মহান বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
শুভ দুপুর,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। গতকালকে আমাদের বিজয় দিবস ছিল। অনেক আনন্দের একটি দিন আমাদের বাঙালি জাতির জন্য। যে দিনে আমরা হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছিলাম স্বাধীনতা। পরাধীনতার হাত থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা কত গৌরবের! কত আনন্দের! সেটা একমাত্র সেই জাতি বুঝতে পারে যারা হাজারো রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করে। বন্ধুরা যদিও আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারি নাই। বলতে গেলে আমাদের মা-বাবারও সেই সময় অনেক ছোট ছিল। কিন্তু ইতিহাসের পাতা কখনো ভুলে যায় না। ইতিহাস পড়লে সেই স্মৃতিগুলো বার বার মনে করিয়ে দেয় কত ভয়ংকর সময় ছিল বাঙালি জাতির জন্য। আমরা প্রতিটা জাতি আমাদের বাঙালিরা আমাদের ইতিহাস চর্চা করি। আমরা অতীত জানতে চাই।
[Image Source](ডিসকর্ড থেকে নেওয়া।)
দিনটিকে কেন্দ্র করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা সবাই শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে যেয়ে তাদের জন্য ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। তাদের জন্য দোয়া কামনা করি। জাতি প্রতিবছর এই দিনটিকে বেশ সুন্দরভাবে পালন করে থাকেন। ১৬ই ডিসেম্বর মানে হচ্ছে সকল বাঙালির জন্য অনেক আনন্দের দিন। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ সমস্ত অফিস আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকে। এই দিনটিকে সবাই যার যার মত করে কাটানোর চেষ্টা করে থাকেন। একটি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা। একটি অত্যাচারী রাষ্টের অধীন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা এত বড় সহজ ব্যাপার নয়। অনেক কঠিন ছিল আমাদের বাঙালির জন্য।
যেমন তেমন কথা না দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ের যুদ্ধের পরেই এ স্বাধীনতা অর্জন। হাজারো নারী তার সন্তানকে হারিয়েছেন। হাজারো স্ত্রী তার স্বামীকে হারিয়েছেন। হাজারো বোন তার ভাইকে হারিয়েছে। অনেক ভাইয়েরা আছেন তাদের বোনকে হারিয়েছেন। অনেক নারী নির্যাতিত হয়েছে, ধর্ষিত হয়েছে নারীরা। এ সমস্ত বিসর্জন দেওয়ার ফলেই অবশেষে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল আমাদের বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতি হার মানার কোন জাতি নয়। যেখানে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে সেই জাতি বলতে গেলে অনেক সাহসী। এই স্বাধীনতার পরে আমরা পেয়েছি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা পেয়েছি স্বাধীনভাবে চলার অধিকার। আমরা পেয়েছি মায়ের মুখের ভাষা মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার।
অবশ্যই পাকিস্তানিরা আমাদের মায়ের মুখের ভাষা বাংলা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাংলার দামান ছেলেদের সেই প্রচেষ্টায় তা কখনো সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার সূত্রপাত থেকে শুরু করে হাজারো নির্যাতন হাজার অত্যাচার বাঙালির উপর চলে। কিন্তু সে বাঙালি অবশেষে তাদের সমস্ত সাহসিকতা দিয়ে অবশেষে জয় এর পতাকা ফিরিয়ে আনে। যার কারণে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন পতাকা। যার কারণে আমরা পেয়েছি বিশ্বের দরবারে লিখিত বাংলাদেশের নাম। তবে স্বাধীনতা বলতে এখানে শেষ নয়। একটি স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা অনেক কঠিন ব্যাপার। কারণ একটি স্বাধীন দেশের উপর বারবার আক্রমণ আসবে। বারবার চক্রান্ত ঘোরাবে সেই শত্রু দেশগুলো। তার জন্য জাতিকে সচেতন থাকতে হবে।
তার জন্য জাতিকে সবসময় সার্বভৌম রক্ষার জন্য সেভাবে তৈরি রাখতে হবে। কারণ স্বাধীনতা যখন অর্জন করি তখন সে স্বাধীনতা ক্ষরণের জন্য বারবার অশুভ শক্তি কাজ করবে। যুগে যুগে থাকবে এবং ছিল এই ধরনের শত্রুর আক্রমণ ও অশুভ শক্তির লক্ষণ। তার জন্য সচেতন জাতি গড়ে তুলতে হবে। দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। আজকাল দেশের মানুষ শিক্ষিত হয়েও সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে যেটি আসলে খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। আজকাল রাষ্ট্রের অবস্থা খুবই খারাপ অবস্থায় চলে যাচ্ছে। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি সমস্ত প্রতিকূল পরিবেশ যেন ঠিক হয়ে যায়।
আমরা যেন সেই আগের মত একটি সুন্দর স্বাধীন বাংলাদেশ দেখতে পাই। যেখানে থাকবে না কোন দ্বন্দ্ব মারামারি। থাকবে না কোন হিংসা বিদ্বেষ। সবাই কাধে হাত মিলিয়ে যেন একসাথে চলার সেই সুযোগ পাই সৃষ্টি কর্তার কাছে সেই প্রার্থনা ফরিয়াদ করছি। আমরা সবাই সচেতন হই আমরা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য এগিয়ে যাই। আমরা সুস্থ জাতি হিসেবে বিশের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই। সৃষ্টিকর্তা যেন সেই তৌফিক আমাদেরকে দান করে থাকেন।
লেখার উৎস | নিজের অনুভূতি থেকে |
---|---|
ইমেজ সোর্স | ডিসকর্ড থেকে নেওয়া। |
অবস্থান | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
ক্যাটাগরি | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
স্বাধিনতার ৫৩ বছরেও আমরা স্বাধিনতার সুফল পাচ্ছি না। ক্ষুধা, দারিদ্র থেকে মুক্তি পাচ্ছে না দেশ।বার বার অশুভ শক্তির কাছে হেরে পিছিয়ে পরছে আমাদের প্রিয় দেশ। আশাকরি আমাদের সকলের চেস্টায় একটি নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। সেই আশ্য করি।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলছেন দেশ থেকে অরাজকতা যেন শেষ হচ্ছে না দিন দিন।
আমার আজকের টাস্কঃ-
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের প্রাণের দিবস। এই দিবসকে আমরা কখনো কোনদিন ভুলতে পারবো না। এই দিবসেই পৃথিবীর মানচিত্রে জায়গা নিয়েছিল ছোট্ট একটি বাংলাদেশ। স্বাধীন হয়েছিল একটি ভাষা, তৈরি হয়েছিল একটি পতাকা। মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও সালাম। ধন্যবাদ।
স্বাধীন দেশে বসবাস করি বলে মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারি। স্বাধীন মত মনের ভাষা গুলো প্রকাশ করতে পারি। এর চেয়ে ভালো লাগার আর কি হতে পারে।
আমরা সকলে মহান বিজয় দিবসকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এবং আমাদের বিজয় দিবস সিনিয়ে আনার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে জীবন দিয়েছে রক্ত বিসর্জন দিয়েছে তাদের জন্য দোয়া করি যেন বেহেস্ত নসিব হন। মহান এই বিজয় দিবসে আমাদের দেশের সকল মানুষ যেন স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারে, হাসিমুখীভাবে চলতে পারে সেই দোয়া করি।
ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে সুন্দর গঠনমূলক মতামত জানতে পেরে।
https://x.com/nahar_hera/status/1869098992640106546?t=wA4sdDpfYqCgZmtzeUXtJg&s=19
শহীদদের প্রতি এই শ্রদ্ধা সারা জীবন থাকবে। এই দিনটাকে আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশটা পেয়েছি। তাদের অবদানের কথা কিভাবে আমরা ভুলতে পারি। কিন্তু চাই সুন্দর একটা স্বাধীন দেশ। এখনো সুন্দর স্বাধীন দেশ হয়নি আমাদের এই দেশটা। চারিদিকে তাকালেই অনেক কিছু দেখতে পাই। এসব কিছু বাদ দিয়ে সবার কাছে সুন্দর একটা জীবন যাপন করা।
আমাদের দেশটি দিন দিন ও শুভ শক্তির কাছে হেরে যাচ্ছে। দোয়া করি যেন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়।