কক্সবাজার হিমছড়ি পাহাড়ে ভ্রমণ (পর্ব-২)
প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি সকলেই ভাল আছেন? ছুটির দিনে নিশ্চয় পরিবার পরিজনকে নিয়ে অনেক ভাল আছেন। আমি সামশুন নাহার হিরা @samhunnahar। আমি আপনাদের সাথে যুক্ত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে। আমার বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে অনেক ভাল লাগে। আমি আজকে আপনাদের সাথে আবারো নতুন একটি টপিকস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আশা করি আজকের বিষয় আপনাদের ভালো লাগবে। কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম হিমছড়ির উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার কিছু মুহূর্ত। আজকে আমি এর পরের ধাপ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
যদিও উঁচু পাহাড়ে উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। উঠতে উঠতে মনে করেছিলাম আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ যখন এত উঁচুতে উঠেছিলাম তখন ৪২° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম হয়েছিল। যা আমি বুঝতে পেরেছি আমার মোবাইলে নোটিফিকেশন আসছিল। তখন পাহাড়ের মধ্যে তাপমাত্রা কত তা মোবাইলে দেখছিলাম। তো আমি দেখে তো অবাক এত বেশি গরম লাগছিল বলার মত না। তাছাড়া এত উচু পাহাড়ের মধ্যে অনেক পরিমাণ বাতাসও ছিল। কিন্তু সেই বাতাসে কোন কাজ করছিল না। উঁচু পাহাড়ে উঠে তো আমি অবাক এত সুন্দর একটি পরিবেশ। সত্যি বলতে সবুজ আর সবুজের মধ্যে একদম ঢেকে গেছে পাহাড় গুলো। সবাই পাহাড়ে উঠে কেউ ডাব খাচ্ছিল। আবার কেউ আইসক্রিম খাচ্ছিল। কেউ আবার সেলফি নিচ্ছে এই অবস্থা।
তো আমি আসলেই বাচ্চাদেরকে নিয়ে যেহেতু একা উপরে উঠেছি তাই আমার এত কিছু করার সুযোগ ছিল না। কারণ বাচ্চাদেরকে দেখাশোনা করতে হয়েছিল। ওদের বাবা নিচে অপেক্ষা করেছিলেন আমাদের জন্য। কারণ উনি আমাদের সাথে আসে নাই এত উঁচু পাহাড়ে। সব চেয়ে একটি মজার বিষয় ছিল সমুদ্র সৈকত খুব সুন্দর করে এত কাছ থেকে দেখা যাচ্ছিল। আমি তো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। একটা বিষয় এই হিমছড়ি উঁচু পাহাড়ে ওঠার কারণ হচ্ছে এত উঁচু থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন গুলো শোনার জন্য। তো সেখানে অনেক লোকজন ছিল। সবাই অনেক বেশি আনন্দ করছিল। সেই সাথে আমার মেয়েরা অনেক বেশি আনন্দ করেছে।
সবচেয়ে বেশি কষ্ট লাগছে সিঁড়ি গুলো দিয়ে উপরে ওঠার কারণে। কারণ সিঁড়ি গুলোর ব্যবস্থা এত বেশি উন্নত ছিল না যার কারণে উঠতে খুবই কষ্ট হয়। যদি একটা আধুনিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করা হতো তাহলে ভালো হতো। যাক বাচ্চারা আইসক্রিম খাবে বলছিল সেখান থেকে দুইজনকে দুইটা আইসক্রিম দিয়ে দিলাম। সেই সাথে অনেকক্ষণ বসে সময় কাটালাম। অনেকেই অনেক আনন্দ করছিল। তবে এত গরম যেহেতু বাচ্চারা অস্থির হয়ে গেছিল নিচে নেমে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অস্থির করলে তো হয় না সেখানে যখন এত কষ্ট করে গেছি আরো কিছুক্ষণ থাকার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।
উঁচু পাহাড়ের দৃশ্য গুলো আমার দেখে খুবই ভালো লেগেছিল। তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম অনেক গুলো ফটোগ্রাফি নেওয়ার। তবে ভিডিওগ্রাফি নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নেওয়া সম্ভব হয়নি। বলেন তো এত বিরক্ত করলে বাচ্চারা এগুলো করা সম্ভব কিনা। যদি কোন কারণে পাহাড়ের নিচে পড়ে যায় তাহলে তো আর কোন রক্ষা নেই। কারণ পাহাড় গুলো অনেক উঁচু ছিল। তারা উঠে এত বেশি ছোটাছুটি করছিল আমি রীতিমতো ভয় পেয়ে গেছিলাম। পাশাপাশি অনেক গুলো পাহাড় ছিল খুবই সুন্দর। আমার মনে হয় এই পাহাড় গুলোতে ভয়ংকর কিছু থাকবে।
কারণ অনেক ঘন জঙ্গল ছিল সেখানে। দূর থেকে দেখে এত ভালো লাগছিল একদম সবুজে ঢাকা পাহাড় গুলো। তো বন্ধুরা আশা করি আজকের ব্লগিং আপনাদের ভালো লাগবে। আজকে এই পর্যন্ত আমি পরবর্তীতে আবারো আপনাদের সাথে যুক্ত হব। পাহাড়ের ঘোরাঘুরি মুহূর্ত নিয়ে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার হিমছড়ি পাহাড় |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | ট্রাভেলিং |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আপু কক্সবাজার হিমছড়ি পাহাড়ে ভ্রমণ করলে এক সাথে দুইটি বিষয় উপভোগ করা যায়। সমুদ্রের গর্জনের আওয়াজ আবার পাহাড়ের প্রকৃতিক দৃশ্য। পরিবেশটা দারুন ভাবে এনজয় করা যায়। ভাইয়া উপরে উঠেনি কেন....ভয় পায় না কি..হি হি হি। ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন ভাই একবার পাহাড়ে উঠলে সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন দেখা সম্ভব। অন্যদিকে প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো এক সাথে দেখার সুযোগ হয়।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/d6d0be813b582
কক্সবাজার থেকে হিমছড়ি পাহাড়ে গিয়েছিলাম। তবে পাহাড়ের উপরে উঠতে অনেক ভয় লেগেছে। পাহাড়ের উপর থেকে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত খুব চমৎকার দেখায়। অনেক ভালো লাগলো হিমছড়ির কিছু ফটো চিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া পাহাড়ে উঠলে খুব কাছ থেকে অনুভব করা যায়।
যদিও কখনো কক্সবাজারে যায় নাই। তবে শুনেছি এবং মোবাইলে দেখেছি এইসব জায়গা গুলো খুবই চমৎকার দেখতে। আর কক্সবাজারে হিমছড়ি পাহাড় গুলো তো আরো সুন্দর। আসলে পাহাড় কে না পছন্দ করে। পাহাড়ের দিক গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে এর চারপাশে যেন ঘন সবুজে ভরা। সব মিলিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। আর এই সময়ের কিছু অংশটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি। সময় সুযোগ পেলে চলে আসবেন পরিবারকে নিয়ে।
জানিনা কবে যেতে পারবো দেখতে পারবো এই বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য প্রাকৃতিক লীলাভূমি। তবুও আশায় রয়েছি আশা কিন্তু ছাড়েনি। আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে যেন সুন্দর এই স্থানে যাওয়ার প্রবণতা আরো মনের মধ্যে বেড়ে উঠলো।
দোয়া করি আপনার আশা যেন খুব তাড়াতাড়ি সফল হয়।
বাপরে বাপ! কি সাহস আপনার! ভাগ্নী দুজনকে নিয়ে পাহাড়ে উপর উঠে গেলেন! সেটাও আবার এতো তাপমাত্রার মধ্যে। আমি একবার সীতাকুণ্ডে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে উঠে মনে হচ্ছিল জীবন শেষ। তবে পাহাড়ের চূড়ায় উঠে মনে হয় যেন স্বার্থক।
অনেক গরম ছিল ভাইয়া সত্যি মনে হয়েছিল ওঠার সময় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু উঠার পরেই তো গরম অনুভব করেছি তবে আনন্দ উপভোগ করেছি অনেক।
Twitter