রেসিপি-||"মজাদার মিষ্টি কুমড়ার ফুল ভাজি"||10 % beneficiary for @shy-fox||
কেমন আছেন সবাই?
১৬ ই- নভেম্বর -২০২২ খ্রিস্টাব্দ।
রোজ-বুধবার।
Device-Wiko-T3
তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক আমার আজকের রেসিপিটি আমি কিভাবে তৈরি করেছি সেই প্রক্রিয়া সমূহঃ- |
---|
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
মিষ্টি কুমড়ার ফুল-২ আটি।
রসুন মাজারি সাইজের -১টি।
কাঁচা মরিচ-৪/৫ টি।
লবণ- স্বাদমতো।
তেল -পরিমাণ মতো।
ধনে পাতা কুচি-স্বাদমতো।
ধাপ-১
প্রথমে মিষ্টি কুমড়ার ফুলগুলো আটি থেকে নিয়ে খুলে ফেলবো।একটা একটা করে ফুলের আঁশ ফেলে দিয়ে ভালো করে দেখে নিতে হবে কোন ধরনের পোকামাকড় আছে কিনা।হাতের সাহায্যে অথবা বটি দিয়ে ছোট ছোট করে সাইজ করে কেটে নিতে হবে।কেটে নিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়ে পানি ঝরাতে রাখবো।
Device-Wiko-T3
ধাপ-২
এরপরে আমি পানি ঝরতে ঝরতে অন্যান্য উপকরণ গুলো রেডি করে নিয়েছি।সোজা রান্নার ধাপে চলে যাব।রান্নার জন্য একটি কড়াই নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।কড়াইটি গরম হলে তাতে পরিমান মত তেল ঢেলে দিব।তেল ঢেলে দিয়েছি এখন তেল গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
ধাপ-৩
তেল গরম হলে ধাপে ধাপে আমি রসুন, কাঁচা মরিচ ফালি এবং পরিমাণ মত লবন দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিব।রসুনগুলো ব্রাউন কালার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
Device-Wiko-T3
Device-Wiko-T3
ধাপ-৪
রসুন,কাঁচা মরিচ ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে ধুয়ে রাখা মিষ্টি কুমড়ার ফুল গুলো দিয়ে দিব।ভালো করে মিক্স করে নিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে।মাঝে মাঝে নেড়ে দিতে হবে যাতে সবগুলো ফুল একসাথে সিদ্ধ হয়ে আসে।
Device-Wiko-T3
মিষ্টি কুমড়ার ফুল গুলো ভালোভাবে সেদ্ধ হয়ে আসলে কুচি করে রাখা ধনে পাতাগুলো ছিটিয়ে দিতে হবে।নেড়েচেড়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে।
Device-Wiko-T3
শেষ-ধাপ
দেখুন আমার আজকের তৈরি করা মিষ্টি কুমড়ার ফুলগুলো ভাজা প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে।সিদ্ধ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে কড়াই চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।ফুলগুলো পরিবেশনের জন্য একটি বাটিতে নিয়ে নিয়েছি।দেখুন দেখতে কেমন লোভনীয় হয়েছে।খেতেও অনেক মজাদার ছিল।
Device-Wiko-T3
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে।যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে আমার রেসিপিটি দেখে আপনারাও বাসায় তৈরি করে দেখতে পারেন কি রকম লাগে।আপনাদের কেমন লেগেছে আশা করি মতামত দিয়ে জানাবেন সেই অপেক্ষায় রইলাম।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এ পর্যন্ত বন্ধুরা আবার উপস্থিত হব আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন। |
---|
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।
আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।
আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।তাই আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
|
---|
আপনি খুব সুন্দর করে মিষ্টি কুমড়ার ফুল রেসিপি তৈরি করেছেন।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে আর এমনিতেই মিষ্টি কুমড়ো ফুল ভাজি করে খেতে অনেক মজা লাগে।তবে আপনি যদি শুধু ফুলগুলো বেসমের ময়দার মধ্যে দিয়ে তেলে ভেজে খেতেন তাহলে এর থেকেও অনেক বেশি মজা লাগতো।
হ্যাঁ ভাই আপনি ঠিক বলছেন এভাবে খেলে অনেক মজার হবে।আপনার মতো করে একবার তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুব সুন্দর করে মিষ্টি কুমড়ার ফুল ভাজি করেছেন । দেখে খুব ভালো লাগলো। মনে হয় ফুল ভাজি করার পর যদি শুকনা মরিচের গুঁড়া ছিঁচিয়ে দিতে তাহলে খেতে আরো অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হতো। আপনি পুরো রেসিপি পোস্টটি চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ আপনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে হলেও অনেক মজা হবে। ধন্যবাদ।
আপু আপনার আজকের রেসিপিটা দেখে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে গেল। আমার মা খুব পছন্দ করে মিষ্টি কুমড়া ফুল। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আজকে ফুল রেসিপি উপস্থাপন করেছেন।
আপনার কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো।আন্টির কথা বলতেছেন সেজন্য। আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
মিষ্টি কুমড়ার ফুল ভাজি রেসিপি এর আগেও আমি দেখেছিলাম। তবে এই রেসিপি আমি কখনো খায়নি। তাই জানিনা কতটা মজা হয় খেতে। আপনার রেসিপি দেখে তাই তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো।
বিভিন্ন রকম রান্না করা যায় ভাইয়া,তবে এটা হচ্ছে একদম শর্টকাট রান্না।রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন ভালো লাগবে।
খুবই চমৎকার ভাবে মিষ্টি কুমড়ার রান্না করেছেন। এইভাবে রান্না করে আমি খুব একটা খেতে পারি না কেন যেন।এই শাক আমার পছন্দ হয়না কেন যেন। কারণ শুকনো শুকনো লাগে আমার কাছে।
খেয়ে দেখবেন একদিন এভাবেই ভালো লাগে খেতে।
আমরা ভাইয়া এভাবে রান্না করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে খেয়েছি কিন্তু বড়া করে খাওয়া হয়নি।ধন্যবাদ আপনাকে এভাবে একদিন রান্না করে দেখতে হবে।
বাড়িতে কুমড়োফুল সব সময়েই বেসনে ডুবিয়ে বড়া ভাজা হয়। কখনও জানতামই না যে এই ভাবে শাকের মত করেও খাওয়া যায়। দারুন লাগলো আইটেম টা। আর সত্যিই ইউনিক মনে হল আমার কাছে।
ঠিক তাই আপু আমরাও রান্না করে খেয়েছি কোন দিন বড়া করে খাওয়া হয়নি আপনারটাও আমার কাছে ইউনিক লেগেছে।