রেসিপি- ঝাল ঝাল মজাদার ডিম ভুনা।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবার
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে। আমি আপনাদের সাথে ব্লগিং এ নিয়োজিত আছি বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে। বাংলা ভাষায় ব্লগিং প্রিয় একমাত্র নের্ভরযোগ্য স্থান আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে নিজের ক্রিয়েটিভিটি গুলো শেয়ার করতে পেরে অনেক বেশি ভালো লাগে। |
---|
মজাদার ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি।
প্রিয় @amarbanglablog এর সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি রেসিপি পোস্ট। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার। সেই ধারাবাহিকতায় আমি আজকেও নতুন একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। আজকে আমার শেয়ার করা রেসিপিটি হচ্ছে ডিম ভুনা রেসিপি। আসলে ডিম ভুনা খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রায় কম বেশি সকলেই ডিম ভুনা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। যদি হয় পোলাও কিংবা বিরিয়ানি ভাতের সাথে তাহলে খেতে বেশ ভালো লাগে। তাছাড়া এই ডিম ভুনা রেসিপি খুব সহজে তৈরি করা যায়। ঝটপট তৈরি করে নেওয়া যায় খুব সহজে। আমি আজকে ভিন্ন আঙ্গিকে রেসিপিটি তৈরি করেছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে। এভাবে খেতে আমার খুবই ভালো লাগছিল। তাই ভাবলাম সেই রেসিপিটি আমি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিই।
প্রথমে আমি আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ পরিমাণ মত নিয়ে দেখালাম।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম সিদ্ধ | ৪ টি |
আলু সিদ্ধ | অল্প |
পেঁয়াজ বাটা | ২ টি |
রসুন বাটা | ৩ কোয়া |
আদা বাটা | অল্প |
লবণ | স্বাদমত |
লাল মরিচ গুঁড়া | ২ চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ১ চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চামচ |
ধনে গুঁড়া | ১ চামচ |
সরিষার তেল | পরিমাণ মত |
তরল দুধ | হাফ বাটি |
ডিম ভুনা রান্নার ধাপ সমূহ
রান্নার ধাপ-১
প্রথমে আমি ডিম এবং আলু গুলোকে সিদ্ধ করে নিয়েছিলাম। এরপরে ডিম গুলোকে মাঝখান থেকে কেটে দুই টুকরা করে নিয়েছি। সাথে হালকা হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে একটা পাত্রের মধ্যে তেল দিয়ে ডিম এবং আলু গুলোকে আগে তেলের মধ্যে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-২
ডিম গুলো যখন ভাজা শেষ হয়ে যায় তখন আমি সিদ্ধ করা আলু গুলোকে ভেজে নিয়েছি। ডিম এবং আলু ভেজে নেওয়ার পরে আরো অল্প কিছু পরিমাণ তেল দিয়ে সেখানে দিয়ে দিবো বেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৩
বাটা মসলা গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে। ভেজে নেওয়া প্রায় হয়ে আসলে সেখানে দিয়ে দেব শুকনো মসলা গুলো। মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া। সাথে দিয়েছি লবঙ্গ, এলাচ ও দারুচিনি অল্প পরিমাণ। সব গুলো উপকরণ ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে।
রান্নার ধাপ-৪
সব উপকরণ প্রায় সিদ্ধ হয়ে আসলে সেখানে দিয়ে দিতে হবে হাফ বাটি তরল দুধ। দুধ দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিতে হবে। সাথে দিয়ে দিয়েছি পরিমাণ মত লবণ।
রান্নার ধাপ-৫
সব উপকরণ যেহেতু প্রায় সিদ্ধ করা হয়ে আসলো তখন আমি দিয়ে দিলাম ডিম এবং আলু যা আগে থেকে আমি ভেজে রেখেছিলাম। তো সব গুলো দেওয়ার পরে আবারও কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নিয়েছি। যেহেতু আগে থেকে সিদ্ধ করা আছে তাই আমি বেশিক্ষণ সিদ্ধ করতে যাব না। অল্প কিছুক্ষণ সিদ্ধ করে নেওয়ার পরে তৈরি হয়ে গেল ঝাল ঝাল ডিম ভুনা রেসিপি।
রেসিপির পরিবেশনা
যেহেতু রেসিপি তৈরি করা শেষ তাই খাওয়ার পালা এবার। আমি প্রায় সময় রেসিপি গুলো দুপুরের বেলায় তৈরি করে থাকি। খাওয়ার আগে তৈরি করি যাতে গরম গরম খেয়ে নিতে পারি। তো তৈরি করা রেসিপিটি আমি একটা বাটিতে নিয়ে নিলাম পরিবেশনের জন্য। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম অসাধারণ ছিল।
এভাবে দুধ দিয়ে এবং ঝাল একটু বাড়িয়ে দিয়ে যদি ডিম ভুনা করা হয় তাহলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার রেসিপিটি দেখে আপনারাও তৈরি করে নিতে পারেন।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
মাঝেমধ্যে ডিম ভুনা খেতে দারুণ লাগে। মাছ মাংস খেতে খেতে যখন একঘেয়েমি লাগে, তখন খাবারে ভিন্নতা আনার জন্য ভিন্ন ধরনের রেসিপি ট্রাই করা উচিত। সেই হিসেবে ডিমের রেসিপি একেবারে পারফেক্ট বলে আমার মনে হয়। রেসিপির কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে আপু। খেতেও মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপি টি দেখে ভালো লাগার জন্য।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/7bjfpt
আপু আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। ডিম আমি অনেক রান্না করি কিন্তু কখনো মাঝ থেকে এভাবে কেটে রান্না করি নি। যাইহোক আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আমার রেসিপিটি দেখার জন্য।
ডিম ভুনা রেসিপিটি অসাধারণ সুন্দর হয়েছে, যেমন কালার হয়েছে তেমনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রেসিপি টি পরিবেশনও করছেন।ডিম দিয়ে এভাবে রান্না করলে অনেক মজা হয়। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর করে আমাদের মাঝে ডিমভুনা রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য।
জি আপু এভাবে ডিম ভুনা খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
এটা ঠিক কথা বলেছেন আপু ঝাল এবং দুধ একটু বাড়িয়ে দিয়ে ডিম ভুনা করা হলে তা খেতে বেশি টেস্টি হয়। আমি যখন বাড়িতে ডিম ভুনা করি একটু বেশি ঝাল ঝাল করেই করি, বেশ ভালো লাগে খেতে।
আপনি সঠিক বলছেন ভাইয়া ডিম ভুনা একটু ঝাল করে করলে ভালো লাগে।
গতকাল আমাদের বাড়িতেও ঝাল ঝাল করে ডিম ভুনা করা হয়েছিল আপু।
ঝটপট ভাবেই রেসিপিটি তৈরি করা যায়। আমার বেশ ভালো লাগে। রেসিপিটি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ডিমের ঝোল দিয়ে অনেক ভাত খেতে পারি আমি। যাইহোক রেসিপিটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো আপু।
ঝটপট করে তৈরি করে নেওয়া হলেও আপু খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
ব্যক্তিগতভাবে ডিম খিচুড়ি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে তবে আপনার মত করে এরকম ভাবে ডিম ভুনা খেতেও বেশ ভালোই লাগে। বৃষ্টির দিনে এ ধরনের রেসিপি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার এই ডিম ভুনা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকারভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ভাইয়া বাচ্চারাও খেতে বেশ পছন্দ করে।
আমি কেবল ডিমের কোরমা রান্নায় দুধ ব্যবহার করি। ঝাল ডিম রেসিপিতে ব্যবহার করি না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে দুধ দিলে ভালই লাগবে। অন্য রকম একটি ডিমের রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু দুধ দেওয়ার কারণে খুবই ভালো লেগেছিল খেতে।
ডিম দিয়ে যত প্রকার রেসিপি তৈরি করা যায় তার মধ্যে ডিম ভুনা আমার সবচেয়ে বেশি ফেভারিট। ডিম ভুনা করলে আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে ।যেটা আমার প্রিয় আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি পরিবেশন করলেন ভালো লাগলো।
আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে ডিম ভুনা।