লাইফ স্টাইল- টপ টেন শোরুম থেকে জুতা কেনার অনুভূতি।
সবাইকে শুভ সন্ধ্যা!
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে ভালো আছেন শত ব্যস্ততার মাঝেও দিনকাল ভালো যাচ্ছে এই প্রত্যাশা করি। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি শত ব্যস্ততার মাঝেও ভালো থাকার চেষ্টা করি। সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয় বিভিন্ন কাজ নিয়ে। তারপরেও চেষ্টা করি শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের পছন্দের কাজ গুলো করে নেওয়ার। বর্তমানে আমার পছন্দের এবং ভালো লাগার কাজ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার ক্রিয়েটিভিটি গুলো শেয়ার করার। এই কাজ গুলো করতে না পারলে মানসিকভাবে অনেক চাপে থাকি নিজেকে নিয়ে। কারণ সবার সাথে যদি নিজের ভাল মন্দ শেয়ার করতে পারি কিছুটা হালকা মনে করি।
তো বন্ধুরা আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগিং নিয়ে। আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের ব্লগিং ভালো লাগবে। তো বন্ধুরা আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে শেয়ার করব তা হচ্ছে পছন্দের কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত। আসলেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার শেষ নেই বললেই চলে। একটা জিনিস যখন কেনা হয়ে যায় চাহিদা শেষ হয়ে যায় নতুন করে আবার চিন্তা ভাবনা শুরু হয়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে চাহিদাটি নতুন করে সৃষ্টি হয়। তো কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম এক জোড়া জুতা নিব। কারণ ব্যবহারের জুতা গুলো একটু পুরাতন হয়ে গেছে। যেহেতু বাচ্চাদেরকে নিয়ে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হয়। তাছাড়া ও কোন জরুরী কাজেই এদিক ওদিক যেতে হয়। নিয়মিত বের হওয়ার জুতা গুলো অকেজো হয়ে গেল। অকেজো বলতে পরতেই পারি ভালো লাগছিল না আরকি! তো ভাবছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে জুতার জন্য বের হব।
তো একদিন আমার সাহেব বলল টপ টেন শো রুমের মধ্যে বিশাল একটি ছাড় দেওয়া হয়েছে। আসলে টপ টেন শো রুমে আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তো ভাবলাম একদিন যাব। যেহেতু এর আগেও মেয়েরা ওদের বাবার সাথে যেয়ে ঘুরে আসল। কিন্তু আমার কখনো যাওয়া হয়নি। একটা শহরের মধ্যে অনেক গুলো শো রুম থাকতে পারে। কিন্তু সবগুলোতে যাওয়া হবে তার কোন মানে হয় না। তো ভাবলাম একদিন যাব সেই ভাবনা থেকেই একদিন চলে গেলাম দুই মেয়েকে নিয়ে শোরুমে। যেহেতু বাড়ির কর্তার অফিস টাইম ছিল সেই জন্য উনি অফিসে ছিলেন। বিশেষ করে উনার সাথে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে বাচ্চারা বেশি ডিস্টার্ব করে। তাই চেষ্টা করি আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কারণ বাচ্চারা আমার কথা যতটুকু শুনে বাবার কথা একদম শোনে না। তাই শুধু শুধু অযথা খরচ করে ফেলে বাবাকে পেলে। গিয়ে দেখি আসলেই ৭০% ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে। দেখে বেশ ভালো লাগলো।
সোজা জুতার কর্নারে চলে গেলাম। কিন্তু অনেক গুলো জুতা রাখা হয়েছে। এত বড় একটি জুতার কর্নার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। তাছাড়া অনেক জন স্টাফ আছে এই শোরুমের মধ্যে। আমি তো ভিতরে ঢুকে অবাক কান্ড! মুগ্ধ হওয়ার মত একটি পরিবেশ! এত শীতল একটি পরিবেশ বলতে গেলে কোন গ্যাঞ্জাম ছিল না। যেহেতু আমি বিকাল টাইমে গেছিলাম ওই সময় আসলে লোকজনের গ্যাঞ্জাম একটু কম থাকে। সন্ধ্যার পর পরই লোকজন আসতে শুরু করলো। তো সত্যি কথা বলতে এত জুতার ভিতর ও আমার পছন্দের জুতা গুলো আমার পছন্দ হলো না।
বিশেষ করে এখানে ব্রাইডাল জুতা গুলো বেশি ছিল। তাছাড়া যেগুলো সো জাতীয়তা এবং কেচ জাতীয় জুতা সেগুলো বেশি ছিল। অন্যান্য জুতা গুলো আমার তেমন পছন্দ হয়নি। তবে যেগুলোতে ৭০% করে ডিসকাউন্ট দেওয়া হয়েছে সেগুলো যদি জুতা পছন্দ হয় তাহলে সাইজে হয় না। এখন কি আর করার সোজা বের হয়ে যাব সেই চিন্তা করলাম। ঘটে গেলো আরেক কান্ড সেখানে! বাচ্চারা কাপড় দেখা দেখি শুরু করে দিল। বরাবরের মতো যা হয় কাপড় কিনতে যায় আমি কিংবা জুতা কিনতে যায় আমি। কিন্তু শেষমেশ বাচ্চারা নিয়ে চলে আসে। যেহেতু জুতা নেওয়া হলো না অন্যদিকে চলে গেলাম বাচ্চাদের আইটেম দেখার জন্য। তো বন্ধুরা আজ এটুকুই। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে আমার আজকের ব্লগ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার, টপ টেন শোরুম |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/7r133w
নতুন নতুন শোরুমে ঘুরে জুতা বা অন্য কিছু কেনার মজাই অন্য রকম। আর এই সময় দোকানগুলোতে ডিকাউন্ট চলে বেশি। আর নিজের জন্য জুতা কিনতে গিয়ে পছন্দ না হওয়াতে না কিনেই চলে এলেন। কিনতে গিয়ে পছন্দ না হলে বেশ খারাপ লাগে। কেননা আরেকদিন বের হতে শপিং এর জন্য। যা খুবই বিরক্তিকর। শপিং করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন আপু ডিসকাউন্টে কিনতে পারবো মনে করেছিলাম। কিন্তু কিনতে পারি নাই হা হা হা।
আসলে শো রুম থেকে নিজের পছন্দমতো ভালো মানের জুতা কিনতে পারলে খুব ভালো লাগে। আপনি জুতা কিনতে শো রুমে গিয়েছে জেনে খুব ভালো লাগলো। শপিং করার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শো রুম থেকে না কিনে যদি অন্য জায়গা থেকে কেনা হয় আসলে ঘুরতে ঘুরতে সময় গুলো নষ্ট হয়ে যায়।
জুতো গুলো দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর আপু। তবে আমাদের এখানেও ওই একই রকম ব্যাপার। যদি জুতার উপরে ৭০% এর উপরে ছাড় দেয় তাহলে হয় আপনি সাইজ পাবেন না, অথবা আপনার পছন্দমত জুতো খুঁজে পাবেন না এটাই হয়। যদিও খারাপ লাগছে যে আপনি শেষ পর্যন্ত জুতো কিনতে পারেননি।
একদম ঠিক বলছেন আপু সাইজে মিলানো খুবই মুশকিল হয়ে যায়।
Twitter