লাইফ স্টাইলঃ-বাংলা ভাষা চর্চাকারী প্রতিষ্ঠান শব্দায়নের জন্মবার্ষিকী।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার,
প্রিয় কমিউনিটির @amarbanglablog সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা সকলে ভাল আছেন। আমি @samhunnhar আপনাদের সাথে বাংলা ভাষায় ব্লগিং করি কক্সবাজার থেকে। সুদূর থেকেও আপনাদের সাথে এত কাছাকাছি আছি একমাত্র ব্লগিংয়ের মাধ্যমে। বাংলা ভাষায় ব্লগিং করতে পারি বলে অনেক বেশি ভালো লাগে। নিজের মুখের ভাষা নিজের দেশের ভাষা নিজের মায়ের মুখ থেকে শেখা ভাষা দিয়ে ব্লগিং করার আনন্দ আলাদা। নিজের মুখে বলা ভাষার মাধ্যমে যখন সব ধরনের অনুভূতি সবার সাথে শেয়ার করা যায় অসাধারণ ভালো লাগা কাজ করে।
বন্ধুরা আজকে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য। আজকে আমি যে বিষয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব তা হচ্ছে বাংলা ভাষা চর্চাকারী প্রতিষ্ঠান শব্দায়ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে পিঠার উৎসবের আয়োজন। যদিও আমি শব্দায়নের জন্য অনলাইন থেকে পিঠা অর্ডার করার একটি মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তখন বলেছিলাম অবশ্যই শব্দায়নে কাটানো মুহূর্ত গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেই অনুযায়ী আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি পিঠা উৎসবের মুহূর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমি বলেছিলাম ৪০ জন গার্ডিয়ান পিঠা তৈরি করে নিয়ে এসেছিল। ৪০ জন গার্ডিয়ান পিঠা এনেছিলো মানে বিশাল ব্যাপার সেপার। আরো অনেকে বেশি পিঠা এনেছিল মনে হয় আমি যা বুঝেছি। তবে যতটুকু আমি নিশ্চিত শুনেছি সেখানে হচ্ছে যে ৩৬০৫টি পিঠা এনেছিল সবাই মিলে। তাছাড়াও শব্দায়নের পক্ষ থেকে পিঠা উৎসবে অনেক সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। যারা শব্দায়ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের সদস্য। তাছাড়াও জেলা শিশু একাডেমি এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার শিল্পকলা একাডেমির প্রধান সহ আরো অন্যান ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। সবাইকে দাওয়াত করা হয় শব্দায়নের পক্ষ থেকে।
অনলাইন থেকে পিঠা গুলো যখন আমাকে পার্সেল করে দেওয়া হয়। আমি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছিলাম। সেই সাথে আমার ঘরের তৈরি করা পিঠা গুলো নিয়ে সোজা চলে যায় শব্দায়ন থেকে আয়োজিত সেই পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের প্রাঙ্গণে। যাওয়ার পরে দেখি সবাই প্রায়ই চলে এসেছিল। তো আমি অনেক তাড়া হুড়া করেছি যেহেতু বাচ্চারাও যাচ্ছিল আমার সাথে। পিঠা গুলো সুন্দর করে রেডি করে নিয়ে একটা অটো নিয়ে চলে গেলাম। পৌঁছে যাওয়ার পরে পিঠা গুলো কর্তৃপক্ষদের হাতে দিয়ে দিলাম।
অবশ্যই তারা একটি কাজ ভালই করছিলেন যারা পিঠা নিয়ে গেছিলেন সবার তালিকা করেছিল। সবাই কত আইটেমের পিঠা নিয়ে গেছিলাম সেগুলো তালিকা করছিলেন। যার কারনে একটি সুবিধা হয়েছে তা হচ্ছে কত আইটেমের পিঠা উঠেছিল। পিঠার সংখ্যা কয়টি হয়েছিল বিস্তারিত খুব সুন্দরভাবে সবার সামনে প্রকাশ করা হয়। যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রধান এসেছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনেক কবি লেখকরা যারা বাংলা ভাষা নিয়ে চর্চা করেন প্রতিনিয়ত। সব মিলিয়ে খুব সুন্দরভাবে পিঠা খাওয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
যেহেতু শব্দায়নের জন্মবার্ষিকী তাই পিঠার উৎসব করা হয়েছিল। শুনেছি শব্দায়নে জন্মদিনের দিন কেক কাটা হয় না। সব গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে পিঠার ব্যবস্থা করা হয় সবাই মিষ্টি জাতীয় হরেক রকমের পিঠা নিয়ে আসেন। সেই মিষ্টি পিঠা গুলো দিয়ে শব্দায়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা। অবশ্যই সেখানে একটি কাজ ভালোই লাগছে খুব সুন্দর করে ডেকোরেশন করা হয়েছিল। তাছাড়া যেগুলো খুব ভালো ভালো সুন্দর পিঠা এনেছিল সেগুলো সামনের ডেক্সের দিকে নিয়ে রাখা হয়েছিল। যারা বিশেষ অতিথিরা এসেছিলেন তাদের পছন্দমতো খাবার গুলো পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও শব্দায়ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ভাপা পিঠা এবং গুড়ের জিলাপির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সেই সাথে রাখা হয়েছিল গরম গরম কফির ব্যবস্থা। পিঠা খাওয়ার মাধ্যমে শব্দায়নের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। সবার মাধ্যমে খুব সুন্দর সুন্দর শুভেচ্ছা বার্তা আমরা শুনি গেস্টদের কাছ থেকে। ভীষণ ভাল লেগেছিল মুহূর্ত টি। এরপরে বাচ্চাদেরকে নিয়ে কবিতা আবৃত্তি আয়োজন করা হয় পরের সেগমেন্টে। দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়েছিল। যদিও আমি একটু অসুস্থ ছিলাম কিন্তু আমি বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারি নাই। আমি কিছু পিঠা তৈরি করেছিলাম তাই একটু খারাপ লাগছিল। পিঠা তৈরি করা একটু কষ্টের কাজ। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি তেমন পিঠা তৈরি করতে পারি নাই।
সবার থেকে নিয়ে যাওয়া পিঠা গুলো সব গার্ডিয়ান এবং বাচ্চাদেরকে প্লেটের মাধ্যমে বন্টন করে করে দেওয়া হয় খাওয়ার জন্য। সবাই মিলে আমরা পিঠা খাওয়া দাওয়া করি। পিঠা খাবার পরে আবার সেখান থেকে গরম গরম জিলাপি তৈরি করেছিল জিলাপি নিয়ে খেলাম। গরম গরম কফি ছিল সেখান থেকে কফি নিয়ে খেয়েছি। খাওয়ার পরে অবশেষে চিন্তা করলাম আসলে চলে যাই বাসায়। তাছাড়াও কিছু দেশাত্মক গান শুনছিলাম।
কিছুক্ষণ বসে কবিতা আবৃত্তি শুনেছিলাম এবং গান শুনেছিলাম। যেহেতু মেয়ের কোচিং ছিল তাই আমি শেষ করে চলে আসি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফ স্টাইল |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
#foundation-anniversary #shabadayaninstitute #lifestyle #amarbanglablog #steemit #bengali #practicing
https://twitter.com/nahar_hera/status/1758426305174081938?t=12dAy9JjZzww1xGB1yS57g&s=19
শব্দায়ন তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে পিঠা খাওয়া দিয়ে জেনে বেশ ভালো লাগলো। তাদের উদযাপনটি একটু ভিন্ন রকম। সবাই পিঠা নিয়ে আসেন তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকির জন্য। এবং সবাই মিলে পিঠা খায়। বেশ লাগলো। সেই সাথে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল আনন্দ দেয়ার জন্য ।শব্দায়নের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।