সবাইকে শুভ বিকাল,
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা। প্রিয় পরিবারের ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন শীতের দিনে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়াতে। আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আপনাদের দোয়ায় আবারো হাজির হয়ে গেছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বন্ধুরা শত ব্যস্ততা কাটিয়ে কমিউনিটিতে সময় দিতে পারলে খুব ভালো লাগে। তাই সব সময় চেষ্টা করি ব্যস্ততা কাটিয়ে ফ্রী সময় গুলো কমিউনিটিতে কাটানোর। তাই আমি আজকে আবারো হাজির হয়ে গেছি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। সাপ্তাহিক ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করব। এতই ব্যস্ত থাকি রেসিপিগুলো নিয়ে রাখার সময় পাচ্ছি না। তাই যে দিনের রেসিপি সেদিন তৈরি করে দিতে হলে খুবই কষ্ট হয়।
আগে থেকে করা থাকলে তাহলে খুব সহজে দেওয়া যায়। তৈরি করে সে রেসিপিগুলোকে সাজিয়ে রেডি করে প্রেজেন্টেশন করা অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যাক শত কষ্ট হলেও আমরা চেষ্টা করি সব সময় ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজগুলো করার। তাই আমি আজকে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা তো জানেন এখন শীতকাল। শীতকালীন প্রায় সব ধরনের সবজি এখন বাজারে দেখা যাচ্ছে। যদিও সবজির দাম অনেক বেশি একদম ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কিন্তু করার কিছু নেই তারপরও আমাদেরকে খেতে হবে আমাদের পেটের খিদা মেটাতে হবে। হাজার টাকা হলেও প্রয়োজনীয় চাহিদা গুলো মেটাতে হয়। আজকে আমি চিন্তা করলাম যে চিংড়ি মাছ দিয়ে পাতা কপি ভাজা করব। পাতাকপি ভাজা খেতে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খেতে দারুন হয় আর তেমনি রুটি কিংবা পরোটার সাথে খেতে পারলে আরও অনেক ভালো লাগে।
তাই এই শীতকালীন সিজনে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে রুটি পরোটা কিংবা ভাত খাওয়ার চেষ্টা করি। অনেকদিন যাবত পাতাকপি ভাজা খেতে ইচ্ছে করছিল। তাই আজকে চিংড়ি মাছ দিয়ে পাতাকপি ভাজা রেসিপি করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ খেতে অনেক ভালো লাগছিল খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়ে নিলাম। সেই রেসিপিটি আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। গরম গরম খেতে খুবই ভালো লাগছিল। যেহেতু আমি একটু ঝাল করে তৈরি করেছিলাম। সেই রেসিপিটি আমি আপনাদের সাথে আজকে ধাপ ধাপে শেয়ার করে নেব কিভাবে তৈরি করেছি—
রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি।
পাতাকপি- ১ কেজি।
চিংড়ি মাছ।
পেঁয়াজ কুচি- ২টি।
রসুন কুচি- ৩ কোয়া।
হলুদের গুঁড়া- ১ চামচ।
কাঁচা মরিচ ফালি- ৪/৫ টি।
জিরা গুঁড়া - হাফ চামচ।
ধনে গুঁড়া- ১ চামচ।
লবণ- স্বাদমত।
ধনে পাতা।
সরিষার তেল- পছন্দমত।
চিংড়ি মাছ আর পাতাকপি ভাজি রেসিপি তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
যেহেতু আমি রেসিপি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো আগে থেকে রেডি করে রেখেছি এখন সরাসরি রান্নার ধাপে চলে যাব। রান্না করার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। সেই পাত্রে তেল দিয়েছি পরিমাণ মত। তেল গরম হয়ে আসলে সেখানে কুচি করে রাখা পেঁয়াজ, রসুন এবং কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে দিব।
রান্নার ধাপ-২
পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ দেওয়ার পরে সামান্য পরিমাণ লবণ দিলাম যাতে তাড়াতাড়ি সফট হয়ে আসে। এরপর নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। কিছুক্ষণ পরে চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে পেঁয়াজের সাথে ভেজে নিয়েছি ভালোভাবে।
রান্নার ধাপ-৩
আপনারা এই ধাপে দেখতে পাচ্ছেন আমি চিংড়ি মাছগুলোকে নেড়েচেড়ে ব্রাউন কালার করে ভেজে নিয়েছি। যখন ভেজে নেওয়া শেষ তখন মসলাগুলো দিয়ে দিলাম। মসলা দেওয়ার পরে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিব।
রান্নার ধাপ-৪
যেহেতু সব উপকরণ দেওয়া শেষ ভালোভাবে কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিতে হবে। যখন সব উপকরণ সিদ্ধ হয়ে আসে তখন কুচি করে কেটে ধুইয়ে রাখা পাতাকপি গুলো দিয়ে দিব। ভালোভাবে সব উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি বেশ কিছুক্ষণ।
রান্নার ধাপ-৫
যখন পারফেক্ট হয়ে আসে তখন কুচি করে রাখা ধনে পাতা গুলো ছিটিয়ে দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো।
রেসিপির পরিবেশনা
এতক্ষণ যেহেতু সময় দিয়ে রান্না করেছি এখন রান্না শেষ অবশেষে গরম গরম পরিবেশনের পর্ব। তাই একটি বাটিতে নিয়ে নিলাম বেশ সুন্দর করে। যে রেসিপির পরিবেশনা যত সুন্দর সেই রেসিপি খেতে তত বেশি আগ্রহ বেড়ে যায়। আমি একটি বাটিতে গরম গরম পাতাকপি ভাজা নিয়ে নিলাম। আপনাদেরকে রেসিপিটি শেয়ার করে নিলাম। বন্ধুরা গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগছে আমার খেতে। বিশেষ করে এই ধরনের পাতাকপি ভাজি গরম গরম পরোটা কিংবা রুটির সাথে খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। যাক দুপুরে যেহেতু রান্না করেছি বেশ ভালো লেগেছে গরম ভাতের সাথে খেতে। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আপনাদের কেমন লাগলো মতামতের মাধ্যমে জানালে অনেক বেশি ভালো লাগবে।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
শীতকাল মানেই হলো এরকম শাক-সবজির মিলনমেলা।এই সময়ে এইরকম শাকসবজি গুলো খেতে ভালো লাগে। মোটামুটি শীতকালের সময়টাই তৃপ্তি সহকারে ভাত খাওয়া যায়। আর আপনি তো একদম মজার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে যদি ভাজি করা হয় তাহলে তো মজা হবে নিশ্চয়ই ।
শুধু বাঁধাকপি নয় আপু শীতকালীন সব ধরনের সবজি আমার অনেক ভালো লাগে।
চিংড়ি মাছ আর পাতাকপি ভাজির ঝাল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আসলে চিংড়ি মাছ আমি খুবই পছন্দ করি, যার কারণে রেসিপিটা দেখেই ভালো লাগলো।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো সবজি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
বাঁধা কপি আমার ভীষণ পছন্দের শীতকালীন সবজি।অসাধারণ সুন্দর লাগে খেতে এই রেসিপিটি। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে দারুণ করে বাঁধা কপির রেসিপি করেছেন এবং রন্ধন প্রনালী দুর্দান্ত ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
শীতকালে বাঁধাকপি খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে একটু ঝাল করলে খেতে দারুন হয়।
শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি আমার ভীষণ ভালো লাগে। বাঁধাকপি ভালো করে কুচি করে কাটতে পারি না জন্য খুব একটা বাঁধাকপি খাওয়া হয় না আমার। তবে বাড়িতে গেলে প্রায় প্রায় মা রান্না করা বাঁধাকপি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। বাঁধাকপির সাথে চিংড়ি মাছ দুটি খাবারই আমার ভীষণ প্রিয়। তবে এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। চিংড়ি মাছের সাথে বাঁধাকপির কম্বিনেশন টা আমার কাছে দারুন লাগলো। দারুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম। সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার মতামত পড়ে। যেহেতু আপনার পছন্দের রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করতে পেরেছি।
আপু চিংড়ি মাছ দিয়ে যা কিছু রান্না করি না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে পাতাকপি দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি।খেতে নিশ্চয় অনেক মজা হয়েছিল। কালারটা দারুণ এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রান্না করে দেখবেন আপু পাতাকপি ভাজি। খেতে দারুন হয় আপু।
পাতাকপি ভাজি খেয়েছি কিন্তু কোনদিন চিংড়ি মাছ দিয়ে এভাবে পাতাকপি রান্না খাইনি । আসলেই আপনার রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে ।ধনেপাতা ব্যবহার করার কারণে রেসিপিটার
স্বাদু আরো বেশি বেড়ে গিয়েছে ।ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।
শুধু মজা না আপু খেতে দারুণ হয়েছিল।
বাঁধাকপির এমন ঝাল কখনও করিনি। তবে চিংড়ি দিয়ে তরকারি করেছি৷ আর সবজিতে চিংড়ি দিলে তার স্বাদ অনেক বেশি বেড়ে যায়৷ আপনার রান্নাটিও বোধকরি খুবই সুস্বাদু হয়েছিল৷
সবজি যদি মিষ্টি মিষ্টি হয় তা ভালো। তার চেয়ে একটু ঝাল হলে আরো খেতে ভালো লাগে।
আমার কাছে তো এরকম রেসিপি খেতে অসম্ভব ভালো লাগে। দেখে তো বুঝতেই পারছি এটা অনেক বেশি মজাদার হয়েছিল। সবাই একসাথে খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। এখন যদি পেতাম তাহলে তো মজা করে খেতে পারতাম। যারা কখনো এই রেসিপিটা তৈরি করেনি তারা সহজে এটা শিখে নিতে পারবে। নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছেন এই মজার রেসিপিটা। সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন এখানে রেসিপি শেয়ার করলে আমাদের সবার জন্য খুবই সুবিধা হয়। তা দেখে আমরা রান্না শিখে নিতে পারি।
চিংড়ি মাছ আর পাতাকপি ভাজির ঝাল রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। খুবই ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা এ রেসিপিটা দেখে। যেহেতু চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের তাই আপনার তৈরি করা রেসিপিটা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে।
ধন্যবাদ যে কোন কাজের প্রতি প্রশংসা পেলে অনেক ভালো লাগে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। এমনিতেই পাতাকপি ভাজি করে খাওয়া হয়েছে কিন্তু কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। সময় এবং সুযোগ করে অবশ্য একদিন এই রেসিপিটা তৈরি করব। ধন্যবাদ আপু এরকম মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু তাহলে বেশ ভালো হলো এভাবে রান্না করে দেখবেন একদিন।