লাইফস্টাইলঃ- কক্সবাজার জল তরঙ্গে সময় কাটানো এবং খাওয়া দাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago
শুভ বিকেল সবাইকে,?


f11.jpg

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন নিশ্চয়ই বৃষ্টির দিনে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন। গত রাত থেকেই আমাদের এখানে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে। এমন ভাবেই বৃষ্টি হচ্ছে একেবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলো আজকে বাচ্চাদের স্কুল। তবে বেশ আর আমি আছি বলতে হয়। আপনাদের ওখানে কি অবস্থা? বৃষ্টি হচ্ছে কিনা? তবে বর্ষাকালে একটু ভালো লাগে আমার কিন্তু অসহায় মানুষের জন্য অনেক কষ্ট হয়। ভালো মন্দ মিলিয়ে আমাদের জীবন।কারো ভালো লাগে আবার কারো জন্যই দুর্যোগ নেমে আসে এই হচ্ছে বাস্তব জীবনের গল্প। আজকে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি টপিকস শেয়ার করবো বলে। আশা করি বন্ধুরা প্রতিবারের মতোই আমার আজকে ব্লগ আপনাদের ভালো লাগবে সে প্রত্যাশা কামনা করছি।

f5.jpg

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো যে বিষয়টা অবশ্যই আপনারা শিরোনাম থেকেই বুঝতে পারছেন। আপনারা সবাই জানেন পর্যটকদের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি জায়গা হচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। শুধু পর্যটকদের জন্য নয় আমরা এখানে যারা লোকাল আছি তাদেরও সবার প্রিয় জায়গা হচ্ছে সমুদ্র সৈকত। আমার তো বেশ ভালো লাগে সময় পেলে সেখানে যেয়ে সময় কাটানোর। শুধু যে সমুদ্র সৈকতে যাবো তা নয় এখানে সময় কাটানো জন্য বেশ বিনোদনের কয়েকটি জায়গার রয়েছে। সেখানে যেয়ে বাচ্চাদেরকে নিয়ে সময় কাটাতে পারলে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে কক্সবাজার পর্যটক এরিয়াটি দিন দিন এত সুন্দর হয়ে যাচ্ছে সত্যি দেখলে মুগ্ধ হয়ে যায় আমি।

f2.jpg

মানুষেরা এত টাকা পয়সা খরচ করে এখানে আসেন সেটা শুধু সমুদ্র সৈকতের জন্য নয় এখানকার পরিবেশ গুলো খুবই সুন্দর। এই তো বেশ কিছুদিন হলো রমজান মাসে জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্ট উদ্বোধন করা হলো। যদিও আমরা অনেকদিন আগে থেকেই দেখতে ছিলাম এই ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। কিন্তু কেন নির্মাণ করা হচ্ছিলো সে বিষয় সম্পর্কে এত বেশি ধারণা ছিল না। তবে সেখানে সেনাবাহিনীরা থাকতো সেটাই জানতাম। মনে করেছিলাম হয়তো তাদের জন্যই থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু উদ্বোধনকরার কিছুদিন আগে জানতে পারলাম সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট ওপেন করা হচ্ছে সাথে আবাসিক হোটেল তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে যারা সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন তাদেরকে বিশেষ ডিসকাউন্ট এর ব্যবস্থা দেওয়া হবে। যারা বাইরের গেস্ট আসবেন তাদের জন্যই সুযোগ রয়েছে সেখানে।

f3.jpg

f7.jpg

তো রমজানের মধ্যেই আমার হাজবেন্ড সেখানে অনেকবার অফিসিয়ালিভাবে ইফতারি করতে যাই সবাই মিলে। আমাকে এসে বলেন রেস্টুরেন্টে অনেক সুন্দর এবং বাচ্চারা গিয়েছিল বাবার সাথে একদিন। মেয়েরা আমার কাছে এসে তো প্রশংসা করলো অনেক এবার আমারও যেতে মন চাইলো। আসলে সময় করে যাওয়া হয় না। কারণ হুট করে যেয়ে হুট করে চলে আসি। কোন নতুন জায়গায় গেলে সেই জায়গাটি একটু সময় নিয়ে যেতে হয় ঘোরাঘুরি করার জন্য। তখন আমরা চিন্তা করলাম যে একদিন আমরা সবাই মিলে সেখানে ইফতারি করতে যাব। যে ভাবনা সেই কাজ আমরা চলে গেলাম একদিন ইফতারি করার জন্য। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা সেখানে ইফতারি করতে পারিনি। কারণ সেখানে রমজান মাস যেহেতু আগে থেকে খাবার অর্ডার করে দিতে হয়।

f6.jpg

আমরা যে মুহূর্তে গেলাম সেই মুহূর্তেই ইফতারি অলরেডি শুরু হয়ে গেছে। যখন সেখানে গিয়ে দেখলাম আসলে ইফতারের কোন আইটেম নেই যারা ছিল তারা সবাই অর্ডার করে নিয়ে বসে পড়লেন। সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। নিচের ওয়েটিং রুমে বসে সেখান থেকে কিছু নাস্তা অর্ডার করে ইফতারি করে নিলাম। নিচে অবশ্যই ওয়েটিং রুমেও রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থা ছিল। সেখানে বিভিন্ন আইটেমের জোস অর্ডার করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিমের ব্যবস্থা ছিল। ফাস্টফুড জাতীয় যত ধরনের খাবার সেখানে ছিল। এত বড় একটি ভালো মানের রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল সেখানে খাবার দাবারের মান ভালো এবং অনেক বেশি দাম ছিল।

f8.jpg

f9.jpg

দামের বিষয়টা এখানে মূল বিষয় না আমরা সেখানে ইফতারি করতে গেছিলাম ইফতারি করতে না পেরে মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়। আর রমজানের সময় যেহেতু সবাই রোজা রাখেন তাই ইফতারের সময় তারা সবাই পরিমাণ মত ইফতারের ব্যবস্থা করে থাকেন যাতে বাড়তি থেকে না যাই। ইফতারের আগে না গেলে ইফতারি পাওয়া যায় না যদিও পাওয়া যায় খুবই স্বাভাবিক কিছু জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু পছন্দ মত জিনিস পাওয়া যায় না। জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্টে বসেই হালকা করে আমরা ইফতারি করে নিয়েছিলাম। ইফতারি করার পরে ভাবলাম যে যখন আসলাম তখন একটু ঘুরাঘুরি করে দেখি। সেই চিন্তা ভাবনা করে আমি বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েছিলাম সেখান থেকে ঘুরাঘুরি করে।

f.jpg

f1.jpg

যেহেতু রেস্টুরেন্টটি সবে মাত্র ওপেন করা হয়েছে নতুন জিনিস দেখতেও ভালো লাগে। এখানকার ডেকোরেশন অনেক সুন্দর ছিল আমি দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন বের হয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট থেকে তখন তো অবাক কান্ড। বাইরের পরিবেশ এত সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন রাইটিং এর মাধ্যমে একদম জ্বলজ্বল করছিল চারদিকে। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলেই সমুদ্র সৈকত। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হলে ঊর্মি বিজিবি ক্যাফে। আমরা জল তরঙ্গ থেকে ঘোরাঘুরি করে বের হয়ে গেছিলাম। বের হয়ে সোজা উর্মি বিজিবি ক্যাফে হাউসে যাই। যাওয়ার পরে কিছু খাবারের অর্ডার করছিলাম। সেই খাবার খেয়ে আমরা সোজা বাসায় চলে আসি যেহেতু মেয়ের কোচিং ছিল সন্ধ্যার পর তাই আর বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে পারি নাই।

f4.jpg

আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম নতুন একটি রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক হোটেলের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে। হয়তো আপনারা কখনো আসলে সেখানে ঘুরাঘুরি করতে পারবেন অথবা চাইলে আপনারা রুম বুকিং করতে পারেন অনেক ভালো মানের একটি রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের ভিতরে সবকিছু ব্যবস্থা রয়েছে। বিশেষ করে সেখানে সুইমিংপুল রয়েছ আর ব্যুফের ব্যবস্থা রয়েছে। তাছাড়া নরমাল খাবার দাবারের ব্যবস্থার রয়েছে। সময় দিয়ে আমার আজকের ব্লগ দেখার জন্য সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

f10.jpg

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার -জল তরঙ্গ
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফ স্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

আমার পরিচয়


hira.jpeg

আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা। আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

New_Benner_ABB1.png

Sort:  
 5 days ago 

আমাদের এদিকে আকাশ মেঘলা এবং দুপুরের দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। জল তরঙ্গে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। জল তরঙ্গ হোটেলের কথা শুনেছিলাম তবে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুবই ভালো লাগলো। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 days ago 

জল তরঙ্গ হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট অনেক সুন্দর একটি জায়গা আপু নতুন করা হয়েছে।

 5 days ago 

এক হলো নতুন রেস্টুরেন্ট আবার ইফতারের সময় গিয়েছেন, খাবার শেষ হওয়ারই কথা। রমজানে সেখানে গিয়ে ইফতার করতে হলে আসরের নামাজের সাথে সাথেই যেতে হবে। তাহলে ভালো একটা জাগায় ইফতারের সুযোগ পেতেন। যায়হোক নতুন রেস্টুরেন্ট হিসাবে জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্টটি অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ।

 2 days ago 

আপনি ঠিক বলছেন যদি আগে যেতাম তাহলে ইফতারি পাওয়া যেত।

 5 days ago 

বাহ আপু তাহলে তো বেশ ভালো একটা সুযোগ হয়েছে সেখানে যাওয়ার এবং ঘুরাঘুরি করার। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ইচ্ছে করছে এখনই চলে যায় এবং কিছু মুহূর্ত সেখানে কাটাই। আসলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এর কথা যতবার মনে পড়ে ততবার ইচ্ছে করে চলে যাই। আপনার ভাইকে তো সেদিনও বলছিলাম চলো কক্সবাজার যাই।সে বলল এই তো সময় করে হয়তো আবার চলে যাব সবাই মিলে। খুব ভালো লাগলো আপু আপনার আজকের পোস্টটা পড়ে। দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।

 2 days ago 

আপু চলে আসেন আবারও জল তরঙ্গ রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে আড্ডা দিতে পারব।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 64785.95
ETH 3471.44
USDT 1.00
SBD 2.51