রেসিপি-"ফেলন ডাল আর পটল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না"।।২৪.০৭.২০২২।।
আশা করি সকলেই অনেক অনেক ভাল আছেন? আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের শুভ কামনায় অনেক অনেক ভাল আছি। বন্ধুরা, সবাই ঈদের ছুটি শেষ হওয়ার পর নিশ্চয় ব্যস্তময় জীবনে আবার ফিরে গেছেন এবং সকলের এই ব্যস্তময় সময় ভাল যাচ্ছে। আমাদের ঈদের ছুটির পর বাচ্চাদের স্কুল খোলে দিয়েছে।
এখন সবাই অনেক ব্যস্ত সময় পার করতেছেন। সেই ব্যস্তার মাঝে ও আমারা আমার বাংলা কমিউনিটির নিয়ম মেনে চলার চেষ্টায় অব্যাহত থাকার আপ্রাণ চেষ্টার কমতি থাকে না। তাই আমি আজ আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
বন্ধুরা! আমার আজকের রেসিপি পোস্টের বিষয় হচ্ছে "ফেলন ডাল আর পটল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না"।
আমি আমার রেসিপি টা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই তাই আজকের লেখা শুরু
চলুন বন্ধুরা আমার আজকের ফেলন ডাল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্নার পদ্ধতি একনজরে দেখে আসি।
উপকরণ সমূহঃ
উপকরণ প্রণালী | পরিমাণ সমূহ |
---|---|
ছুরি শুটকি মছ | মঝারি সাইজ ৪/৫ টা |
পেঁয়াজ | ২ টা |
রসুন | ২ চামচ |
ফেলন ডাল | ১ বাটি |
মরিচের গুঁড়া | পরিমাণ মত |
হলুদ গুঁড়া | পরিমাণ মত |
ধনিয়ার গুঁড়া | পরিমাণ মত |
জিরা গুঁড়া | পরিমাণ মত |
তেল | পরিমাণ মত |
লবণ | পরিমাণ মত |
পটল | ৪ টা |
ধনে পাতা | পরিমাণ মত |
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপঃ১ | --- |
---|
প্রথমে মাছ গুলো কেটে টুকরো করে নিবো।
মছ গুলো ধুয়ার জন্য গরম পানি দিবো।
পানি গরম হয়ে আসলে মছের মধ্যে ঢেলে দিব এবং মাছ গুলো ভাল করে পরিস্কার করে ধুয়ে নিবো।
আমার মাছ ধুয়া শেষ।
ধাপঃ২ | --- |
---|
এই ধাপে আমি ফেলন ডাল ফ্রেশ করে ধুয়ে নিবো।
পটলের চামড়া ফেলে দিয়ে ধুয়ে সাইজ করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজ, রসুন নিয়েছি।
হলুদ, মরিচ, ধনিয়া ও জিরার (গুঁড়া) নিয়েছি।
ধাপঃ৩ | --- |
---|
রান্নার জন্য একটি পাত্র নিয়েছি। চুলায় বসায় দিয়েছি।
পাত্রটি গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিছি।
তেল গরম হয়ে আসলে বাটা পেয়াজ, রসুন দিয়ে দিবো।
নেড়ে দিব যাতে পুড়ে ও লেগে না যায়।
মরিচ, হলুদ, ধনিয়া, জিরা দিয়ে দিবো।
মিক্স করে নিতে হবে।
ধাপঃ৪ | --- |
---|
সব মসলা মিক্স করে তেলে কষিয়ে পানি দিবো এবং মছ গুলো দিয়ে দিতে হবে।
মাছের সাথে ফেলন ডাল ও দিয়ে দিতে হবে।
হালকা পানি ঢেলে দিতে হবে।
ধাপঃ৫ | --- |
---|
ঢাকনা দিয়ে সিদ্ধ করে নিবো।
আমার সিদ্ধ করা শেষ।
ধাপঃ৬ | --- |
---|
লবণ নিয়েছি।
সাথে পটল আর লবণ দিয়ে দিবো।
পরিমাণ মত পানি দিয়ে ফাইনালি আবার সিদ্ধ করে নিতে হবে।
ধাপঃ৭ | --- |
---|
আবার সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
সিদ্ধ করা প্রায় শেষের দিকে।
ধনে পাতা দিয়ে নামায় ফেলতে হবে।
ধাপঃ৮ | --- |
---|
আমার ফেলন ডাল আর পটল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না শেষ। এবার পরিবশনের পালা। গরম গরম পরিবশন করুন এই মজাদার শুটকি মাছের তরকারি। বৃষ্টির দিনে শুটকির তরকারি আলাদা একটা স্বাদ।
আমি আমার রেসিপিতে ব্যবহার করা সব তথ্য ও ছবি আমার নিজের মোবাইল দিয়ে করেছি।
নিম্নে ছবির বিস্তারিত দেওয়া হলোঃ
ক্যাটাগরি | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | Wiko,T3 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
মডেল | W-V770 |
লোকেশন | বাসায়, কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
প্রিয় বন্ধুরা, ফেলন ডাল ও পটল দিয়ে ছুরি শুটকি মাছের রেসিপি টি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানে শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। সেই মুহূর্ত পর্যন্ত সাথে থাকবেন, ভাল থাকবেন আর সুস্থ্য থাকবেন। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ঈদে কিছুদিন ছুটি নিলেও সত্যি বলছেন আপু এখন খুবই ব্যস্ত আছি। তবে আপনি আজকে দারুন মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন যদিও এরকম রেসিপি কখনোই খাওয়া হয়নি তবে মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই মজা হবে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন সবার ব্যস্ততা অনেক বেড়ে গেছে। ভাইয়া আপনি আমার রেসিপি টা বাসায় করে খেয়ে দেখবেন ভাল লাগবে।
ফেলন নামটা আমি আর শুনিনি। তবে ডাননল গুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলোর নাম কলাই। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় ছিল। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু এই বীচি টা আমাদের চট্রগ্রামের ভাষায় ফেলন বীচি বলে। আপনারা হয়ত বা কলাই বলেন। একই জিনিসের স্থান ভেদে নাম ভিন্ন হতে পারে। আপু আপনি এই বীচি দিয়ে শুটকি খেয়ে দেখবেন অনেক মজার হয় আপু। ধন্যবাদ আপু
ডাউল দিয়ে শুটকি মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন এমন রেসিপি আমারও খুব ফেভারেট মাঝেমধ্যেই প্রস্তুত করে খাওয়া হয় আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া মাঝে মাঝে এই রকম শুটকি মাছের তরকারি আমার ও ভাল লাগে। তাই রান্না! ধন্যবাদ ভাইয়া
ফেলন ডাল এবং পটল দিয়ে ছুরি শুটকি দারুন রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি এই ধরনের রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো যেটা আগে কখনো উপভোগ করা হয়নি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে আর শীতকালে শুটকি তরকারি আমার বেশি ভাল লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই
খুব সুস্বাদ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এমন রেসিপি এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। কালার দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনি ফেলন বীচি দিয়ে শুটকি মাছ রান্না করে খেয়ে দেখবেন অনেক স্বাদ হয়। আপু আপনার জন্য ও শুভ কামনা রইলো।
ফেলন ডাল, নামটা মনে হচ্ছে আজকে প্রথম শুনলাম। ছবি দেখে কলাই মনে হলো। ছুরি মাছের শুটকি ও ছিল দেখার মত। যেন টাটকা একটা ভাব রয়ে গেছে শুকানোর পরেও। যায় হোক এত্ত সুন্দর যার ফাইনাল রঙ। সে রান্না স্বাদ না হয়ে পারে না। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমরা চট্রগ্রামের ভাষায় ফেলন বীচি বলে থাকি। তবে এক এক জায়গায় এক এক নাম। ধন্যবাদ ভাইয়া
ডাল দিয়ে খুব সুন্দর করে ছুরি মাছের শুটকি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।দেখে বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।শুটকি মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আমার মতই দেখছি শুটকি মাছ অনেক পছন্দ করেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফেলন ডাল কখনোও খাওয়া হয়নি।তবে শুটকি দিয়ে রান্না করছেন বিদায় বেশ খেতে ইচ্ছে করছে।মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে।কালারাটাও বেশ দারুন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আপু ফেলন ডাল/ফেলন বীচি যেকোন একটা বলা যাবে। তবে এই বীচির শুটকি রান্না অনেক মজার আপু। খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু
ফেলন ডাল আর পটল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না রেসিপি করেছেন। ছুরি শুটকি আমার খুব প্রিয় খাবার। রেসিপি কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনি সত্যি কথা বলেছেন, আমার রেসিপি টা অনেক স্বাদের ছিল। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
ফেলন ডাল আর পটল দিয়ে ছুরি শুটকি রান্না অনেক চমৎকার হয়েছে। শুটকি আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি তবে শুটকি দিয়ে এভাবে পটল এবং ফেলুন ডাল কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম রেসিপিটি ধন্যবাদ।
আপু পটল আর ফেলন বীচি দিয়ে ছুরি শুটকি কিন্তু অসাধারণ ছিল, বাসায় ট্রাই করতে পারেন খেতে অনেক মজার আপু।আপনার জন্য শুভ কামনা আপু।