লাইফ স্টাইলঃ- অবশেষ মেয়েকে ভর্তি করালাম Speak Up-Center.
কেমন আছেন সবাই?
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। আমি @samhunnahar আপনাদের সাথে আমার বাংলা ব্লগ @amarbanglablog কমিউনিটিতে যুক্ত আছি বাংলাদেশের সুদূর দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার শহর থেকে। এত দূরে থেকেও মনে হয় না যে অনেক দূরত্ব। আসলে আমরা এমন সুন্দর একটি পরিবারের সাথে কাজ করি যেখানে সবাই একে অপরের মধ্যে খুব সুন্দর বন্ধুত্ব সুলভ আচরণ করেন। যেটা একমাত্র হয়েছে আমাদের শ্রদ্ধেয় দাদার কারণে। আমরা একটি পরিবার এই পরিবারের বন্ধন টা এত সুন্দর। সবার সাথে এত সহানুভূতি বজায় থাকে খুব ভালোই লাগে প্রতিনিয়ত কাজ করতে। বন্ধুরা তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও শত মন খারাপ কিংবা শারীরিক অসুস্থ থাকার সত্ত্বেও এই ভালো লাগার পরিবারে সবার সাথে ভালো মন্দ শেয়ার করার জন্য চলে আসি।
আমি আজকে যে বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে আসলে বর্তমান সময়টা প্রতিযোগিতা মূলক বললেই ভুল হবে না। সেটা শুধু চাকরির ক্ষেত্রে কিংবা পড়ালেখার ক্ষেত্রে কিংবা জীবন চলার ক্ষেত্রে যে কোন ক্ষেত্রে সবদিক দিয়ে লক্ষ্য করি। আমাদেরকে একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে দিয়েই যেতে হচ্ছে। ধরুন-একটা খাবারের দোকানে গেছেন সেখানেও আপনাকে প্রতিযোগিতা করতে হয়। কেন জানেন? কে কার আগে তা প্রয়োনীয় জিনিসটা নিয়ে চলে আসবেন সেই চিন্তায়। কারণ কে কার আগে নিয়ে আসবেন সেটা কেন বলতেছি! একটা মানুষ অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকলো একটা জিনিসের জন্য। কিন্তু হুট করে মাঝখান থেকে একজন এসে দেখবেন আপনার আগে আপনাকে পিছনে ঠেলে ফেলে আপনার আগে সেই জিনিসটা নিয়ে চলে যাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় পড়ে যান।
এখানে একটা বিষয় আপনারা লক্ষ্য করবেন এটা হচ্ছে মানবিকতার অনুপস্থিতি। এখানে বিবেকের উপস্থিত নেই তাই। ঠিক তেমনি এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন আমাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। আজ ছেলে-মেয়েরা বাংলা বলতে ভুলে গেছে বা যাচ্ছে। এত কষ্ট করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে আমাদের বাংলাদেশ। নিজের মাতৃ ভাষায় কথা বলার জন্য জাতি সংগ্রাম করে অর্জন করেছে আমাদের এই বাংলা ভাষা। দেখেন প্রতিযোগিতা মূলক পড়া লেখার ক্ষেত্রে চাকরি ক্ষেত্রে আজ বলতে পারেন বাংলা ভাষা প্রায়ই বিলীন হয়ে যাচ্ছে। যে কোন চাকরির ক্ষেত্রে বলেন কিংবা বিদেশে স্কলারশিপ এর জন্য বলেন কিংবা কোন একটি ভালো প্রতিষ্ঠানের সাথে আপনার ছেলে মেয়েকে পড়ানোর ক্ষেত্রে ইংলিশ বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
যদিও আপনি বা আমি সেটাকে কতটুকু পছন্দ করি কিংবা কতটুকু প্রাধান্য দিচ্ছি সেটা যায় আসে না। তো ৩০ জন স্টুডেন্ট এর মধ্যে যদি ২৫ জন স্টুডেন্ট কে ইংলিশ শিক্ষার মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাকি থাকে পাঁচজন। বাকি পাঁচ জনের সেখানে যদি আপনি আর আমি থাকি তাহলে করার কিছু নেই। সবার সাথে অবশ্য আমাদের কেও তাল মিলিয়ে চলতে হবে তাদের পিছু পিছু। তাই সেই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আমিও টিকে থাকার জন্য বাচ্চাকে ভর্তি করে দিলাম স্পোকেন ইংলিশ এর একটি কোর্সে। আসলেই এই স্পোকেন ইংলিশ কোর্সটা এত বেশি মার্কেট পেয়েছে। এত বেশি ছাড়া পেয়েছে বলার মতো না।
সেটা শুধু আমাদের এখানে না পুরো বিশ্বের মধ্যে অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। দেখেন অনলাইনেও অনেক স্পোকেন ইংলিশ এর বিভিন্ন অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। তবে ইংলিশ এর জন্য স্পোকেন ইংলিশ এর জন্য এত প্রতিষ্ঠান গুলো আছে। কিন্তু আমাদের দেশের বাংলা ভাষা চর্চার ক্ষেত্রে তেমন প্রতিষ্ঠান দেখা যায় না। তো আমি মেয়েকে তো ইংলিশ মিডিয়ামে ভর্তি করে দিলাম। কিন্তু সেই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি তো করাই দিলাম তাতেও কাজ হচ্ছে না বলতে পারেন। এখন সকল গার্ডিয়ানেরা দেখতেছি এখানে একটা ভালো মানের স্পোকেন ইংলিশের প্রতিষ্ঠান আছে স্পিক আপ (Speak Up)।
যেটাতে মিনিমাম 90% স্টুডেন্ট সেখানে ভর্তি হয়ে যায়। তো আমি বেশ কয়েকদিন খেয়াল করলাম আসলে প্রতিষ্ঠানটা খুবই ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। বাচ্চাদের ভিডিও গুলো দেখি সব সময় খুব ভালো লাগে। ভালো ইংলিশ বলতে পারে। সব দিক দিয়ে তারা একটা বাচ্চাকে অনেক এক্সপার্ট করে তুলছে। তো ভাবনা চিন্তা করে দেখলাম প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে সবার সাথে যদি তাল মিলিয়ে চলতে না পারি তাহলে দেখবেন আপনার এবং আমার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।
অন্য গার্ডিয়ানারা তাদের সন্তানদেরকে এভাবে বিভিন্ন ইংলিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোর্স করিয়ে তারা ইংলিশে অনেক এক্সপার্ট হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু আমাদের দেশেও এখন ইংলিশ কে অনেক বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। তো সেই বিষয় খেয়াল করে আমিও স্পোকেন ইংলিশ এ মেয়েকে এডমিট করায় দিলাম। আসলেই ওর বাবার সাথে প্রায় সময় যাওয়া আসা করে। তাই আমার কম যাওয়া হয়। তো একদিন সোমবার গেলাম মেয়েকে নিয়ে। আমরা গার্ডিয়ানরা একটা রুমে বসছিলাম বাচ্চারা ক্লাস রুমে ছিল। সেই ফাঁকে দুই/চারটা পিক নিলাম। তাই নিয়ে আজ হাজির হলাম। তাছাড়া পাশাপাশি আমি মেয়েকে শব্দায়ন একটি প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে ভর্তি করাই দিলাম। যেখানে বাংলা চর্চা করা হয় সেখানেও এডমিট করে দিয়েছি।
আসলে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে বেঁচে থাকতে হলে ঠিকিয়ে রাখতে হলে আর কোন উপায় নেই। শুধু যে স্পোকেন ইংলিশে স্মার্ট হতে হবে তেমন না। আমি একজন বাঙালি হিসেবে যখন বাংলা ভাষায় ভালো ভাবে কথা বলতে পারবো না সেটা আমার জন্য ব্যর্থতা। তাই আমি বাচ্চাকে এই দুইটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিলাম। যেখানে ইংলিশ এর পাশাপাশি বাংলা ও চর্চা করতে পারবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার -Speak Up Center |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#speakup #english-languagecenter #lifestyle #amarbanglablog #steemit #bangla-languagecenter #bangladesh
আপু আসলে বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল দেশে ইংরেজি টা প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রাধর্ন পেয়েছে ৷ লেখাপড়া চাকরি সব জায়গায় শুধু প্রতিযোগিতা ৷ যা হোক ভালো লাগলো মেয়েকে ইংরেজি শেখার জন্য ভর্তি করিয়েছেন সেটা ভালো লাগলো ৷ মেয়ে অনেক দুর এগিয়ে যাক এমনটাই প্রত্যাশা করি ৷ শুভকামনা রইল অবিরাম মেয়ের জন্য ৷
সব দিক বিবেচনা করে ভর্তি করায় দিলাম ভাইয়া দোয়া করবেন।
ফেইসবুকে এই স্পিক আপের ছোট ছোট বেশ কিছু ভিডিও দেখেছিলাম। বাচ্চাদেরকে খুব সুন্দর করে এক্সপার্ট বানিয়ে দেয়। আসলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কি বলবো আপু! বাংলা ভাষার জন্যই এতো কিছু হলো। কিন্তু দিনেশেষে দেখেন জব সেক্টরে ভালো ইংলিশে দক্ষতা না থাকলে এগিয়ে যাওয়া যায় না। প্রতিযোগিতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে
এই সেন্টারটা বেশ ভালোই সাপোর্ট দিচ্ছে ভাইয়া। আপনার ভাগ্নির জন্য দোয়া করবেন যাতে ভালোভাবে অর্জন করতে পারে।
বেশ ভালো লাগলো মেয়েকে ভর্তি করে জানতে পেরে। নতুন বছরে নতুন নতুন বই পাবে এবং লেখাপড়ার প্রতি আরো উৎসাহ সৃষ্টি হবে। আশা করব আপনি সর্বদা আপনার মেয়ের প্রতি খেয়াল রাখবেন যেন ভালোভাবে লেখাপড়া করে বছরের শুরুতেই সমস্ত বই নিজের কভার করে ফেলতে পারে।
হ্যাঁ ভাইয়া দোয়া করবেন আমার মেয়ের জন্য যাতে ভালো ভাবে এগিয়ে যেতে পারে।
এখন আপু সব জায়গাতেই প্রতিযোগিতা চলে এসেছে, সেটা শিক্ষা ক্ষেত্রেই হোক বা চাকরি ক্ষেত্রে। তবে এটা আপনি বেশ ভালই বলেছেন, যে দেশ স্বাধীন করে আসলেই কোন লাভ হয়নি!😔 সব জায়গাতেই ইংলিশটা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে সেটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, আমাদের এখানেও কিন্তু একই ব্যাপার। আমাদের প্রত্যেকেরই ধারণা যে মাতৃভাষা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি, তাই নতুন কিছু ট্রাই করে দেখা যাক। এতে করে আমাদের ধারণা হয় এটা যে, আমরা হয়তো অনেক কিছু অর্জন করে ফেলেছি ইংরেজি শিখে। তবে স্পোকেন ইংলিশ শিখে রাখা ভালো কারণ তা ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগাতে পারে।
একদম ভাইয়া জীবনের প্রতিটি সেক্টরে প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা। দুঃখের বিষয় হচ্ছে মাতৃভাষার প্রাধান্য দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে মাতৃভাষার প্রাধান্য থাকবে না, সেটা তো আর ঠিক না। মাতৃভাষার প্রাধান্য দিয়েই, আমাদের অন্য সবকিছু শেখা উচিত।
https://twitter.com/nahar_hera/status/1750959671673036826?t=LiCMMS5Joq3-psLFFLv9ig&s=19