রেসিপিঃ-কলা ও নারকেলের স্বাদে মুচমুচে বড়া পিঠার রেসিপি।
আসসালামু আলাইকুম,
প্রিয় পরিবারের ভাই-বোনেরা সবার দিনকাল কেমন যাচ্ছে। আশা করি ভালো সময় কাটাচ্ছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় পরম করুণা ময়ের অসীম রহমতে। বন্ধুরা সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকের রেসিপি ব্লগে। প্রতি সপ্তাহের মতো আজকেও আবার উপস্থিত হয়েছি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি রেসিপি উপহার দেব। চেষ্টা করি সব সময় ভিন্ন ধরনের রেসিপিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে। এখন বর্ষাকাল বৃষ্টির দিন। বৃষ্টির দিনে ভাজা কিছু খেতে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন বৃষ্টি হয় তখন গরম গরম কিছু খেতে মন চাই। বিশেষ করে যখন বিকেল বেলা আমরা চা খেতে চাই সেই সময় একটু গরম গরম ভাজা কিছু খেতে মন চাই।
অনেক সময় আমাদের ইচ্ছে করে না তাই বাজার থেকে ক্রয় করে এনে খেয়ে থাকি। আবার অনেক সময় সুযোগ থাকলেই নিজেরা ঘরে তৈরি করার চেষ্টা করি। তবে সব সময় ঘরের তৈরি করা খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে নিজের মতো করে তৈরি করা যায় নিজের পছন্দমত তাই খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। তো আমি দু একদিন আগে ইচ্ছে করেছিল বিকেলে কিছু খাওয়ার। তখন ভাবলাম যে কিছু কলা ছিল বেশি পেকে গেছে। সেই কলা দিয়ে নারকেল দিয়ে বড়া তৈরি করার। বড়া তৈরি করার সময় গুড়া দুধ ইউজ করেছিলাম যার কারণে খেতে খুব টেস্টি ছিল।
যখন ঘরে তৈরি করে খাব তাহলে একটু সুস্বাদু করে তৈরি করে খেতে মন চায়। তাই উপকরণে দিয়েছিলাম বেকিং পাউডার যেটা পিঠার ভিতরে ফোলতে সাহায্য করে এবং উপরের দিক মুচ মুচে হয়ে যায় যেটা খেতে দারুণ হয়। যখন আমরা পিঠা তৈরি করি ভিতরে যদি কাঁচা টাইপের থাকে তাহলে খেতে ভালো লাগে না। সেইজন্য যদি একটু বেকিং পাউডার দেওয়া হয় তাহলে ভিতরে আর কাঁচা ভাব থাকে না। তার জন্য খেতে আলাদা একটি স্বাদ বেড়ে যায়। এই পিঠা তৈরি করার পরে খেতে খুব ভালো লেগেছিল। যেহেতু আমি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি করেছিলাম। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। আমি যেভাবে পিঠা তৈরি করেছি সেই ধাপ সমূহ পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি—
বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|
পাকা কলা-৩ টি।
ময়দা- ১বাটি।
চালের গুড়া- ১ বাটি।
চিনি- পছন্দমত।
গুঁড়া দুধ - ১০০ গ্রাম।
বেকিং পাউডার -১ চামচ থেকে কম।
লবণ- স্বাদমত।
সরিষার তেল- পিঠা ভাজার জন্য।
কলা ও নারকেলের স্বাদে মুচমুচে বড়া পিঠা তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
বন্ধুরা প্রথমে তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি উপকরণ সমূহ উল্লেখিত পরিমাণের নিয়ে দেখিয়েছি। এখন আমি সরাসরি পিঠা তৈরীর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটি বড় পাত্রে কলা নিয়েছি। সেখানে আমি ময়দা এবং চালের গুড়া নিয়ে নিলাম। সাথে দিয়ে দিয়েছি গুঁড়া পাউডার এবং পছন্দমত চিনি। চিনি আপনারা চাইলে বাড়িয়ে দিতে পারেন এবং কম দিতে পারেন যার পছন্দ যেমন।
রান্নার ধাপ-২
এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বেকিং পাউডার দিলাম সাথে স্বাদমতো লবণ দিলাম। সব উপকরণ দেওয়া শেষ হয়ে গেলে হাত দিয়ে মেখে নিব।
রান্নার ধাপ-৩
হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিলাম যাতে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে যাই। উপকরণ সমূহ মিশিয়ে নেওয়ার পরে উপরে দিয়ে দিলাম কোরা নারকেল। নারকেলগুলো মেখে নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিব।
রান্নার ধাপ-৪
কিছুক্ষণ রেস্টে রেখে দেওয়ার পরে পিঠা গুলো ভেজে নিতে হবে। তার জন্য একটি পাত্র চুলাই দিলাম সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যখন তেল গরম হয়ে আসে তখন চামচের সাহায্যে ছোট ছোট করে পিঠার ডু তেলে ভাজার জন্য দিয়ে দিলাম।
রান্নার ধাপ-৫
অল্প আঁচে ভাজতে হবে পিঠাগুলো যাতে পুড়ে না যায়। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমি একসাথে অনেকগুলো পিঠা দিয়েছি এবং পিঠাগুলোকে নেড়েচেড়ে ভেজে নিব। যখন পিঠা গুলো পারফেক্ট ভাজা হয়ে আসে তখন একটি প্লেটের মধ্যে টিস্যু দিয়ে পিঠাগুলো তুলে নিয়েছি।
রেসিপির পরিবেশনা
পিঠা যখন পুরোপুরি ভাজা হয়ে যায় তখন একটি প্লেটের মধ্যে পরিবেশনের জন্য সাজিয়ে নিলাম। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পিঠার কালারগুলো কত সুন্দর হয়েছে। এভাবে যখন বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে পিঠাগুলো তৈরি করা হয় তখন খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি পুষ্টিকর একটি খাবার তৈরি হয়ে যায়। আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির দরকার হয়। তো আমরা যদি পিঠাগুলো তৈরি করার সময় এভাবে পুষ্টিকর উপকরণ দিয়ে তৈরি করে নিতে পারি তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো হয়। তবে ভাজা খাবার বেশি খাওয়া ভালো নয়। মাঝেমধ্যে খেতে তো কোন মন্দ হয় না। যদি হয় এমন সুন্দর উপকরণ তাহলে পিঠাগুলো খেতে দারুণ হয়। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে অসাধারণ ছিল খেতে। আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা রেসিপিটি ভালো লাগবে। সময় দিয়ে দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://x.com/nahar_hera/status/1827780043675967765?t=6Rvg9I1S5VCv6GHRdJiXbw&s=19
কলা এবং নারকেল দিয়ে বেশ মজার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। এই বিকেলবেলা দেখিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন। এই ধরনের পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হবে। আর নারকেলের যে কোন রেসিপি আমার বেশ ভালো লাগে খেতে। মজার একটা নাস্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
নারকেল দেওয়ার কারণে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
বৃষ্টির দিনে মুখোরচক খাবার গুলো মনকে প্রফুল্ল দেয়।কলা এবং নারকেলের সাদে আপনি দারুন একটি পিঠা বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । খুব সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটি দেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কলা ও নারকেল দিয়ে বেশ মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা বড়া রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। খেতে অনেক মজাদার হয়েছিল দেখে বোঝাই যাচ্ছে। রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
চেষ্টা করেছি আপু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
এত মজাদার এবং ইউনিক বড়া পিঠা তৈরি করেছেন আপনি, দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। কলা ও নারিকেল দিয়ে এরকম পিঠা তৈরি করা যায় এটা তো একেবারে জানাই ছিল না। এই ধরনের বড়া পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বৃষ্টির সময় ভাজাপোড়া গুলো খেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আর আপনার কাছে এটা দেখে তো অনেক ভালো লেগেছে।
চলে আসেন তাহলে দাওয়াত দিলাম আপনার জন্য আবার তৈরি করব বাসায়।
আমি জানি শুধু তাল দিয়ে এমন পিঠা তৈরি করা যায়। কিন্তু কলা আর নারকেল দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর পিঠা তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে প্রায় সময় এ ধরনের পিঠা তৈরি করে থাকি আপু।
বেশ মজার পিঠা শেয়ার করেছেন। আর বৃস্টির দিনে ভাজা পোড়া খেতে বেশ ভালই লাগে। যদিও ভাজা পোড়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। তবে মাঝে মাঝে খাওয়াই যায়।মজাদার পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন বৃষ্টির দিনে খুব ভালো লাগে খেতে এই পিঠা গুলো।
বড়া পিঠা গুলোতে নারিকেল ইউজ করলে খেতে বেশি ভালো লাগে।মাঝে মাঝে তালের পিঠা গুলোতে আম্মু নারিকেল ইউজ করে দেখি খেতে আরো বেশি ভালো লাগছে অন্যান্য দিনের থেকে।আপনার পিঠা দেখে ভালো।লাগলো অনেকটা লোভনীয় একটি রেসিপি ছিল,ধন্যবাদ আপু।
তালের পিঠাতে নারকেল দিলে তো সেই দারুণ হয় খেতে।
আসলেই এই বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া জিনিস খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । আর এটা ঠিক বলেছেন অনেক সময় নিজের হাতে তৈরি করতে আলসেমি লাগে তখন বাধ্য হয়ে বাইরের অশ্বাস্থ্যকর খাবার গুলো আমাদের খেতে হয় কিছুই তো করার নেই ।আপনি আজকে খুব মজা করে কলা ও নারিকেল মিলিয়ে বড়া তৈরি করেছেন। এটা আমিও বানিয়ে খেয়েছি তবে আমি নারকেল ব্যবহার করিনি নারকেল দিয়ে মনে হয় আরো একটু বেশি ভালো লাগবে খেতে ।
আমার তো ইদানিং বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতার অনেক বেড়ে গেছে। যেহেতু বাচ্চাদের কারণেই পারি না ঘরে তৈরি করতে।
বৃষ্টি ভেজা দিনে মজার মজার খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। কলা ও নারকেল দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো আপু। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল।
একদম আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।