ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ||

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago


আসসালামু আলাইকুম



ডায়বেটিস হলো সকল রোগের মূল। যা অত্যন্ত ভয়ানক একটি রোগ। আমার বাবা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত সেই সাথে তার হার্টেও সমস্যা আছে। ডায়াবেটিসের জন্য অনেক প্রিয় খাদ্য তাকে বর্জন করতে হয় এবং তার সাথে সাথে ডায়বেটিসের নিয়ম মেনে চলতে হয়। আমি যখন দেখি আমার বাবা তার প্রিয় খাবারগুলো খেতে পারে না তখন আমার অনেক খারাপ লাগে।

তারপর আমি ডায়বেটিস নিয়ে আরও জানার চেষ্টা করি। এটি আসলে কেন হয়? এখান থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি? আসলে যাদের এখনও ডায়বেটিস নেই তাদের উচিত এই রোগ সম্পর্কে ভালো করে জানা এবং এটি যেনো না হয় তার জন্য নিয়ম মেনে চলা। আজকের পোস্টে আমি মূলত ডায়বেটিস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো তো চলুন শুরু করা যাক.....


pexels-tembela-bohle-2803158.jpg

সোর্স


কেন হয় ডায়বেটিস?


pexels-tembela-bohle-2803160.jpg

সোর্স


আমাদের রক্তে যখন বেশি পরিমাণ সুগার থাকে তখন ডায়বেটিস হয়। যখন আমরা অনেক বেশি পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় খাবার খাই এবং সেই সাথে কম পরিশ্রম করি তখন ডায়বেটিস হয়। কারণ বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে আমাদের রক্তে সুগারের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এবং আপনি যদি এই সময় পরিশ্রম না করেন তাহলে সুগারের মাত্র কমে না এবং যার ফলে আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত হন। বেশি ওজন ডায়বেটিস এর কারণ হতে পারে।



ডায়বেটিসের বেসিক লক্ষণ ছিল এইগুলা। ডাক্তাররা ডায়বেটিসকে দুটি টাইপে ভাগ করে থাকেন। টাইপ-১, টাইপ-২। আপনার রক্তে যদি কোন খাবার খাওয়ার আগে ৭ পয়েন্টের বেশি সুগার থাকে তাহলে আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত। সাধারণত ৫-৬.৯ পর্যন্ত এই মাত্র থাকলে ডায়বেটিস নেই হিসেবে ধরা হয়। যা টাইপ -১ এর অন্তর্ভুক্ত। যদি এর বেশি হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত।



তাছাড়া একটু পর পর যদি আপনার খিদা লাগে, একটু পর পর ঘন ঘন পস্রাব হলেও আপনি ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবেন। একটু আগে আমি ওজনের কথা উল্লেখ করেছিলাম। ওজন বেশি হলে ডায়বেটিসের ঝুকি থাকে। তবে যাদের ওজন কম তারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যদি আপনি স্মোকিং করেন তবে আপনার ডায়বেটিস হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় পরিবারে মা-বাবা কেউ একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত যার ফলে সন্তানও আক্রান্ত হয়। সাধারণত এই লক্ষণগুলো ডায়বেটিসের কারণ হতে পারে।

ডায়বেটিস থেকে রক্ষা পাবার উপায়


pexels-pixabay-414262.jpg

সোর্স


আমি সবসময় মনে করি প্রতিটি বিষয়ে আল্লাহর কাছে আমাদের সাহায্য চাওয়া উচিত। তাই সবার আগে আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেনো আমরা ডায়বেটিস থেকে বেঁচে থাকতে পারি। আমিন। এরপর আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ অবলম্বন করতে হবে। শর্করাজাতীয় খাদ্য যা খেলে সুগার বৃদ্ধি পায় সেগুলো আমাদের নিয়ম মেনে খেতে হবে। পরিমাণমত খেলে আশা করি ডায়বেটিস হবে না।



মিষ্টি জাতীয় খাদ্য পরিমাণমত খেতে হয়। ব্যায়াম আমাদের ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ব্যায়াম করবেন এতে করে যদি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য কোন কারণে বেশি খেয়ে ফেলেন তবে কোন সমস্যা হবে না। যাদের ডায়াবেটিস অনেক বেশি সাধারণত ডাক্তার ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দেন। আপনি যদি পরিশ্রমী হন তবে আপনার দেহে ইনসুলিন তৈরি হবে এবং আপনি ডায়বেটিস থেকে বেঁচে থাকবেন ইংশাআল্লাহ।



ওজনের প্রতি অবশ্যই নজর দিতে হবে কেননা অনেক সময় ওজনের ফলে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তাই আমাদের দেহের গঠন অনুযায়ী সঠিক ওজন রাখতে হবে। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি করার উদ্দেশ্য ছিল যাতে আমরা ডায়বেটিস সম্পর্কে সচেতন হই এবং পরামর্শগুলো মেনে চলি। তো আশা করি পোস্টটি আপনার কাজে লেগেছে যদি পোস্টটি ভালো লাগে তবে অবশ্যই ভোট কমেন্ট এবং রিস্টিম করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Sort:  
 2 months ago 

অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন আপনি । বর্তমান বর্তমান সময়ে সুস্থ অবস্থায় বেঁচে থাকার জন্য আমাদের অনেক সজাগ ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আপনার এমন সুন্দর সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি দেখে ভালো লাগলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.17
JST 0.028
BTC 68886.39
ETH 2464.41
USDT 1.00
SBD 2.42