ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনে কাটানো কিছু মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম!


ra.jpg

সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম নতুন একটি ব্লগিংয়ে। আশা করি দিনের শুরুতে সকলেই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে আমিও ভাল আছি। নতুন একটি দিন শুরু হল আবারও জীবনের। তো সবার দিনটি ভালো কাটুক সুস্থ থাকুন সবাই সে প্রত্যাশা করি। আজকে নতুন একটি ব্লগিং শেয়ার করব আপনাদের সাথে। নিশ্চয়ই আপনাদের কাছে আমার আজকের ব্লগ ভালো লাগবে। প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন কিছু শেয়ার করতে বেশ ভালোই লাগে। সেই মোতাবেক আজকে নতুন একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ra3.jpg

ra5.jpg

ভালো-মন্দ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে খুবই ভালো লাগে। আসলে জীবন মানে হচ্ছে ভালো মন্দ মিলিয়ে। সব সময় যে ভালো থাকবো তেমন প্রত্যাশা আমি করিনা। আবার সব সময় খারাপ থাকবো তাও আমি হতাশ হয় না। জীবনে বিপদ আপদ আসবে কিংবা ভালো মন্দ আসবে। সব কিছুর সাথে মোকাবিলা করে আমাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এটার নাম হচ্ছেই জীবন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত। আসলে মেয়েটা এখনো ছোট এইত কিছুদিন আগে দুনিয়াতে আসলো। হঠাৎপাঁচ বছর পূর্ণ হল। তো দুই এক মাস আগে থেকে দিন তারিখ সেই গুণতে থাকছিল। কখন তার জন্মদিনের তারিখ আসবে।

মেয়েতো আমাকে বলে রাখছিল তার জন্মদিন যেন বড় করে করা হয়। আসলে আমি একজন একা মানুষ সবগুলো সামলাতে আমার খুবই কষ্ট হয়। তাছাড়া গ্রামে হলে একটা খুবই সুবিধার হয়। সেটা হচ্ছে যে সবাই মিলিয়ে একটু সহযোগিতা করে। কিন্তু শহরের মধ্যে তেমন কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় না। সবাই যার যার মত ব্যস্ত থাকেন। যদি কারো সহযোগিতা নিতে হয় তাহলে কোন কাজের মহিলা ডাকতে হয়। তাছাড়া তাদের কাজ গুলো আমার একদম পছন্দ হয় না। যদিও পছন্দ হয় না কিন্তু মাঝে মাঝে নিয়ে আসি কাজের মেয়ে গুলোকে। যদি কিছু ভারি কাজ থাকে সেগুলো করাই নিই।

ra1.jpg

ra2.jpg

তো সেদিন আগস্টের ৯ তারিখ ছিল। আপনাদেরকে অনলাইন ইনকামের কথা পোস্টে আমি শেয়ার করেছি। একদিন মিলাদ দিয়েছি সেদিনই আমার মেয়ের জন্মদিন পালন করেছি। আসলে আমি প্লান করে রাখছিলাম যেইদিন মেয়ের জন্মদিন হবে মিলাদ সেদিনই দিব। যদিও টাকাগুলো উইথড্র করেছিলাম দশ পনেরো দিন আগে। কিন্তু আমি ঠিক করে রেখেছি মেয়ের জন্মদিনের সময় মিলাদ দিব। তো সেই সুযোগে আমি দশজন হুজুর ডেকে এনে মিলাদ পড়াই।

এরপর তাদেরকে খুব ভালোভাবে খাওয়া দাওয়া করায়। হুজুরদেরকে আমি দুপুর বেলায় খাওয়া-দাওয়া করিয়ে শেষ করে দিলাম। এবং তাদের টাকা ও দিলাম খুশিমত। এরপরে বিকালের শিফটে আরো কিছু লোকজন আসছিল।মেয়ে আবদার করছিল তার জন্য লাল একটি কেক অর্ডার করতে হবে। তো আমাদের পরিচিত এক ভাবীর কাছ থেকে আমি কেক অর্ডার করি। সেই সাথে আমি কিছু টুকটাক নাস্তা এড করি কেকের সাথে। আসলে তৈরি করব সে সুযোগ আমার ছিল না। একদিকে সংসারের কাজকর্মগুলো। অন্যদিকে ব্লগিংয়ের কাজগুলো সব মিলিয়ে আমি যেন হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম।

ra3.jpg

ra4.jpg

ra7.jpg

তাছাড়া ২০/৫০ জন মানুষের খাবার রেডি করা একজনের পক্ষে খুবই কষ্টকর। তাও আমি দুই একদিন আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আস্তে আস্তে রেডি করে সব ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিলাম যেগুলো আগে করলে সমস্যা হবেনা এমন কাজ। বাকি গুলো সেই দিন ভোর সকালে উঠে করে নিলাম। তো আমার এক আন্টি ছিল আমার খুব ঘনিষ্ঠ তাকে খুব তাড়াতাড়ি আসতে বলছিলাম বাচ্চাদেরকে নিয়ে। আন্টি এবং আঙ্কেল চলে এসেছিল বাচ্চাদের নিয়ে। কারণ আমার হাজবেন্ড উপস্থিত ছিল না বাসায়। অফিসে গিয়েছিল তাই হুজুরদেরকে সামলানো আমার কষ্ট হয়ে যাবে। সেই জন্য আঙ্কেল আন্টি আমাকে অনেক বেশি সহযোগিতা করেন।

সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি। মেয়েরা অনেক বেশি আনন্দ করেছিলেন। তাছাড়া মেয়ে যেহেতু বলছিল ওর জন্মদিন অনেক লোক জনকে আমন্ত্রণ করতে হবে। আমি একটু চিন্তায় পড়ে গেছিলাম। আসলে এই শহরে সবাই অনেক বিজি থাকে। তাছাড়া এখন সবাই ব্যস্ত মানুষ অত বেশি ফ্রি টাইম ফেস করে না কেউ। তো কাছের কিছু আত্মীয়-স্বজনদেরকে বলে রাখছিলাম। তারা সবাই আসছিল মেয়ের সাথে অনেক বেশি আনন্দ করেছে সবাই মিলে। মূল কথা হচ্ছে যে মেয়ে যাতে আনন্দ পায় সেই বিষয়টা করেছিলাম।

ra6.jpg

ra8.jpg

অবশেষে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে চলে গেল। এবং আমার ফ্রি হতে রাত প্রায় ১টা পেরিয়ে গেছিল। রাতে ঘুমাই যাই বাকি কাজ গুলো আমি সকালে আস্তে আস্তে করে নিয়েছি। একজন কাজের মহিলাকে ডেকে বাকি কাজগুলো সেরে নিয়ে নিলাম। এই হচ্ছে আমার ছোট মেয়ের জন্মদিনের মুহূর্ত। আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আগামী জানুয়ারিতে স্কুলে ভর্তি করায় দিব। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationবাসা কক্সবাজার
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিলাইফস্টাইল


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW7DiLvzq9baKkST8T1mkhiizFXSFVv2PXDydTeMWpnYK2gToiY733FT9uwSdBSXWz7RnGmzsa8Pr9pGoyYaQFsuS3p.png

Polish_20230713_210902326.png

Sort:  
 last year 

প্রথমেই আপনার ছোট মেয়ের রাইদাকে তাকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।সে অনেক বড় হোক এবং মানুষের মত মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক।আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুক।কার জন্মদিনে এই প্রার্থনাই করি তার জন্য।রাইদার জন্মদিনের সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার মেয়ের জন্য এত সুন্দর একটি প্রার্থনা করার জন্য।

 last year 
 last year 

আপু আপনার মেয়ের জন্মদিন ৯ই আগস্ট, আর আমার ছেলের জন্মদিন ৫ই আগস্ট। আর ওদের দুজনেরই পাঁচ বছর পূর্ণ হল। আমিও আপনার মত ছোট্ট পরিসরে ছেলের জন্মদিনটি পালন করেছিলাম। তাই আজ আপনার পোস্টে ছোট্ট সোনামণি রাইদার জন্মদিনের ফটোগ্রাফি দেখে সেদিনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তবে আপু, আপনি কিন্তু খুব ভালো কাজ করেছেন নিজে রান্না করে হুজুরদেরকে খাইয়ে দিয়েছেন। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। রাইদা মামুনির জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এবং শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

 last year 

আপু প্রথমে জানাই আপনার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রতিটা মা চাই তার মেয়ে ছেলের জন্মদিন প্রত্যেক বছর বেশ ধুমধাম করে আয়োজন করা হোক। ছোট মেয়ের জন্মদিনে অনেক মানুষকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করেছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আগামী দিনগুলো যেন তার সুন্দরভাবে অতিবাহিত হয় এই কামনাই করি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

জ্বী ভাইয়া চেষ্টা করি কম-বেশি সবাইকে এই দিনে খাওয়ানোর জন্য।

 last year 

ছোট বুড়িটার জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আসলে এই দিনে বাচ্চারা অনেক আনন্দ করে থাকে। আপনার মেয়ের সাথে সাথে সব বাচ্চাদের অনেক খুশি দেখছি। মেয়ের জন্মদিনের মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

প্রথমে আপনার মেয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই শুভ জন্মদিন। আপনার মেয়ে মানুষের মত মানুষ হয়ে আপনাদের মুখ উজ্জ্বল করুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করি। জন্মদিনের খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে পোস্টটি পড়ার জন্য।

 last year 

প্রথমেই রাইদাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। দেখতে দেখতে পাচঁ বছর হয়ে গেল। সময়টা কিভাবে চলে যায় টেরই পাওয়া যায় না। আসলে আপু শহরে সহযোগিতা খুব কমই পাওয়া যায় কারন সবাই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে ভালো লাগলো আপনার টাকা দিয়ে আয়োজন করেছেন সাথে কিছু হুজুর এনে মিলাদ পড়িয়েছেন 🌼

 last year 

সব সময় দোয়া করবেন ভাইয়া আপনাদের ভাগ্নির জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

শুরুতেই আপনার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই৷ ছোট মেয়ের জন্মদিনে আপনি অনেকটাই মজা করছেন দেখছি৷ আপনার মেয়েও বেশ মজা করছে৷ পরিবারের সকলে মিলে একসাথে জন্মদিনের মজা করতে দেখে ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য৷

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অনুপ্রেরণা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য।

 last year 

অনেক ভালো লাগলো আপু আপনার ছোট মেয়ে রাইদার জন্মদিনের পোস্ট পড়ে। আপনার মেয়ের জন্মদিনের জন্য ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল। একা একা সবকিছু সামলানো বেশ কঠিন। জন্মদিনের আয়োজনটাও বেশ সুন্দর করেছেন। নিজের হাতে রান্না করে আপনি হুজুরদেরকে খাইয়ে দিয়েছেন এটা বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

জি ভাইয়া অনেক কিছু করতে মন চাই তবে একজন মানুষ আমি তার জন্য করে উঠতে পারিনা।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65546.28
ETH 2666.01
USDT 1.00
SBD 2.90