রেসিপিঃ- পাউরুটির সাথে ডিম মামলেটের সুস্বাদু রেসিপি।
জুমা মোবারক সবাইকে,
আসসালামুয়ালাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ছুটির দিনে সকলের দিনকাল বেশ ভালই যাচ্ছে? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আপনাদের দোয়ায়। মনে হচ্ছে শীতের তীব্রতা একটু কমেছে আজকে তাই মনে হচ্ছে আমার কাছে। আমাদের এদিকে অনেক রোদ দেখা দিয়েছে। তো আপনাদের কি অবস্থা অনেকের কাছ থেকে শুনলাম বৃষ্টি হলো কিন্তু আমাদের এদিকে হয়নি। যাক এটা সৃষ্টিকর্তা বেশ ভালই বুঝবেন। যখন যেটা করেন উনি সব ভালোর জন্যই করেন। অবশেষে উপস্থিত হয়ে গেলাম আপনাদের সাথে আজকের ব্লগিং নিয়ে। সারাদিন তো ব্যস্ত থাকতে হয় আপনারা অবশ্যই জানেন। যেহেতু সকাল থেকেই রান্নার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। অনেক বাজার সাজার হলো সেগুলো ঠিকঠাক করলাম। রান্না করলাম এরপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ফ্রি হয়ে আপনাদের সাথে যুক্ত হয়ে গেছি।
পাউরুটির সাথে ডিম মামলেটের সুস্বাদু রেসিপি।
তো বন্ধুরা সব সময় আমরা চেষ্টা করি আমাদের প্রিয় খাবার গুলো তৈরি করার। যখন বিকেল বেলায় ভিন্ন ধরনের কিছু তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে বেশ ভালোই লাগে। যেহেতু বাচ্চারা আছে তারা একই জিনিস দুইবার দিলে খুব বেশি বিরক্ত বোধ করে। তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি ভিন্ন কিছু তৈরি করার। তো দুই একদিন আগে আমি এই রেসিপিটি তৈরি করেছিলাম। পাউরুটি দিয়ে ডিম মামলেট খেতে খুবই ভালো লাগছিল। এই রেসিপিটি আমি নিজের আইডিয়া থেকে করেছি। বাচ্চারা তো খেতে খুবই পছন্দ করেছে। আবারো তৈরি করার জন্য বলল আমাকে। তবে আমারও দারুন লেগেছে খেতে। যেমন মুখরোচক খাবার তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী একটি নাস্তা বিকেল বেলার। পাউরুটি এবং ডিমের সমন্বয়ে মজাদার রেসিপিটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে দেখাচ্ছি।
তাহলে বন্ধুরা শুরু করা যাক আজকের রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি সমূহঃ-
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
পাউরুটি- ৭/৮ পিস।
ডিম- ২টি।
কাঁচা মরিচ- ৩/৪ টি।
পেঁয়াজ কুচি -১ টি।
পেঁয়াজ পাতা কুচি - অল্প।
ধনে পাতা কুচি- অল্প।
লবণ- স্বাদমত।
চিনি - ১ চামচ।
সয়াবিন তেল- পরিমাণ মত।
পাউরুটি আর ডিম মামলেট নাস্তা তৈরির ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে আমি দুইটা ডিম ফেটে নিলাম। পেঁয়াজ কুচি, পেঁয়াজ পাতা কুচি, ধনে পাতা কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি করে নিলাম। এরপর অল্প লবণ এবং এক চামচ চিনি নিলাম। সব উপকরণ একত্রে নিতে হবে।।
রান্নার ধাপ-২
এখন ডিমের সাথে সব উপকরণ গুলো ক্রমান্বয়ে দিয়ে দিলাম। দেওয়ার পরে ভালমত মিক্স করে নিতে হবে। সব মিক্স করে নিলাম।
রান্নার ধাপ-৩
এখন পাউরুটি গুলো নিলাম। পাউরুটি নিয়ে ছুরির সাহায্যে পাউরুটির মাঝ অংশ টা নিয়ে নিলাম।এখন ফ্রাই প্যান চুলায় বসায় দিলাম। তাতে তেল দিলাম গরম হওয়ার জন্য। তেল গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো।
রান্নার ধাপ-৪
তেল গরম হয়ে আসলে পাউরুটি দিয়ে দিলাম। এরপরে মেখে রাখা ডিমের মামলেট দিয়ে দিলাম চামচের সাহায্যে। এখন ভেজে নিতে হবে। পাউরুটি যাতে ভালো মতো ভাজা হয় এবং ভেতরের ডিম যাতে ভালো ভাবে ভাজা হয় সেজন্য ভালোভাবে উল্টিয়ে দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে। যখন পারফেক্ট ভাবে হয়ে আসে তখন নামায় ফেলবো। এভাবে ধাপে ধাপে সব গুলো পাউরুটি আর ডিম ভেজে নিব।
রান্নার ধাপ-৫
এভাবে সব গুলো পাউরুটি আর ডিম মামলেট ভেজে নেওয়ার পরেই একটা বাটিতে নিয়ে নিলাম। যখন ভেজে নেওয়া শেষ হয়ে যায় তখন আমি পাউরুটি গুলোকে কেটে দুই টুকরো করে নিলাম। সেই সাথে পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটের মধ্যে সাজিয়ে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
বিকেলের নাস্তায় এই রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। সত্যি আপনারা না খেলেই বুঝবেন না কতটা স্বাদের। বাচ্চারা তো অনেক খুশি হয়েছিল। তাই তারা বারবার বলছিল এই খাবারটা যেন আবারো তৈরি করে দিতে তাদেরকে। তো আমি রেসিপিটা আপনাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করলাম। আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন এভাবে। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদেরকে দিলে তারা খুব বেশি পছন্দ করবে। আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে খেতে। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি বিকেল বেলার নাস্তায়। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।
![268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUD3WR1TT66vwU4urXWaDDDT53AxDyK2LK8qqZmeDdiKb/268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png)
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
![268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUD3WR1TT66vwU4urXWaDDDT53AxDyK2LK8qqZmeDdiKb/268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png)
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
আমাদের এখানেও প্রতিদিন বেশ সুন্দর রোদ উঠে দুদিন থেকে।আপনার পাউরুটি দিয়ে চমৎকার লোভনীয় হয়েছে মামলেট। চমৎকার লাগছে ফটোগ্রাফিতে।গরম গরম এরকম পাউরুটি দিয়ে ডিম মামলেট খেতে দারুন দারুণ লাগে।ধাপে ধাপে সুন্দর করে তৈরি পদ্ধতি তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।এভাবে ডিমের সাথে ঝাল পাওয়া রুটির মামলেট তৈরি করেছেন। মাঝেমধ্যে এই রেসিপিটি তৈরি করে খাই। রেসিপিটি তৈরি করতে সময় কম লাগে এবং খেতেও আমার কাছে ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। বিকেলের নাস্তা খেতে বেশ জমে যাবে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বিকেল বেলায় এই নাস্তাটি খেতে এতই ভালো লাগে আপু বলে বোঝাতে পারবো না। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, আপনি ঠিকই বলেছেন, বাচ্চাদের একই জিনিস বারবার দিলে খেতে চায় না তাই খাবারের ভিন্নতা আনলে রুচি সহকারে খায়। আর তাইতো আপনার তৈরি পাউরুটির সাথে ডিম মামলেট রেসিপি খুব মজা করে খেয়েছিল। খুবই মজার রেসিপি তৈরি করেছিলেন আপু, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক ভাইয়া একই খাবার দ্বিতীয়বার দিলে খুব বেশি ঝামেলা করে। সময় দিয়ে দেখলেন ভালো লাগলো।
আপু আপনার নাস্তা রেসিপি দেখে আমার একদম খেতে ইচ্ছে করছে। পাউরুটির দিয়ে ডিমের রেসিপি দারুন তৈরি করেছেন। সত্যি বলতে এই নাস্তাটা আমরা সবাই খুবই পছন্দ করি । তাছাড়া আপনি যেভাবে পাউরুটির মাঝখানে ডিম দিয়ে রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখতেও অসাধারণ লাগছে। ভাবছি আপনার মত করে এই রেসিপিটা একদিন তৈরি করব।
চলে আসেন আপু আবারো তৈরি করে আপনাকে গরম গরম খাওয়াবো।
ডিম দিয়ে ঝাল পাউরুটি তৈরি করেছেন। আসলে এই মুখরোচক খাবার গুলো দেখতে ও খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে আমার বাচ্চারা শুধু মিষ্টি দিয়ে খায় তাই এমন ঝাল করে পাউরুটির মামলেট খাওয়া হয় না, আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ অপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি চিনি এবং ঝাল দুইটা মিক্স করেছি আপু তেমন ঝাল হয়নি।
পাউরুটি ডিমের মামলেট আমারও খুব প্রিয়।
মাঝে মাঝে এমন মজাদার খাবার বিকেলের নাস্তায় প্রস্তুত করে খাওয়া হয়।
আপনার প্রস্তুত করা পাউরুটি ডিমের মামলেট এর ফটোগ্রাফি এবং বর্ণনা পড়ে খুবই লোভ লেগে গেল।
খেতে খুব মজা হয়েছিল নিশ্চয়ই।
এভাবে যদি ভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় তাহলে অনেক বেশি স্বাদ পাওয়া যায় খাবারের।
আপু ঢাকার অবস্থাও আজ ভালো ঝলমলে রোদ উঠায় ঠান্ডা একটু কমেছে। যাই হোক পাউরুটির এই রেসিপি খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আমার ছেলেও খুব পছন্দ করে তবে সে ঝাল ছাড়া খাবে। আপনার এমন মজাদার রেসিপি দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। সকাল কিংবা বিকালের নাস্তায় এই রেসিপি খেতে খুব ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু এখানেও এমন অবস্থা কুয়াশার পরিমাণ কমে গেছে। নাস্তা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।
আহ্ কি রেসিপি দেখালেন আপু, আপনার রেসিপি দেখে তো আমার এখন খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের নাস্তা পেলে তো আর কিছুই লাগেনা। পাউরুটি আর ডিম আমার খুবই পছন্দের একটি নাস্তা। আমি তো এই নাস্তাটা অনেক বেশি খেয়েছি। কিন্তু সেটা তৈরি করার পদ্ধতি আলাদা। তবে আপনি যেভাবে তৈরি করলেন সেভাবে একদিন আমাদের ঘরে তৈরি করতে বলব। এত সুন্দর একটা নাস্তা পরিবেশন করার জন্য ধন্যবাদ।
চলে আসলে তো মন্দ হয় না ভাইয়া। রেসিপিটি খুব ঝটপট তৈরি করে খাওয়া যায়।
বাহ আপু অসাধারণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন তো। আমি তো বেশিরভাগ সময় ডিম, দুধ এবং চিনি দিয়ে মিক্স করে এই পাউরুটি ভেজে খেয়ে থাকি। কারণ এটা আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তবে এভাবে ঝাল ঝাল করে কখনো খাওয়া হয়নি। তার মাঝে আবার আপনি ভিন্নভাবে তৈরি করেছেন,দারুন লেগেছে। এইতো কিছুদিন পর আসছি আপনার বাসায় নিশ্চয়ই মজার মজার খাবারগুলো খেতে পারব।
এই পাউরুটির নাস্তাটি খুবই মজার ছিল আপু। আপনি চাইলে একবার তৈরি করে খেতে পারেন অনেক সুস্বাদ।
আজকে আমাদের এইদিকেও রোদ দেখা গেল। দুইদিন আগে আমাদের এদিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে পাওয়া রুটি এবং ডিম দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি করেছেন। এই রেসিপিটি আমার খুব প্রিয়। তবে এই রেসিপি ছোট-বড় সবাই খেতে অনেক পছন্দ করে। বিকেলবেলা এ ধরনের নাস্তা হলে খেতে খুব মজা লাগে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আস্তে আস্তে শীত কমে যাচ্ছে আপু। রেসিপিটি ভালো লাগলো আপনার ধন্যবাদ।