কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপ ভ্রমণ (পর্ব-৩) (পালংকি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া।)

in আমার বাংলা ব্লগlast year

সবাইকে জুম্মা মোবারক বন্ধুরা.

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের সকল ব্লগার ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি যদিও শুক্রবার একটু ব্যস্ত সময় কাটে। সকাল থেকে অনেক বেশি বিজি ছিলাম। মেয়েদেরকে গানের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আবার সেখান থেকে নিয়ে আসা এবং রান্নাবান্না করা অনেক ব্যস্ত সময় গেল আজকে। তো শেষমেষ খাওয়া দাওয়া করে ফ্রি হয়ে আবারো আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়ে গেলাম। তো আপনাদের দিনকাল কেমন কাটলো আজকে বন্ধুরা? আশা করি আপনাদেরও ব্যস্ত সময় কাটল এবং সেই সাথে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ভালো সময় কাটল এই প্রত্যাশা করি।

fo10.jpg

fo.jpg

বন্ধুরা সব সময় ভিন্ন কিছু বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। তাই আজকে আবার উপস্থিত হয়ে গেছি নতুন একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপে ঘোরাঘুরির পর্বগুলো। আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ফ্রেশ হয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত। এখন আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়গুলো আলোচনা করব তা হচ্ছে যে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার মুহূর্ত।

সত্যি বলতেই আমি যে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম সবাই অবশ্যই চিনেন। যারা কক্সবাজারে এসেছেন ঘুরতে তারা অবশ্যই এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে কমবেশি সকলেই পরিচিত। তা হচ্ছে ইনানীর ঐতিহ্যবাহী খাবারের হোটেল পালংকি রেস্টুরেন্ট। যদিও রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন কিংবা স্থাপনা তেমন ভিআইপি নয়। তবে এতটা খারাপ ও না কিন্তু এত মানুষের উপচে পড়া ভিড় আমি এখানে না আসলে বুঝতাম না। এর আগেও গেছিলাম পালংকি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার জন্য। তখনও এমন অবস্থা ছিল বিশ্বাস করবেন বসার সিট পায়নি তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এত মানুষের চাপ ছিল বলার মতই না। যেসব পর্যটকেরা আসেন কক্সবাজার সমুদ্র পরিদর্শনের জন্য সবাই কিন্তু এক বেলা হলেও পালংকিতে যেয়ে খেয়ে আসেন। কারণ বাঙালিয়ানা পরিবেশে খাবার গুলো এত মজার বলার মতই না।

fo5.jpg

fo3.jpg

fo2.jpg

fo6.jpg

যারা খেয়েছেন অবশ্যই তারা বুঝতে পারছেন খাবার গুলো কত মজাদার। ভাজি, ভর্তা, ডাল, মাছ ফ্রাই অন্যতম। তাছাড়া বিভিন্ন আইটেমের শুটকি ভর্তা অনেক মজার খেতে। বিশেষ করে লইট্টা ফিশ ফ্রাই অনেক মজার। রুপ চাঁদা ফ্রাই তো সেই রকম মজার খেতে। পাহাড়ি মুরগের মাংস তো বলতেই হচ্ছে না কতটা সুসাদু। তো আমি পলংকিতে বিশেষ করে ভাজি, ভর্তা, ডাল খেতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানির আইটেম রয়েছে। যেহেতু গিয়েছিলাম খেতে রাস্তা দিয়ে প্রবেশের সময় বুঝতে পেরেছিলাম খেতে অনেক দেরি হবে। যেহেতু দিনটি শুক্রবার ছুটির দিন ছিল তাই অনেক লোকের সমাগম।

তো কোন রকম ভিতরে প্রবেশ করি। প্রবেশ করার পরে আমি যা দেখলাম আরেক নাজেহাল অবস্থা। অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকছেন দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য। কিন্তু সিট না পাওয়াই অনেকে হতাশ হয়ে বের হয়ে ফিরে গেল। আমরা অনেকক্ষণ ওয়েট করছিলাম। তাই অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। যেহেতু বাচ্চারা ছিল সাথে। অবশেষে দেখলাম একটি টেবিল খালি হচ্ছে তখন সেটা বুকিং করে নিলাম আমি। তো অবশেষে বসলাম আমরা। অনেকক্ষণ বসে থাকার পরেও ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা করলাম। যেহেতু সবার কাছ থেকে খাবার অর্ডার নিচ্ছিল তারা অনেক বিজি ছিলেন।

fo4.jpg

fo7.jpg

fo8.jpg

fo9.jpg

বসার পরে চারপাশের পরিবেশ দেখছিলাম। সেই ফাঁকে খাবারের অর্ডার করে দিলাম বাচ্চাদের পছন্দের খাবার আর আমাদের জন্য। যেহেতু খাবার আনতে একটু লেট হবে তাই সেই সাথে কয়েকটা ফটোগ্রাফি নিয়ে নিলাম। আজকে সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে আমার আজকের ব্লগিংটা শেয়ার করতেছি। তো কোন রকম বসে যেহেতু পড়ে গেলাম আবার খাবার আনতেও লেট হবে। তাই এদিক ওদিকে দেখছিলাম। তো বন্ধুরা পরবর্তীতে আমি খাবারের মেনুগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এছাড়া খাবারের স্বাদ সম্পর্কে আপনাদের সাথে বর্ণনা করব। সবাই ভাল থাকবেন বন্ধুরা।


24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1Eh2qs4cCyucf3FD7ahStNw2cTHPk2QiaQacbQjJNEWnuhyjY1PXfUUMr27ifyD15nkQhFHksgx6bm9BxYLdCkQDMy8JhQrktZHYy6njdzRU4bQ9b1d2xjCdoVzCDDY85pLPq2s7FhKBwPjpuHdozHaReDxEaFH2aYse13zaqogf9utVshuSban6ex1saRA.png

ডিভাইসের নামWiko,T3
মডেলW-V770
Locationকক্সবাজার ইনানীর পালংকি রেস্টুরেন্ট
ফটোগ্রাফার@samhunnahar
ক্যাটাগরিট্রাভেলিং


সবাইকে অনেক ধন্যবাদ সময় দিয়ে আমার লেখা পড়ার জন্য।

268712224_305654151337735_1271309276897107472_n.png

🥀আল্লাহ হাফেজ সবাইকে🥀


আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে অনেক ভালবাসি। রান্না করতে আমি অনেক পছন্দ করি। তাছাড়া সময় পেলে ভ্রমণ করি আর প্রকৃতিকে অনুভব করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার ভীষণ ভাল লাগে। আমি মাঝে মাঝে মনের আবেগ দিয়ে কবিতা লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রিয় শখের মধ্যে তো গান গাওয়া অন্যতম। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের/ভালবাসার কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।

Polish_20230713_210902326.png

Sort:  
 last year 

যদিও কক্সবাজার ইনানীর রয়েল টিউলিপ ভ্রমণের প্রথম পর্ব গুলো পড়া হয়নি, তবে তৃতীয় পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। রেস্টুরেন্টে যেহেতু অনেক ভিড় ছিল, তাই অনেকক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল যা বুঝতেই পারছি। আর যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই আরো বেশি ছিল। যাই হোক সবশেষে সিট পেয়েছিলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন অনেক মজা করে এটা জেনে ভালো লাগলো।

 last year 

অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর একটি অনুভূতি প্রকাশ করলেন।

 last year 

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65628.71
ETH 2669.64
USDT 1.00
SBD 2.86