কষ্ট হচ্ছিল কারণ বাইরে খুব গরম ছিল সাথে মারাত্মক রোদ। গরমের মধ্যে বাসে বসে থাকা বেশ কষ্টকর ছিল। সেই আধঘন্টা যেন কাটতেই চাইছিল না, আমরা অপেক্ষা করছিলাম কখন বাস ছাড়বে আর সাথে একটু হাওয়া দেবে। যাইহোক এর পরে আস্তে আস্তে সঠিক সময় বাস ছাড়লো, কিন্তু আমরা যে বাসটিতে উঠেছিলাম কপাল খারাপ থাকায় বাসের কন্ডিশন একদমই ভালো ছিল না। বাসে প্রত্যেকটি জানলা খোলা থাকা সত্ত্বেও ভেতরে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচল করছিল না। সাথে ছিল মারাত্মক ভিড়। উপরি পাওনা হিসেবে বাসটি চলছিল বেশ ধীরগতিতে, যে রাস্তা এক ঘন্টা কুড়ি মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যায় সেই রাস্তা আমাদের যেতে সময় লাগলো প্রায় দু ঘন্টা।

IMG_20220818_230747.jpg

বাসের ভেতরে বসে আমরা প্রচন্ডভাবে ঘামছিলাম যখন হালকা হাওয়া দিচ্ছিল সেই ঘাম আবার শুকিয়েও যাচ্ছিল। যাই হোক এইভাবে কষ্ট সষ্টে কোনরকম দু'ঘণ্টা কাটানোর পরে আমরা আমাদের স্টপেজে নেমে গেলাম। আমাদের আগে থেকে একটি হোটেল বুক করা ছিল যার নাম 'মেসেঞ্জার ইয়ুথ হোস্টেল'। বাস যেখানে নাম হয় সেখান থেকে হোটেল অব্দি যেতে আরো ৭-৮ মিনিট সময় লাগে, এই পথটুকু হেঁটে যেতে হয় কারণ সেখানে বাস যায় না। ভোর থেকে জার্নির পর দুপুর হয়ে গেছিল, সেই সময়টুকু যেন আমরা আর হেঁটে যেতে পারছিলাম না। কোন রকম ভাবে আমরা হোটেলে পৌঁছে রুম নিয়ে সবার আগে স্নান করে ফ্রেশ হয়ে ভাত খাওয়ার জন্য সেই হোটেলের স্টাফদের বলে দিলাম।

IMG_20220818_231150.jpg

তো বন্ধুরা এই ছিল আজকে আমার মেসেঞ্জার পৌঁছানোর পর্যন্ত গল্প। বাকি গল্প আমি আপনাদের আগামী পোস্টে শেয়ার করব।

@samratsaha

Sort:  
 2 years ago 

আপনার গল্প গুলো পড়ে ভালই মজা পেলাম। ট্রেনেই বেশি চলাচল করলেন। কিন্তুু বাসের ফটোগ্রাফি দিলেন না । দিলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আসলে বাসের মধ্যে কোনো ফটো সেরকম ভাবে তুলতেই পারিনি।খিদে এবং প্রচন্ড গরমে সেই সময় বাসে বসে থাকাটাই চ্যালেঞ্জিং বিষয় ছিল।খেয়াল করে দেখবেন আমার পোস্টে পুরো কাহিনী টা লেখা আছে।
চিন্তা নেই,আমার আগামী পোস্ট গুলিতে নজর রাখবেন।ডিটেইলস এ থাকবে সব কিছু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59508.12
ETH 2603.38
USDT 1.00
SBD 2.39