কেমন আছেন সবাই?
আজ-৩০ শে-অগ্রহায়ণ - ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
১৫ ই- ডিসেম্বর -২০২২ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-বৃহস্পতিবার।
Device-Wiko-T3
আমি সামশুন নাহার হিরা
@samhunnahar।আমি বাংলাদেশ থেকে আপনাদের সাথে ব্লগিং করি।বন্ধুরা হাজির হয়ে গেছি আপনাদের সাথে নতুন ব্লগ নিয়ে।আশা করি সকলেই অনেক অনেক ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায়,আপনাদের শুভ কামনায় ভালো আছি।প্রতিদিনের মত আজও চলে এসেছি নতুন পোস্ট শেয়ার করব বলে আপনাদের সাথে।আসলে পোস্ট করা এমন একটি ধারাবাহিকতা হয়ে গেছে যে শেয়ার না করলে ভালো লাগে না।কাজের মধ্যে একটা রুটিন হয়ে গেছে কোন সময় কোন কাজ করতে হবে।বাসার কাজ করে বাকি সময় গুলো স্টিমিটে দেওয়ার চেষ্টা করি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নতুন একটি রেসিপি।আমার আজকে রেসিপিটি হচ্ছে মুলা দিয়ে আরখুন মাছের ঝাল ঝাল ঝোল রেসিপি।শীতকালে মুলা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে ঝাল ঝাল খেতে অনেক ভালো লাগে।তেমনি আমি রান্না করেছিলাম মুলা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে আরখুন মাছের ঝাল ঝোল রান্না।এই মাছটির নাম আমি নিশ্চিত ভাবে জানিনা তবে আমাদের লোকাল অন্য একটি নাম আছে।এই মাছ আমার ভীষণ প্রিয় একটি মাছ।শীতকাল আসলে মুলা আর ধনিয়া পাতা সাথে কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করলে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে।এই মাছ রান্না করলে আমি একটু ঝোল এবং ঝাল করে রান্না করি।
আমি রেসিপিটি কিভাবে রান্না করেছি তাহলে চলুন দেখে আসি--- |
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
আরখুন মাছ- ২০০ গ্রাম।
মুলা মাঝারি সাইজের- ১ টি।
কাঁচা মরিচ পেস্ট -৩/৪ চামচ।
পেঁয়াজ কুচি- দুইটি।
রসুন কুচি-৩/৪ কোয়া।
ধনিয়ার গুঁড়া -১ চামচ।
জিরার গুঁড়া -হাফ চামচ।
হলুদের গুঁড়া -১ চামচের কম।
লবণ- স্বাদমতো
তেল-পরিমানমতো
ধনে পাতা কুচি-স্বাদমতো
উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখিয়েছিঃ
Device-Wiko-T3
রান্নার ধাপ সমূহঃ
রন্ধন পর্ব-১
প্রথমে আমি মাছ গুলোকে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।এরপর অন্যান্য উপকরণ গুলো সাজিয়ে নিয়েছি।এখন আমি সরাসরি চলে যাব রান্নার ধাপে।রন্নার জন্য প্রথমে আমি একটি পাত্র চুলায় বাসায় দিয়েছি।রানার পাত্রটি গরম হয়ে আসলে তাতে আমি পরিমাণ মত তেল দিয়েছি।তেল গরম হয়ে আসলে সেখানে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ ও রসুন দিয়েছি।রসুন পেঁয়াজ দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিতে হবে।সাথে আমি দিয়েছি পরিমাণ মত লবণ।
Device-Wiko-T3
রন্ধন পর্ব-২
এখন পেঁয়াজ ও রসুন প্রায় ভেজে নেওয়া হয়ে আসলে সাথে অন্যান্য উপকরণ দিয়ে দিব।যেমনঃ কাঁচা মরিচের পেস্ট, হলুদ গুঁড়া, জিরে গুঁড়া এবং ধনিয়ার গুঁড়া দিয়ে কিছক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।এখন সব উপকরণ গুলোকে ভালো মতো মিক্স করে প্রয়োজন মত পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।সিদ্ধ হয়ে আসলে তাতে মুলা দিয়েছি।
Device-Wiko-T3
রন্ধন পর্ব-৩
সব উপকরণ সমূহকে এক সাথে পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নেওয়া হয়ে গেলে আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিব।এর আগে দিয়েছি মুলা।এখন মুলা আর মাছ মিক্স করে কিছক্ষণ সিদ্ধ করে নিতে হবে।সিদ্ধ করে নেওয়ার পর পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে দিতে হবে।পরিমাণ মত ঝোল দিয়ে সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
রন্ধন পর্ব-৪
এ পর্যায়ে এসে আমার আজকের তৈরি করা মুলা দিয়ে আরখুন মাছের ঝোল সিদ্ধ করা শেষ।এখন কুচি করে রাখা ধনে পাতা দিয়ে চুলা বন্ধ করে পাত্রটি নামায় ফেলব।তরকারি গুলো ঠান্ডা হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দেবো।এই ধাপে এসে আজকের মুলা দিয়ে আরখুন মাছের ঝাল ঝোল রান্না করা শেষ এখন পরিবেশনের পালা।
Device-Wiko-T3
পরিবেশনা
যখন ঠান্ডা হয়ে আসে তখন আমি একটা বাটিতে করে পরিবেশনের জন্য নিয়ে নিছি।আমার আজকের তৈরি করা মুলা দিয়ে আরখুন মাছের ঝাল ঝোল দেখতে যেমন লোভনীয় দেখাচ্ছে তেমনি খেতে ও অসাধারণ ছিল।আশা করি আমার আজকের রান্না করা মুলা ও আরখুন মাছের ঝাল ঝোল রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
Device-Wiko-T3
শ্রেণী | রেসিপি |
স্থান | নিজ বাসা কক্সবাজার |
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
প্রিয় বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটি আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে।কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না।আজ আমি এখানে আমার লেখা শেষ করতেছি।সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন। |
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আরখুন মাছের নামাজকে প্রথম শুনলাম আপু। এর আগে এই মাছের নাম কখনো শুনিনি। আপনাদের অঞ্চলে বিভিন্ন রকমের মাছ পাওয়া যায়। তাইতো মজার মজার মাছগুলো খেতে পারেন। মুলা দিয়ে এই মাছের রেসিপি দারুন হয়েছে। আর কাঁচামরিচ দিয়ে যে কোন মাছের রেসিপি তৈরি করে খেতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই মাছের আমাদের এলাকায় ভিন্ন একটি নাম আছে মাছ খেতে অনেক মজা হয়ে।যাদি মুলা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করলে তো দারুন হয়।
আরখুন মাছের নামটি এই প্রথম শুনলাম আপু!! শীতে মুলাও পাওয়া যায় অনেক। মুলা দিয়ে মাছের তরকারি রান্না করে খেতে ভালোই লাগে। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখালেন রেসিপিটি।
শীতকালে মুলা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করলে বেশ ভালো লাগে খেতে।
মুলা দিয়ে আরখুন মাছের ঝাল ঝোল রেসিপি থেকে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুব মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। রেসিপিটা আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে এবং পরবর্তীতে তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া নিশ্চয়ই তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে।
আপু এই আরখুন মাছের নাম আমি মনে হচ্ছে প্রথম শুনলাম।নাম যাইহোক মাছ গুলো কিন্তু দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আমার মনে হয় খেতে ও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। ধনের পাতা দিলে স্বাদ আরো বেড়ে যায়। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই মাছ আমার অনেক প্রিয় একটি মাছ। মুলা কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করলে খেতে অনেক মজা হয়।
মাছের নামটাই আজ প্রথম শুনলাম,বেশ রহস্যময় নাম😁।
মূলা একদমই খাইতে পারিনা আর তাই মূলার কোনো তরকারিও খাইতে পারিনা।
সুন্দর ছিল রেসিপিটা,মাছটার বিষয়ে বিশদ জানার চেষ্টা করবো। শুভ কামনা রইলো 😊
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মাছ সম্পর্কে জানার পর আমাকে একটু জানাবেন হি হি হি😊।
এই মাছের নাম আজকে আমি প্রথম শুনলাম। তবে সত্যি বলেছেন শীতকালে মুলা এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ঝাল করে যে কোন রান্না খেতে খুব মজা লাগে।আরখুন মাছ দিয়ে খুব মজা করে মুলা রান্না করে খেয়েছেন। রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক চমৎকার করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি খুব সুন্দর মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেছেন মাছটি খেতে অনেক মজা ছিল।
যদিও এই মাছের নাম খুব বেশি শুনিনি।তবে শীতকালে যে কোন মাছই মূলো বা শীতের অন্যান্য সবজি দিয়ে খেতে ভালোই লাগে।আমাদের বাড়িতে তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফুলকপি খুবই কমন এই শীতকালে।আমি বিশেষ করে খুব পছন্দ করি শীতকালে ধনেপাতা,ডালের বড়ি, ফুলকপি, দিয়ে মাছের ঝোলটা খেতে।বাবা যদিও খায় না। তবে বাকিরা চেটেপুটে খায়। খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।
শুনে অনেক ভালো লেগেছে দিদি আপনার খুব প্রিয় ফুল কপি ও ধনেপাতা বেশি বেশি খাবেন শীতকাল যাওয়া পর্যন্ত।