মেয়ের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।
হ্যালো বন্ধুরা! আসসালামু আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?আশা করি সৃষ্টিকর্তার অসীম রহমতে ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।প্রতিদিন বিকেল বেলায় পোস্ট করি।আজ অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই একটু লেট হয়ে গেল।সারাদিন এত ব্যস্ত ছিলাম সন্ধ্যা বেলায় বাসায় ফিরে আসি এবং বাসার কাজকর্ম করে ফ্রি হতে রাত ৯ টা বেজে গেলো।অবশেষে বাচ্চাদের খাওয়া দাওয়া করিয়ে একেবারে ফ্রি হয়ে পোস্ট লেখা শুরু করি।আজকে মূলত যে বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সেটা হচ্ছে যে আজকে সারাদিন আমার মেয়ের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম।
আমার মেয়ে সামিহা সরওয়ার আদিলা।
মেয়ের বান্ধবী।
সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠান।বুঝতে পেরেছেন অবশ্যই স্কুলের আঙ্গিনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মানে বাচ্চাদেরকে নিয়ে বেশ এক উত্তেজনা মূলক সময় গেছে আজ আমার।সারাদিন আজ দুই মেয়েকে সময় দিয়েছি স্কুলে।সকাল ৯ টায় স্কুলে যাওয়া হয় আমাদের এবং স্কুলের মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।শুরুতে প্রধান অতিথি বিশেষ অতিথিরা সুন্দর সুন্দর বক্তব্য রাখেন।অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেন অভিভাবকদের নিয়ে।কক্সবাজার জেলার শিক্ষা অফিসার আসেন প্রধান অতিথি হিসেবে।ওনার কথাগুলো বেশ ভালো লাগে আমার।অনেক মূল্যবান কিছু কথা বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এবং অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে।
জেলা শিক্ষা অফিসার
উদ্বোধনী মূলক বক্তব্য শেষ করতে করতে বেশ দেরি হয়ে যায়।প্রায় ১২:০০ টা বেজে গেছিল মূল অনুষ্ঠান শুরু করতে।এরপরে মূল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়।আমার মেয়ে তিনটি বিষয় অংশগ্রহণ করে।বেশ কয়েক দিন ধরে ওকে অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করছিলাম।কবিতা আবৃত্তি,গান,হামদ-নাতে সব রেডি করাচ্ছিলাম তাই কয়েক দিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম।আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে সৃজনশীল মনোভাব গড়ে তোলার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা খুবই দরকার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে যে পুরস্কার পেতে হবে এমন কথা নেই।প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে বাচ্চাদেরকে যে কোনো ইভেন্টে স্বতঃস্পূর্তভাবে অংশগ্রহণ করানো।কারণ এভাবে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাচ্চার সাহস বাড়বে, জড়তা ভাঙ্গবে এবং ভয়ভীতি কাটিয়ে উঠবে।এভাবে শুধু পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন সৃজনশীল মনোভাব গড়ে তুলা খুবই দরকার বলে আমি মনে করি।এমন সৃজনশীল মনোভাব নিয়ে গড়ে ওঠা বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ জীবন অনেক সুন্দর হয়।সেই চিন্তাধারা মাথায় রেখে আমার মেয়েকে প্রতিবছরই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক বেশি উৎসাহ দিয়ে থাকি আমি।
মাশাল্লাহ আমার মেয়েও অনেক আনন্দের সাথে খেলাধুলায় অংশ গ্রহণ করেন।এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও বিভিন্ন বিষয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেয় নিজে নিজে।শুধু যে পড়ালেখায় ভালো হলে যে ভবিষ্যৎ ভালো হবে এমন কথা নেই।একটা বাচ্চাকে বিভিন্ন বিষয়ে গড়ে তুলতে হবে দেশের কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে জানাতে হবে শিখাতে হবে।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে বাচ্চাদের অনেক মেধাবিকাশ বাড়ে।
কিভাবে কথা বলতে হয়,উচ্চারণের দিক দিয়ে কিংবা সবার সামনে স্পীকারে কথা বলার সাহস সবকিছুর দিক দিয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠে।আমার মেয়ে অনেক সুন্দর করে কবিতা আবৃত্তি করেছে এবং গান গেয়েছেন হামদ গেয়েছেন তবে এখনো রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়নি।ছোট মেয়ে অনেক আনন্দের সাথে আজকের দিনটি কাটিয়েছেন।যদিও বসে থাকতে একটু খারাপ লেগেছিল।কিন্তু বাচ্চাদের জন্য অনেক ভাল একটি দিন ছিল আজ।অবশেষে চূড়ান্ত প্রোগ্রাম সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শেষ করে বাড়িতে চলে আসি।
🌺ধন্যবাদ সবাইকে আমার আজকের পোস্ট সময় দিয়ে পড়ার জন্য।🌺।
ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
---|---|
মডেল | W-V770 |
Location | w3w |
আমি সামশুন নাহার হিরা।আমার ইউজার আইডি@samhunnahar।আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে।আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি।আমি রান্না করতে পছন্দ করি।ভ্রমণ আমার প্রিয় একটি নেশা।আমি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি।আমি আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।
https://steemit.com/hive-129948/@samhunnahar/6ehdik
বাচ্চাদেরকে ছোট থেকেই এই সকল বিষয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলে তাদের মধ্যে সাহস বৃদ্ধি পায় এবং ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু হয়, নিজের মধ্যে যদি একটা লিডারশিপ তৈরি করা যায় তাহলে মন্দ নয় ভবিষ্যতে এটা খুবই কাজে আসে।
ঠিক বলছেন ভাইয়া এভাবে ছোট কাল থেকে যদি সৃজনশীল মনোভাব তৈরি করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে তারা খুব সুন্দর করে নিজেদের জীবন গড়তে পারবে।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেটা বাচ্চাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা জড়তা দূর করে দেয়। বাচ্চাদের মধ্যে সাহসিকতার বিষয়টি অনুধাবন করতে পারা যায়। হ্যাঁ শুধু লেখাপড়ায় ভালো হলে হবে না যে কোন খেলাধুলায় তার পারদর্শিতা থাকলে সে ক্ষেত্রে ও নিজেকে অনেক দূরে এগিয়ে নিতে পারবে । দুই মেয়েকে নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনেক সময় দিয়েছেন ভালো লাগলো আপু।
শুধু পড়ালেখায় মন না দিয়ে খেলাধুলা কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এভাবে সবদিকে মনোনিবেশ করাই অনেক ভালো।
এই সময়টায় প্রতিটা স্কুলে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান হয়। খেলাধুলা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় স্কুলগুলোতে। এই সময়ে স্কুলে তেমন বেশি ক্লাস হয়না। আপনার মেয়ের স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কথা শুনার পর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আমার কাছে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনেক ভালো লাগে। আপনি নিশ্চয়ই সেই অনুষ্ঠান খুব উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সেই অনুভূতি তো অন্য রকমের ছিলো।ছোটবেলায় অনেক খেলাধুলা করতাম অনেক বেশি উৎসাহ ছিল তখন।
আপনার মেয়ে গান এবং কবিতা আবৃতি করেছে শুনে খুব ভালোই লাগলো। স্কুলে এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে বাচ্চাদের মনোবল বৃদ্ধি পায়। আসলে অভিভাবক গুলো গেলে অনেক খন বসে থাকতে হয় এই কারণে একটু খারাপ লাগে। নিজের বাচ্চারা সফলতা ফেলে এমনিতে মা-বাবার অনেক ভালো লাগে। আশা করি আপনার মেয়ের প্রতিযোগিতায় ভালো রেজাল্ট করবে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সকাল ৯ঃ০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত বসে থাকছিলাম আপু অনেক বিরক্ত লাগছিল কিন্তু অনুষ্ঠান গুলো দেখতে ভালোই লাগছিল।
বর্তমানে আমাদের দেশে স্কুলগুলোতে প্রায়ই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আর এসব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অনেক শিক্ষণীয় বিষয়ে থাকে। যে বিষয়গুলো আমাদের ছোট সোনামণিদের কে জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চাদেরকে ছোটকাল থেকে সবার সামনে উপস্থিত করলে এবং সবার সাথে মেলামেশা করতে দিলে এরা সামনের দিকে খুব দ্রুত অবসর হতে পারে।অনুষ্ঠানে আপনার মেয়ে কবিতা ও গান গেয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। মেয়ের জন্য দোয়া রইল।
আপনি ঠিক বলছেন ছোটবেলা থেকে যদি স্পীকার ধরে সবার সামনে কথা বলা যায় তাহলে বড় হয়ে জড়তা থাকবেনা স্পীকারে কথা বলতে।
জী আপু আপনি ঠিক বলেছেন,যে কোন প্রতিযোগিতায় বা খেলায় অংশগ্রহন করে পুরষ্কার জিতে নিতে হবে এমন কোন কথা নেই। এসব অনেষ্ঠানে অংশ গ্রহন করলে অনেক কিছু শিখতে পারে। যেটা আপনি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো তবে প্রাইস পাওয়ার মূল উদ্দেশ্য নয়