সবাই কেমন আছেন বন্ধুরা?
আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন পরিবার পরিজনকে নিয়ে সেই প্রত্যাশা করতেছি? আমি
@samhunnahar আপনাদের সাথে প্রতিনিয়ত বাংলা ভাষায় ব্লগিং করি সুদুর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল কক্সবাজার শহর থেকে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে নিজেকে বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে। কারণ এত সুন্দর একটি কমিউনিটিতে কাজ করতে পারি বলে নিজেকে অনেক বেশি গর্বিত মনে করি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নিজের ভালো-মন্দ বিষয় গুলো বাংলা ভাষায় ব্লগিং করার। আমি মনে করি এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু থাকতে পারে না। কারণ ঘরে বসে নিজের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম গুলো শেষ করে এই কমিউনিটিতে সময় দিতে পারি। এক সাথে বিনোদন হয় এবং অন্যদিকে নিজের ভালো মন্দ গুলোআপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারি। সবার ভালো মন্দ বিষয় গুলো জানতে পারি। যাক অনেক কিছু বলে ফেললাম এবার মূল কথায় আসি।
অনেক দিন হলো রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু তৈরি করা হয় না। যদিও খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় যাচ্ছে বাচ্চাদেরকে নিয়ে। যেহেতু বাচ্চাদের স্কুল খুলে দিয়েছে। ছোট মেয়েকেও নিয়ে অনেক সকালে চলে যেতে হয়। তাই সময় সুযোগ হচ্ছে না ইউনিক কিছু তৈরি করার। তো শত ব্যস্ততার মাঝেও আজকে বসে পড়েছিলাম রঙিন কাগজ দিয়ে একটি হাতপাখা তৈরি করার। যেহেতু শীতের শেষে খুব দ্রুত গতিতে গরম আমাদের কাছে ছুটে চলে আসতেছে হা হা হা। তো বসে বসে চিন্তা করলাম রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটা হাতপাখা তৈরি করলে কেমন হয়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকে আমি একটি হাতপাখা তৈরি করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে ভালই লাগবে। তাহলে চলুন বন্ধুরা ধাপ গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি—---------
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ
রঙ্গিন কাগজ।
কাঁচি।
গাম।
লাল মার্কার কলম।
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ উল্লেখ করেছি এবং নিয়ে দেখালাম। এখন সরাসরি হাতপাখা তৈরির পর্যায়ে চলে যাব। হাতপাখা তৈরির জন্য প্রথমে আমি একটি রঙ্গিন কাগজ নিলাম। সেটাকে ভাঁজ দিয়ে নিবো। কিভাবে ভাঁজ দিলাম তা দেখালাম।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এরপরে ভাঁজ দেওয়া শেষ হয়ে গেলে গাম দিয়ে জোড়াটা লাগিয়ে দিব।
তৃতীয় ধাপঃ
এরপরে আরো একটি রঙিন কাগজ নিয়ে আবারও একই পদ্ধতিতে ভাঁজ দিয়ে নিলাম। ভাঁজ দেওয়ার শেষ হয়ে গেলে আগের তৈরি করা এবং এখনের তৈরি করা দুটির মধ্যে গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিব।
চতুর্থ ধাপঃ
এখন রঙিন কাগজ দিয়ে স্টিক বানিয়ে নিলাম দুটি।
পঞ্চম ধাপঃ
আপনারা এই পদ্ধতিতে দেখতে পাচ্ছেন স্টিক দুটিকে গাম দিয়ে হাতপাখার মাঝখানে লাগিয়ে দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
এখন সাদা কাগজ দিয়ে একটি ফুল কেটে নিয়েছি। সেটা গাম দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি হাতপাখার উপর সাইডে মাঝখানে।
সপ্তম ধাপঃ
এখন মিষ্টি কালারের আরেকটি ফুল কেটে নিয়েছি। সেই ফুলের উপরে লাল মার্কার দিয়ে একটু করে এঁকে নিলাম। এখন সাদা ফুলের উপরেই মিষ্টি কালারের ফুলটি লাগিয়ে দিলাম গাম দিয়ে। এভাবে তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের তৈরি করা হাতপাখা টি।
উপস্থাপনা
তৈরি করার পরে বেশ সুন্দর দেখতে হলো। নিশ্চয়ই এই হাতপাখা দিয়ে গরমের সময় বাতাস করা যাবে। একটু শক্ত করে তৈরি করলাম। যেহেতু বাচ্চারা আছে তারা অনেক বেশি খুশি হলো। সামনে ঘরমের দিন আসতেছে। যেহেতু মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আমাদেরকে অনেক বেশি জ্বালাতন করে। সে সময় হাতপাখাটি অনেক বেশি কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে সময় দিয়ে দেখার জন্য।
| ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
|---|
| মডেল | W-V770 |
| ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
| ক্যাটাগরি | রঙ্গিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
এই শীতের দিনে সুন্দর পাখাটি দেখে তো ভীষণ ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে আপু।পাখা তৈরি পদ্ধতি গুলো দারুণ লাগলো।ধাপে ধাপে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন পাখা তৈরি পদ্ধতি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
যদিও আপু শীতকালে তৈরি করেছি কিন্তু গরম আমাদেরকে তো শুভেচ্ছা জানাচ্ছে তাই না? তাই আগাম তৈরি করে নিলাম হা হা হা।
বাহ অসাধারণ হয়েছে আজকে আপনার হাতপাখা তৈরি। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা বানিয়েছেন। কাগজ দিয়ে কিছু বানানো যতটা সহজ উপস্থাপনা করার ততটা কঠিন। বিশেষ করে বাঁজগুলো সম্বন্ধে লেখা। সত্যি বলতে আপনার রঙিন কাগজের হাতপাখা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। খুব সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন আপু। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো চমৎকার ডাই পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনেক বেশি উৎসাহ পেলাম।
অনেক সুন্দর একটি হাত পাখার অরিগামি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি হাত পাখার অরিগামি দেখতে খুবই অসাধারণ লাগছে। এই ধরনের আমি তৈরি করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। হাতপাখা তৈরির পাশাপাশি এটা তৈরীর
পুরো প্রসেস সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্ট আপনি বিস্তারিত দেখলেন ভালো লাগলো।
সু স্বাগতম আপু। ভালো থাকবেন
আপু আপনি আজকে রঙিন কাগজ দিয়ে খুব চমৎকার একটি হাত পাখা তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রঙিন কাগজের হাত পাখা দেখতে বেশ দারুন লাগছে। বিশেষ করে উপরের ফুল গুলোর কারণে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে। এধরনের রঙিন কাগজের কাজ গুলো করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তৈরির ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
আমার কাছে রঙিন কাগজের জিনিস বেশ ভালই লাগে। তবে সময় সুযোগ হয় না তৈরি করার। কিন্তু যখন তৈরি করার সুযোগ পাই তখন তৈরি করে ফেলি।
আমার এখনো মনে আছে যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন প্রায় প্রতিদিন রাত্রেবেলা কারেন্ট চলে যেত। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কাগজ দিয়ে এরকম পাখা তৈরি করতাম। খুব ভালো লাগলো আপনার আজকের রঙিন কাগজের পাখা বানানো দেখে।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন তো বিদ্যুৎ ও ছিল না গ্রামে। খুব ছোটবেলার কথা মনে আছে। তখন হাতপাখা ছিল আমাদের বাতাস করার প্রধান উপকরণ হা হা হা।
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক ধরনের ডাই পোস্ট আপনি তৈরি করেছেন।আসলে এই রঙিন কাগজ দিয়ে ডাই তৈরি করতে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনার রঙ্গিন কাগজের হাত পাখার তৈরি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। ধাপে শেয়ারের মাধ্যমে শিখে নিলাম।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার তৈরি করা হাতপাখা টি ভালো লাগার জন্য দেখে।
রঙিন কাগজ দিয়ে সুন্দর একটি হাত পাখা তৈরি করেছেন। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে যা গরমের সময় খুবই দরকারি। কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করতে সময় লাগলোও দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর অরিগ্যামি আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু সময় দিয়ে আমার শেয়ার করা অরিগ্যামি টি দেখার জন্য।
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি করেছেন। রঙিন কাগজের হাতপাখা তৈরি সত্যি অসাধারণ হয়েছে। রঙিন কাগজ দিয়ে কিছু বানানো এত সহজ না। তবে আজকে আপনার হাতপাখা বানাতে অনেক সময় লেগেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। তবে এই রঙিন কাগজের হাতপাখা যদি ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখে দেখতে বেশ ভালই লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রঙিন কাগজ দিয়ে হাতপাখা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার তৈরি করা হাতপখাটি আপনার ভাল লেগেছে জানতে পেরে খুশি হলাম।
এই ঠান্ডায় হাত পাখা দেখে গা শিরশির করছে আপু। অনেক সুন্দর করে আপনি হাত পাখা তৈরি করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দারুন হয়েছে দেখতে। প্রত্যেকটি ধাপ তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সময় দিয়ে আমার পোস্ট দেখার জন্য।