"ভাতিজা মাহাবুর বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দময় মুহূর্তে"
শুভেচ্ছা ও স্বাগতম সবাইকে!!
আমি @samhunnahar।
সবাই কেমন আছেন, আশা করি সকলেই ভাল আছেন।লেখার শুরুতে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে আমি আজ আমার ব্লগিং শুরু করতেছি।আজ আমি নতুন একটি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে উপস্থিত হয়েছি। আজ আমার ব্লগিং হচ্ছে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।প্রিয় “আমার বাংলা ব্লগের” বন্ধুরা পূজার ছুটিতে আমি গ্রামে গিয়েছিলাম কিছু দিন আগে।সেখানে যেয়ে শুনতে পায় আমাদের সবার প্রিয় ভাতিজা মাহবুর বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ, সেই সাথে পূজার ছুটিতে গ্রামে যাওয়া।এমন ছুটির দিনে গ্রামের একটি সুন্দর বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করার আনন্দই আলাদা।তাই আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। তাহলে আমার আজকের ব্লগ “মাহাবুর বিয়ের অনুষ্ঠান” নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক-
সত্যি কথা বলতে আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া টা তেমন একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করিনা।প্রথমত- হচ্ছে আমি এত ঝামেলা পছন্দ করিনা।দ্বিতীয়ত- হচ্ছে বাচ্চাদের নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়া অনেক কষ্টকর। বিয়ের অনুষ্ঠানে আলাদা একটা গরম লাগে, তাই আমার একদম সহ্য হয় না।তার সাথে বাচ্চাদের এমন বিরক্তিকর অবস্থা আমার একদম ভাল লাগেনা। তাই আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে খুবই কম যাই। অপারগ অবস্থায় খুব নিকট আত্মীয়দের বিয়েতে যাওয়া হয়, যেখানে না গেলে হয় না।
আমার মেয়েরা তো অনেক খুশি,তাদের প্রিয় মাহবু (মাহবুব ইলাহী) ভাইয়ের বিয়ের কথা শুনে। আমি, আমার দুই মেয়ে, আর মেয়েদের বাবা, চারজন মিলে রেডি হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের চলে গেলাম। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘরোয়াভাবে না করে কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয়।প্রথমে সবাই রেডি হয়ে নিলাম বর যাত্রা যাওয়ার জন্য।কিন্তু সবাই যখন গাড়িতে উঠার জন্য যায় তখন আমি ও বাচ্চাদের নিয়ে গাড়ির ভিতরে সিটের মধ্যে বসে পড়ি।
কিন্তু এমন চাপাচাপির মধ্যে আমি গরমে অস্থির হয়ে যাওয়ার অবস্থা।আমি আর গাড়ির ভিতর থাকতে পারি নাই। আমি কোনমতে প্রাণে বেঁচে নেমে গেলাম।আর কিছুক্ষণ থাকলে আমার অবস্থা কাহিল হয়ে যেত।গ্রামের বিয়ে বলে কথা!! বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেক লোক জনের সমাগম। সেই সাথে গাড়িতে এক সিটে ৪ জনের জায়গায় ৭ থেকে ৮ জন করে বসানো হয়েছে।এমন গাদাগাদি অবস্থায় আমি আর থাকতে না পেরে নেমে গেলাম।
নেমে গিয়ে সোজা যেয়ে একটা খোলামেলা টমটম গাড়ি নিলাম।সবাই বিয়ের জন্য ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে চলে গেল।আর আমি,আমার মেয়ে, এবং দুই ভাগ্নি আমার সাথে করে টমটম গাড়ি নিয়ে সোজা বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে গেলাম।পৌঁছে গিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লাম, একটা সিটের মধ্যে বসে পড়লাম ফ্যানের বাতাসের নিচে।একটু পর বর চলে এলো। বর যখন চলে এল তাকে বরণ করে নেওয়া হলো এবং ভিতরে প্রবেশের জন্য দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রাখা হল ফিতা কেটে প্রবেশের জন্য। ফিতা কেটে সবাইকে খুশি করার জন্য উপহার স্বরূপ কিছু টাকা দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়লো।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম সবাই। আমি খাওয়া-দাওয়ার ছবি তুলতে পারি নাই কারণ আমার সাথে আমার মেয়েরা ছিল ওরা গরমের মধ্যে আমাকে খুবই ডিস্টার্ব করছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার উপরে চলে এলাম দ্বিতীয় তলায়। সেখানে দেখি বরের ফটোগ্রাফি নেওয়া হচ্ছে।আমি কয়েকটা ছবি আমার ক্যামেরায় তুলে নিলাম। আজ যে ছবিগুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। অবশেষে সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ হল। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর সব নিয়ম-কানুন মেনে শেষ করে আমরা বউ নিয়ে বাড়িতে চলে এলাম।
সেই ফাঁকে আমি আবার আমাদের বাড়িতে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আবার চলে গেলাম বিয়ে বাড়িতে। এভাবে পুরো দিনটা কাটালাম বিয়ের অনুষ্ঠানে।সবাই মিলে অনেক আনন্দ করলাম।অনেকদিন পরে গ্রামে আসা তাই সব আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা এবং সবার সাথে অনেক আনন্দ উপভোগ করলাম, অনেক আড্ডা দিলাম। সময় টা বেশ মজার কেটেছে।আজ আমার লেখা এখানে শেষ করতেছি।
আমার পোস্টটি সময় দিয়ে পড়ার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।আজ এই পর্যন্ত, আবার দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ক্যামেরার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হলো-
ছবিতে ব্যবহার করা ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
আমার তরফথেকে কনের জন্যে শুভকামনা রইলো।
আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।
প্রথমে আপনার ভাতিজা ও তার বউয়ের আগামী দিনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনিও পরিবারসহ খুব মজা করেছেন। এই গরমে আসলে বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে গেলে নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তারপরেও খুব সুন্দর ভালো সময় কাটিয়েছেন খুব ভালো লাগলো দেখে।ভালো থাকবেন আপু।
হ্যাঁ আপু বাচ্চাদের নিয়ে একটু কষ্ট হলেও অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি।আপনাকে অনেক ধনবাদ।
বাচ্চারা বাহিরে গেলে /কোন প্রোগ্রামে গেলে অনেক খুশি হয় ।যাক গরমে মধ্য গাদাগাদি করে গাড়িতে বসা অনেক কস্ট হয় আপু তা ও আবার বাচ্চা নিয়ে । বিয়ে মানে ত আনন্দ মেঠে উঠা।খাওয়া দাওয়া ,ছবি তুলে যাক একটু হলে আনন্দ উপভোগ করছেন আপু ।
বাচ্চারা তো খুশি হয়,তার সাথে আমি ও হয় খুশি কিন্তু এদের ডিস্টার্ব করা অনেক বিরক্তিকর লাগে।তারপর ও অনকে মজা করেছি সবাই মিলে।
আপনার ভাতিজা ও তার বৌএর জন্য অনেক শুভ কামনা। তাদের আগামি জীবন যেন সুখের হয়। আর গরমে কোন বিয়ে বাড়ীতে যাওয়া খুবই কস্টের। তবুও ভাল লাগলো আপনি আপনার অনেক আত্মীয়দের সাথে বেশ মজা করেছেন। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
বিয়ের অনুষ্ঠান আসলে আনন্দের মুহূর্ত। কিন্তু আসলেই বাচ্চাদেরকে নিয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার ভীষণ কষ্ট। তারমধ্যে আবার প্রচন্ড গরম। তার পরেও শহর থেকে গ্রামে এসে একটা বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ দেখে ভালো লাগলো। তাও আবার গাড়িতে প্রচুর গাদাগাদি করে বসেছে। গরমের মধ্যে তো একেবারে ভীষণ কষ্টকর। কিন্তু তারপরেও অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন দিনটা। আপনার ভাতিজার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু অনেক আনন্দ উপভোগ করেছি সবাই মিলে যদিও গরম ছিল।আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
বিয়ে যে কত্ত মজা শুধু খাওন আর খাও ন ।
আপনি ভাতিজার বিয়ে উপলক্ষে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু। সন্ধ্যার সময় কাটানোর পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ভাইয়া বিয়ে মানে তো খাওন😎😎। বিয়েতে অনেক ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ।
আপনার ভাতিজার বিয়ের যে ছবিগুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন আর আপনি এত আনন্দ করেছেন আনন্দের অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আসলে বিয়ে মানে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সকলের সাথে খাওয়া-দাওয়া হাঁসি আনন্দ সাথে সুন্দর মুহূর্ত পার করা। আপনি খুব সুন্দর মুহূর্ত বিয়েতে পার করেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেকের সাথে দেখা-কথা বেশ আনন্দের ছিল এমুহূর্ত গুলো।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।