হোটেল আল-গণি তে খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত।
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে।
লেখার শুরুতে সবাইকে আসসালামুয়ালাইকুম এবং অভিনন্দন আজকের ব্লগিংয়ে। বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। তবে গতকাল থেকে একটু ব্যস্ত ছিলাম কারণ পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটু ঘোরাফেরা করেছি। কক্সবাজারের ইনানীতে গিয়েছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য। বাচ্চারা কয়েক দিন ধরে বায়না ধরছিল ইনানীতে যাবে এবং সেখানে থাকবে ঘোরাফেরা করবে। তো এতদিন বৃষ্টি ছিল তাই যাওয়া হয়নি কারণ এদিক ওদিক যদি দেখতে হয় তাহলে একটু রোদের মধ্যে গেলে ভালো লাগে। যেহেতু গতকাল শুক্রবারে বৃষ্টি একটু কম ছিল তাই কালকে চলে গেছিলাম। যাক সময়টা অনেক ভালো গেল। আজকে আবারো নতুন একটি ব্লগিং নিয়ে আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়েছি।
আশা করি আমার আজকের নতুন ব্লগিং আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। গত জুলাই মাসের ৭ তারিখ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী ছিল। আসলেই বিবাহ বার্ষিকীতে তেমন একটা বাইরে আমার ঘোরাফেরা করা হয় না। বিশেষ করে ঘরে ভালো-মন্দ খাবার দাবার রান্না বান্না করা হয়। তো বাইরে তেমন যায় না বললে চলে। তবে মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করলে চলে যায় আবার মাঝে মধ্যেই ইচ্ছে না করলেই ঘরের মধ্যে রান্না করি। তো জুলাই ৭ তারিখ নরমালি ছিলাম। হঠাৎ রাতে মেয়েদের বাবা ফোন দিয়ে বলল রেডি হওয়ার জন্য বাইরে খাওয়াতে নিয়ে যাবে। তো আমি চিন্তা করলাম বেশি দূরে যাব না আশে পাশের কোথাও রেস্টুরেন্টে যাইলে ভালো হয়। যেহেতু রাতে তাই।
আমাদের এখানে কক্সবাজারের নামকরা বেশ কয়েকটি হোটেল আছে তার মধ্যে আল গণি অন্যতম। আল গণির বেশ কয়েকটি শাখা আছে। তার মধ্যে এখানে পাশা পাশি যেটা ছিল সেটার মধ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। গিয়ে বাচ্চারা বললো চিকেন বিরিয়ানি খাবে। আমারও বিরিয়ানির মধ্যে চিকেন বিরিয়ানিটা খুবই ভালো লাগে। তাই চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার করে দিলাম। যেহেতু রাতের খাবার খাবো তাই ম্যানুয়ালি বিরিয়ানির আইটেমের মধ্যে যা ছিল তা অর্ডার করলাম বাড়তি কিছু অর্ডার করা হয়নি। আমি এমনিতে রাতে একটু ভারি খাবার কম খেয়ে থাকি। তার মধ্যে আবার বিরিয়ানি খাব তাই আর বেশি কিছু অর্ডার করি নাই।
সাধারণত বিরিয়ানির মধ্যে যা যা দেওয়া হয় তা ছিল সালাদ ছিল। আর সেখানকার বিরিয়ানির সাথে একটি আচার দেওয়া হয় আচারটা আমার বেশ ভালো লাগে খেতে। বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে বিরিয়ানির সাথে আচারের আইটেম। আল গণি হোটেল এখানে কক্সবাজার লাল দীঘির পাড়ের মধ্যে ৩-৪ টি শাখা আছে। তবে কলা তলীতে নতুন একটি শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে। আল গণির হোটেলের সার্ভিস গুলো খুবই ভালো মানের এবং খাওয়া-দাওয়াও অসম্ভব ভালো। বিরিয়ানি খেয়ে আমার অনেক ভালো লেগেছিল। তাছাড়া তাদের ডেকোরেশন গুলো অসাধারণ সুন্দর। তো অনেক লোকজন ছিল যেহেতু রাতের খাবারের সময় গিয়েছিলাম তাই রেস্টুরেন্ট ভর্তি মানুষ ছিল।
এত মানুষের ভিড়ে আসলে ফটোগ্রাফি করা একটু ভালো লাগে না। তাই কয়েকটি ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম। সেগুলো নিয়ে আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের সাথে। তো বন্ধুরা খাওয়া দাওয়া করে যখন বের হব তখন অনেক বৃষ্টি নেমে আসলো। বাসা থেকে দূরত্ব প্রায় ৫-১০ মিনিটের মত হবে। আমার হাজবেন্ড বের হয়ে একটা টমটম গাড়ি নিয়ে আসলো। গাড়িতে করে বাসায় ঢুকে পড়লাম। এই হচ্ছে আমার সেই দিনের খাওয়া দাওয়ার সময়। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে বন্ধুরা। ধন্যবাদ আমার আজকের ব্লগ সময় দিয়ে পড়ার জন্য।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | হোটেল আল-গণি |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/ns2yn
বাচ্চারা যদি কোথাও যাওয়ার জন্য বায়না ধরে তাহলে তো তাদেরকে না নিয়ে যায় যা পর্যন্ত রক্ষা নেই। আপনার বাচ্চারা কদিন ধরে ইনানীতে যাবার জন্য এক প্রকার অস্থির হয়ে পড়েছে। আপনারা কক্সবাজার ইনানীতে গিয়েছিলেন এবং বেশ ঘোরাঘুরি সেখানে করেছেন। হ্যাপি মেরেজ ডে। এই বিশেষ মুহূর্তের দিনে আপনারা আর গণির অন্যতম একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেছেন। বাচ্চারা চিকেন বিরানি খাওয়ার কথা বলেছিলো আর তাই আপনার চিকেন বিরানি খাওয়ার জন্য অর্ডার দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে পরিবার নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আজকাল কার বাচ্চারা ভাইয়া এমন ধরনের বায়না ধরে আর কোন উপায় থাকে না। সবাই মিলে খুব ভালো খাওয়া দাওয়া করলাম অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
Twitter Share Link