তারবিহীন বিদ্যুৎ এর কনসেপ্ট ও নিকোলাস টেসলা ||
আসসালামু আলাইকুম
আধুনিক বিশ্ব গড়ে ওঠতে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর অবদান রয়েছে। নিউটন, আইন্সটাইনের মতো বিজ্ঞানীদের নাম হয়তো আপনি শুনেছেন। যাদের আবিষ্কারগুলো আমাদের জীবনকে আরও সহজতর করে দিয়েছে। আইন্সটাইনকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল - পৃথিবীর সবচেয়ে জ্ঞানী মানুষ হয়ে আপনার অনুভূতি কেমন? উত্তরে আইন্সটাইন বলেন এই প্রশ্নটি তুমি নিকোলা টেসলাকে গিয়ে করো। আজকের পোস্টে আমরা কথা বলবো এমন একজন বিজ্ঞানীকে নিয়ে যাকে নিয়ে বর্তমান সময় খুব কম কথা হয়ে থাকে। তার চমকপ্রদ আবিষ্কার আমাদের দিয়েছে এক নতুন মাত্র। তো চলুন শুরু করা যাক।
১৯৫৬ সালে নিকোলা টেসলা জন্মগ্রহণ করেন। ২২ বছর বয়সে তিনি চলে যান আমিরিকা। তখন আমিরিকাতে উন্নয়নের জুয়ার বইছিল। কিন্তুু রাত হলেই অন্ধকারে আচ্ছাদিত হতো মানুষজন। তখনকার সময়ে টমাস আলভা এডিসন এই সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবতে লাগলেন।
জেনে রাখা ভালো তখন নিকোলা টেসলাও এডিসনের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এডিসন আবিষ্কার করলেন ডিসি। যার দ্বারা মানুষ রাতে বিদ্যুৎ এর সাহায্য সব কাজ করতে পারবে। কিন্তু এই ডিসিতে জেনারেটরে রয়েছে বেশ কিছু সমস্যা। ডিসি জেনারেটর এক এক জায়গায় আলাদা আলাদা কারেন্ট ভোল্ট দিতে পারে না।
যার জন্য প্রয়োজন পরে আলাদা আলাদা ডিসি জেনারেটর। আর যার ফলে প্রচুর পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন পরে। এছাড়াও ১ মাইল দূর থেকে এই বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারে না। এই সমস্যা সমাধান করে দেন নিকোলা টেসলা। যার ফলে ১ মাইল দূর থেকেও বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়া সম্ভব। তবে নিকোলা টেসলাকে এডিসন তার প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দেন নি।
যার ফলে নিকোলা টেসলা চাকরি ছেড়ে দেন। টেসলা খুব পরিশ্রমী ও মেধাবী ছিলেন। তিনি আবিষ্কার করেন এসি যার ছিল ডিসি জেনারেটরের চেয়ে বেশি লাভজনক এবং যা অল্প খরচেই সচল করা যায়। তখন এডিসন এটি সহ্য করতে না পেরে অনেক বার নিকোলা টেসলার আবিষ্কারকে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সবসময়ের মতো তিনি ব্যর্থ হন।
তারপর নিকোলা টেসলা যা করেছিলেন তা ছিল রীতিমতো ইতিহাস। নিকোলা টেসলার তারবিহীন যন্ত্রপাতির প্রতি ছিল গভীর আগ্রহ। সেই আগ্রহ থেকেই টেসলা তৈরি করেছিল। তারবিহীন যন্ত্রপাতি। আজকের এই পৃথিবীতে তারবিহীন যা কিছু দেখছেন সবকিছুর পিছনে যে কারিগর ছিল তিনিই হলেন নিকোলা টেসলা।
আমরা সবাই পিরামিড সম্পর্কে জানি। পিরামিডে নিয়ে রয়েছে অনেক কন্সপিরেসি থিওরি। নিকোলা টেসলার আগ্রহ ছিল এই পরিমিড নিয়ে। সেই আগ্রহ থেকে তিনি নতুন এক প্রযুক্তির আবিষ্কার করেন। পরিমাডে রয়েছে প্রচুর সিলিকন-ডাই-অক্সাইড।
যা বিদুৎ উৎপাদনে সাহায্য করে। টেসলা তামা দিয়ে তৈরি করেছিল একটি টাওয়ার। যা টেসলা টাওয়ার নামে পরিচিত। তিনি তারবিহীন বিদ্যুৎ আবিষ্কারের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে নিউইয়র্কের এক হোটেলে টেসলা মৃত্যু বরণ করে। টেসলার সেই স্বপ্ন আর বাস্তব হয় নি। যদি টেসলার এই আবিষ্কার বাস্তব হতো তবে আমাদের দেশে এত তার আমরা দেখতে পেতাম না। তারবিহীন বিদ্যুৎ সবাই পেতো ফ্রীতে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের পোস্ট। দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে। সবাই ভালো থাকবেন।
Device | Mi Note-9 |
---|---|
Discord | .samin01 |
Country | Bangladesh |
https://twitter.com/FRahmanSamin2/status/1787812926713201141?t=q8g421XnSVH6yKqh8z5dSA&s=19
নিকোলাস তারবিহীন বিদ্যুতের কনসেপ্ট টা সত্যি আমাদের মানবজাতির জন্য অনেক কল্যাণকর হত যদি উনি বাস্তবায়িত করতে পারতেন। জানিনা কেন ওনি মারা গেলেন তবে উনার রিসার্চ অথবা ডকুমেন্টগুলো ব্যবহার করে এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও হতে পারে। যাই হোক এটা পৃথিবীর জ্ঞানী ব্যক্তিদের আমার মনে হয় তাদের দেখা উচিত। যাক বিজ্ঞানীটির সম্পর্কে জেনে খুব ভালো লাগলো।
তার প্রজেক্ট বাস্তবায়নের চেষ্টা অনেকে করছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এটা নিয়ে আরও বিশ্লেষণ করছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বিজ্ঞানী বলেন আর উদ্ভাবক বলেন টেসলা আমার অনেক পছন্দের। কিন্তু এই মানুষ টাকে কেন জানি সবাই হাইড করে রাখতে চাই। উনি বেঁচে থাকলে হয়তো তারবিহীন বিদ্যুৎ টা বাস্তবায়িত হয়ে যেত। রেডিও এর আবিস্কারক কিন্তু উনি। কিন্তু একটা মহলের রোষানলের স্বীকার উনি। সেজন্য পরবর্তীতে ঐ প্যাটেন টা জী মার্কনির নামে করে দেওয়া হয়। মোটামুটি বেশ ভালো লিখেছেন টেসলা কে নিয়ে।
হুম। টেসলা সম্পর্কে খুব কম কথা হয় বর্তমান সময়ে। তবে তার থিওরিগুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত বলে আমি মনে করি।