কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মেলা- ( তৃতীয় পর্ব)।
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা সবাইকে,
প্রিয় কমিউনিটির সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা সবাই কেমন আছেন? আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। কালকে অনেক ভয়ে ছিলাম কারণ মেয়ের হঠাৎ করে আবারও জ্বর চলে আসছিল। কিন্তু আর দেরি না করে ডেঙ্গু টেস্ট দিতে পাঠিয়ে দিলাম মেয়ের বাবার সাথে। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ আসলো। তো প্রেসক্রিপশনে ওষুধ দিল সেগুলো রাতে খাওয়ালাম। আলহামদুলিল্লাহ সকাল হতে হতে দেখলাম জ্বর একদম চলে গেছে। তো সকালে খাওয়া দাওয়া করে স্কুলে চলে গেল মেয়ে। বন্ধুরা আবারো উপস্থিত হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করব বলে। আমার ব্লগিংয়ে আজকে আপনাদেরকে স্বাগতম জানাচ্ছি। তাহলে শুরু করা যাক আর দেরি না করে।
গত সপ্তাহে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার পর্যটন মেলায় ঘোরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব। তো আমি আজকে উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে তৃতীয় পর্ব শেয়ার করার জন্য। দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করেছিলাম অনেক কষ্ট করে ঘেষাঘষি করে কোন রকম সী বীচের দিকে বের হয়েছিলাম। সেখানে যেয়ে দেখি অবাক কান্ড মানুষের আরো অনেক বেশি ভিড়। আসলেই আমাদের বাংলাদেশ তো সব ধর্মেরই লোক আছে। তো আমাদের তেমন ভেদাভেদ নেই আমরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একে অপরের প্রতি খুব সুন্দরভাবে মেলামেশা করি। তাছাড়া আমাদেরও খুব ভালো লাগে অন্যান্য ধর্মের অনুষ্ঠান গুলোতে যোগ দিতে। কথাটা বললাম এই জন্য এখানে কিন্তু সবাই একত্রিত হয়েছিলাম আমরা মেলায়
বলতে পারেন সবাই আমরা একে অপরের প্রতি সব কিছু ভাগাভাগি করে নিই। তো এখানে সব ধরনের লোকের সমাগম ছিল। দেখলাম বীচে হাওয়ায় মিঠাই বিক্রি করতেছে। বাচ্চাদের তো এই হাওয়াই মিঠাই এর প্রতি অনেক বেশি আকর্ষণ। বাচ্চাদের কেন হবে না? আসলে আমরা তো ছোট বেলায় অনেক খেয়েছি তাই না? আমার তো এখনো অনেক বেশি টান আছে হাওয়াই মিঠাই এর প্রতি। যখন বাচ্চারা খাই তখন সেখান থেকে একটু একটু নিয়ে খাই খুব ভালো লাগে খেতে। তো বাচ্চারা কান্না করছিল হাওয়াই মিঠাই খাওয়ার জন্য সেখান থেকে নিয়ে দিলাম। আসলে ওদের বাবা একদম দিতে চাইনা। কিন্তু আমি তো বুঝি অনুভূতিটা কি জিনিস যাক একটু খেলেই এত বেশি শরীর খারাপ করবে না।
তারপরে নাগরদোলা দেখলো বাচ্চারা একদম লাফালাফি শুরু করে দিল। তখন দুইজনকে নিয়ে ওঠে গেলাম নাগর দোলায়। এর আগে তো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আসলে দোলনায় আমি একদম চড়তে পারি না। তো যেহেতু ওদের বাবা ছিল না তখন আমাকে বাধ্য হয়ে উঠতে হলো। এখন দোলনা যখন চালানো শুরু করে দিল তখন আমি মুখ একদম ওড়না দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলাম। কারণ এত বড় একজন মানুষ আমি চিল্লাচিল্লি করলে তো আর ইজ্জত সম্মান কিছু থাকবেনা। আমার কান্ড দেখে মেয়ে হাসছিল। তখন কোন রকম মেয়েদের দোলনাতে চড়লাম। এরপরে যখন দোলনা থামিয়ে দিল উপর থেকে কিছু ফটোগ্রাফি নিলাম। যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক মানুষের ভিড় ছিল।
তাছাড়া পাশে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে লোকজন দেখতে ছিল সেই অনুষ্ঠানের দৃশ্যগুলো। সেখানে কিছু মিউজিক দেখাচ্ছিল সবাই মিলে দেখতেছিল। কক্সবাজারের পর্যটন মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক লোক এসেছে কক্সবাজারে এবার। তো আপনারা তো বুঝতে পারছেন ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে। আমি কল্পনাও করতে পারি নাই এত লোকের ভিড় হবে। মেলা যতদিন ছিল শুরু থেকে শেষ অব্দি পর্যন্ত মানুষের আনাগোনার কোন কমতি ছিল না। আমি তো যেতেই থাকছিলাম কারণ ভালই লাগছিল মুহূর্তগুলো। বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সমাগম ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন এসেছিল।
তাছাড়া একটা বিষয় তো খুব মজার ব্যাপার। সেটা হচ্ছে মেলার মধ্যে অনেক ধরনের খাবার পাওয়া যায়। যা ঘুরে ঘুরে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া স্বল্প মূল্যে খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। যেহেতু রাস্তার মধ্যে বসে ছিল দোকান গুলো হেঁটে হেঁটে খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। সমুদ্র পাড়ে অনেকক্ষণ থেকেছি। পরে মেয়েরা বলল ঠিক আছে আম্মু আবার আমরা চলে যাব মেলার মেইন স্টেইজের দিকে। তো আমিও তাদের কথা মত সমুদ্র পাড় থেকে আবারো বেরিয়ে পড়লাম। বেরিয়ে আবারো মূল জায়গায় ফিরে গেলাম। তো সেখানে গিয়ে তো আরো অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত দেখতে পেলাম।
আশা করি বন্ধুরা আপনারা পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করবেন। আমি আবার উপস্থিত হব শেয়ার করার জন্য সেই মুহূর্তগুলো। ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার পোস্ট পড়ার জন্য। সেই সাথে এত সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | কক্সবাজার |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য।
🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/7dq4hg
সমুদ্র সৈকতের পর্যটন মেলা থেকে বেশ সুন্দর কিছু দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করেছেন এবং সেই সমস্ত বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, বেশ ভালো লাগলো তথ্যবহুল এই অসাধারণ পোস্ট পড়ে। সেখান থেকে অনেক কিছু অজানা তথ্য জানতে পারলাম। দীর্ঘদিন আশায় রয়েছি আপনাদের এলাকায় ঘুরতে যাব কিন্তু এখনো আশা পূরণ হয়নি। না জানি কবে সেখানে যেতে পারি তবে উৎসাহ পেলাম সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার পোস্ট টি পড়ার জন্য।
ভাগ্নী হঠাৎ করে অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো আপু। তবে ভাগ্নীর ডেঙ্গু নেগেটিভ আসলো, আলহামদুলিল্লাহ! হাওয়াই মিঠাই কতদিন হলো খাওয়া হয়না। তবে আপনার দোলনার উঠার কাহিনী শুনে হাসি পাচ্ছে 😁। ভাগ্যিস চোখ বন্ধ করেছেন উড়না দিয়ে নয়তো চিল্লাচিল্লি শুরু করতেন আপু 😂
একদম আপনি বুঝতে পেরেছেন তখন ও ভয় পেয়েছিলাম আমি হি হি হি।
সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মেলার আজকের পর্ব আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। সমুদ্র সৈকতে পর্যটন মেলায় অনেক লোকের সমাগম হয়েছে। মেলায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার দোলনার উঠার অনুভূতি দারুন ছিলো। আপনার মেয়ে অসুস্থ জেনে খুব খারাপ লাগলো। যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত ছিল ভাইয়া। আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।
Twitter