ট্রেনিং সেন্টারে আমার কাটানো কিছু সময়
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগবাসী ভাই ও বোনেরা। আশা করছি আপনারা সকলে গরমের তীব্রতাকে উপেক্ষা করে ভালো আছেন। আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার ট্রেনিং সেন্টারের কিছু কার্যক্রম নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করব। আর এই ট্রেনিংটি হচ্ছে ইংলিশ সাবজেক্ট নিয়ে। তবে সে ট্রেনিং বিষয়ে তেমন কিছু আমি বলবো না, কেননা সারাদিন ট্রেনিং করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। আর সে বিষয়ে কোন কিছু বলতে আমার মোটেও ভাল লাগছে না। হয়তো ট্রেনিংয়ের বিষয়বস্তু তুলে ধরবো না, তবে ট্রেনিংয়ের শুরু থেকে শেষটা উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।
যেহেতু সারাদিন অনেক কথা শুনেছি, শুনতে শুনতে কিছুটা বোরিং হয়ে গিয়েছিলাম। তাই এখন আমি আপনাদেরকে কিছু কথা শোনাবো, যদিও বা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে কিনা জানিনা, তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আজ সকাল ছটায় ঘুম থেকে উঠে, সাংসারিক টুকিটাকি কাজ সেরে, পরিবারের সকলের জন্য রান্না করে, ঠিক নটার মধ্যে আমি আমার ট্রেনিং সেন্টারে গিয়ে হাজির হয়েছিলাম।
আমাদের শিক্ষকতা পেশায় সময়ের মূল্যটা খুব বেশি দেয়া হয়। যার কারণে ট্রেনিং সেন্টারে কেউ দু মিনিট লেট করে গেলে, তাকে অনেক কথাই শুনতে হয়। এজন্য ভয়ে ভয়ে আমি ঠিক নটার মধ্যে গিয়ে, ট্রেনিং সেন্টারে হাজির হয়েছিলাম। যথারীতি ৯ টা থেকে ট্রেনিং শুরু হয়ে গেল, সেই সাথে শুরু হয়ে গেল মাথা ঘোরার পালা। কেননা এই গরমে, রোদের তাপে রুমের ভেতরে কিছুতেই থাকা যাচ্ছিল না। তার উপরে আবার কিছুক্ষণ পরপর লোডশেডিং তো অনবরত চলছিল। এমন পরিস্থিতি সত্যিই খুবই ভয়ানক হয়। একসাথে ৩০ জন জন টিচার সেই সাথে দুজন ট্রেইনার। পুরো হল রুমটি যেন গরমে ঝলসে যাচ্ছিল।
তবুও কষ্ট করে নটা থেকে ঠিক পাঁচটা পর্যন্ত ট্রেনিং কার্যক্রম চালিয়ে যেতেই হবে। তবে এর মাঝে অবশ্য দুবার বিরতির ব্যবস্থা রয়েছে। তাই যখন সকাল ১১ টা বেজে গিয়েছিল, তখন আমাদের টি ব্রেক দিয়েছিল। আর এই সময় আমাদের হালকা নাস্তা হিসেবে একটি করে সিঙ্গারা, ও একটি করে সন্দেশ দিয়েছিল। সেই সাথে ছিল এক কাপ চা। এরপর আবার আমাদের দুপুর 1:30 মিনিটে বিরতি দিয়েছিল লাঞ্চের জন্য। সে সময়টা অবশ্য আমি বাসায় এসেছিলাম। যথারীতি আবার ২: ৩০ মিনিট আবারো আমাদের ট্রেনিং শুরু হয়ে গিয়েছিল।
আমাদের ট্রেনিং কার্যক্রমের আজ ছিল প্রথম দিন, এভাবে আমাকে আরো পাঁচটি দিন কাটাতে হবে। অসহ্য গরমে কিভাবে যে দিনগুলো পার করব সে চিন্তায় বিভোর হয়ে যাচ্ছি। একটানা এতক্ষণ সময় ধরে বসে থাকা, সত্যি খুবই কষ্টকর। স্কুলে গেলে তবুও কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করা যায়, তবে ট্রেনিংয়ের সময় দু মিনিটের জন্য বাইরে যাওয়াটা নিষেধ হয়ে যায়।
যাইহোক বিরক্ত হয়ে বসে থাকতে থাকতে নিজের একটি সেলফি তুলে নিয়েছিলাম। ট্রেনিং এর মাঝে মাঝে ছবি তোলাটা খুব একটা শোভনীয় দেখাচ্ছিলো না, তবুও আমি চেষ্টা করেছি কয়েকটি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমার ট্রেনিং সেন্টারের কার্যক্রম গুলো তুলে ধরতে। যাই হোক আপনারা সকলে আমাকে দোয়া করবেন, আমি যেন আগামী পাঁচটি দিন সফলভাবে ট্রেনিং কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারি। আজ এ পর্যন্ত লিখছি, আপনারা সকলেই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, এই প্রত্যাশা করছি। আল্লাহ হাফেজ
সময়ের মূল্য সকলেই যদি এভাবে দিতো, তবে তো চারপাশের পরিবেশই পালটে যেতো! ভীষণ ভালো লাগলো এটা দেখে যে ৯ টা মানে ৯ টাতেই ট্রেইনিং শুরু হয়েছিলো! আর একরুমে এতজন ট্রেইনী এবং ২ জন ট্রেইনার হওয়ায় এবং লোড-শেডিং চলতে থাকায় ভীষণ কষ্টের মাঝেই ট্রেনিং টা করতে হয়েছে বুঝলাম। তবে ভাইয়া থাকায় সহজেই লাঞ্চ টাইমে বাসায় এসে, খেয়ে আবার যথাসময়ে ট্রেইনিং সেন্টারে গিয়ে বাকি ট্রেইনিং করা অনেক সহজ হয়ে যায় আপনার জন্য। আপনাদের দুই জনের জন্যই শুভকামনা ভাবী!